ঢাবি প্রতিনিধি
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭১ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে। অন্যদিকে ১২ শতাংশের বিশ্বাস, দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। পটপরিবর্তন-পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত এক জরিপে এমন উঠে এসেছে।
‘পালস সার্ভে ২০২৪: জনগণের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ সমীক্ষায় রাজনীতি ও আর্থসামাজিক বিভিন্ন দিকে বাংলাদেশি নাগরিকদের উপলব্ধি জানতে চাওয়া হয়। এ জন্য টেলিফোন-সমীক্ষার মাধ্যমে দেশের সব জেলার মোট ২ হাজার ৩৬৩ জন নারী-পুরুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
‘অভ্যুত্থানের ৪০ দিন: মানুষ কী ভাবছে?’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জরিপের ফলাফল সবার সামনে তুলে ধরেন বিআইজিডির জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো মির্জা এম হাসান। সভায় উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও মামুন আব্দুল্লাহি; কর্মসূচি বাস্তবায়ন শাখার সদস্য রওনক জাহান, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন প্রমুখ। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জরিপের ফলাফল দেখাচ্ছে, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যাত্রা সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই ইতিবাচক। আমরা পূর্ববর্তী ইতিহাসে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এ ধরনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখেছি। অন্যদিকে আমরা কিন্তু হতাশাও দেখেছি। নাগরিকেরা সংস্কার চায়, কিছু প্রকৃত সংস্কার তখনই সম্ভব, যখন আমরা আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করব।’
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭১ শতাংশ বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে এবং ১২ শতাংশ বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ ভুল পথে রয়েছে। মাত্র ৪৩ শতাংশ লোক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী ছিলেন এবং ৪১ শতাংশ হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। অনুরূপভাবে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের গতিপথ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় ৬০ শতাংশ মানুষ বলেছেন, দেশ সঠিক পথে যাচ্ছে এবং ২৭ শতাংশ বলেছেন, দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। বিপরীতে, জানুয়ারি’ ২৪-এর সমীক্ষায় মাত্র ৩২ শতাংশ আশাবাদী ছিলেন এবং ৬২ শতাংশ বাংলাদেশে অর্থনীতির গতিপথ সম্পর্কে হতাশ ছিলেন।
জরিপে মূল রাজনৈতিক ইস্যুতে উত্তরদাতাদের চিন্তাভাবনা বোঝার জন্য, প্রথমে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তাঁরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক দফা দাবিতে রূপান্তরিত হওয়াকে সমর্থন করেছেন কি না। উত্তরে বিপুলসংখ্যক মানুষ (৮৩ শতাংশ) বলেছেন, তাঁরা আন্দোলনের রূপান্তরকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে ১০ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা সমর্থন করেননি। অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য মেয়াদ সম্পর্কে ব্যাপক ভিন্নমত লক্ষ্য করা গেছে। ৩৮ শতাংশ জানিয়েছেন, এই সরকারকে তিন বছর বা তার বেশি বছর ক্ষমতায় থাকতে হবে। ২৪ শতাংশ মনে করেন সরকারের মেয়াদ ৬ মাস বা তার কম হওয়া উচিত। অন্যদিকে বেশির ভাগ উত্তরদাতা (৮১ শতাংশ) মনে করেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে যত দিন লাগে, সরকারের তত দিন ক্ষমতায় থাকা উচিত।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭১ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে। অন্যদিকে ১২ শতাংশের বিশ্বাস, দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। পটপরিবর্তন-পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত এক জরিপে এমন উঠে এসেছে।
‘পালস সার্ভে ২০২৪: জনগণের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ সমীক্ষায় রাজনীতি ও আর্থসামাজিক বিভিন্ন দিকে বাংলাদেশি নাগরিকদের উপলব্ধি জানতে চাওয়া হয়। এ জন্য টেলিফোন-সমীক্ষার মাধ্যমে দেশের সব জেলার মোট ২ হাজার ৩৬৩ জন নারী-পুরুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
‘অভ্যুত্থানের ৪০ দিন: মানুষ কী ভাবছে?’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জরিপের ফলাফল সবার সামনে তুলে ধরেন বিআইজিডির জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো মির্জা এম হাসান। সভায় উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও মামুন আব্দুল্লাহি; কর্মসূচি বাস্তবায়ন শাখার সদস্য রওনক জাহান, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন প্রমুখ। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জরিপের ফলাফল দেখাচ্ছে, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যাত্রা সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই ইতিবাচক। আমরা পূর্ববর্তী ইতিহাসে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এ ধরনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখেছি। অন্যদিকে আমরা কিন্তু হতাশাও দেখেছি। নাগরিকেরা সংস্কার চায়, কিছু প্রকৃত সংস্কার তখনই সম্ভব, যখন আমরা আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করব।’
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭১ শতাংশ বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে এবং ১২ শতাংশ বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ ভুল পথে রয়েছে। মাত্র ৪৩ শতাংশ লোক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী ছিলেন এবং ৪১ শতাংশ হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। অনুরূপভাবে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের গতিপথ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় ৬০ শতাংশ মানুষ বলেছেন, দেশ সঠিক পথে যাচ্ছে এবং ২৭ শতাংশ বলেছেন, দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। বিপরীতে, জানুয়ারি’ ২৪-এর সমীক্ষায় মাত্র ৩২ শতাংশ আশাবাদী ছিলেন এবং ৬২ শতাংশ বাংলাদেশে অর্থনীতির গতিপথ সম্পর্কে হতাশ ছিলেন।
জরিপে মূল রাজনৈতিক ইস্যুতে উত্তরদাতাদের চিন্তাভাবনা বোঝার জন্য, প্রথমে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তাঁরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক দফা দাবিতে রূপান্তরিত হওয়াকে সমর্থন করেছেন কি না। উত্তরে বিপুলসংখ্যক মানুষ (৮৩ শতাংশ) বলেছেন, তাঁরা আন্দোলনের রূপান্তরকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে ১০ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা সমর্থন করেননি। অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য মেয়াদ সম্পর্কে ব্যাপক ভিন্নমত লক্ষ্য করা গেছে। ৩৮ শতাংশ জানিয়েছেন, এই সরকারকে তিন বছর বা তার বেশি বছর ক্ষমতায় থাকতে হবে। ২৪ শতাংশ মনে করেন সরকারের মেয়াদ ৬ মাস বা তার কম হওয়া উচিত। অন্যদিকে বেশির ভাগ উত্তরদাতা (৮১ শতাংশ) মনে করেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে যত দিন লাগে, সরকারের তত দিন ক্ষমতায় থাকা উচিত।
বরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
১০ মিনিট আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৮ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৮ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে