নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাট বন্ধ, পর্যাপ্ত স্থায়ী জবাই কেন্দ্র স্থাপন, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণসহ ৬ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো—১. যত্রতত্র পশুর হাট বসানো সম্পূর্ণ বন্ধ ও নির্ধারিত স্থানে পশুর হাট নিশ্চিত করতে হবে; ২. পশুর হাটের প্রতিদিনের বর্জ্য দিন শেষে নিয়মিত ও সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হবে; ৩. এলাকাভিত্তিক নির্ধারিতস্থানে কোরবানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; ৪. কোরবানির পর অবিলম্বে সকল বর্জ্য অপসারণ করতে হবে; ৫. সিটি করপোরেশনের আর্থিক, জনবল, যানবাহনসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং ৬. পাড়ামহল্লা ভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি ও নিয়মিত পশু জবায়ের পর্যাপ্ত স্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাসের সঞ্চালনায় নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাপার নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, আমিনুর রসুল, ড. মাহবুব হোসেন, ইবনুল সাঈদ রানা, বাপার যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, আদি ঢাকাবাসী ফোরামের সভাপতি জাভেদ জাহান, পুরান ঢাকা নাগরিক কমিটির সভাপতি নাজিম উদ্দীন, নগরবাসী পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি হাজি আনছার আলী, গ্রীন ভয়েস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক রায়হান প্রমুখ।
এছাড়াও এতে আয়োজক সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ, পরিবেশবিদ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থী, সামাজিক আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাট বন্ধ, স্থায়ী জবাই কেন্দ্র স্থাপন ও কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ নিশ্চিত করা সরকার এবং সিটি করপোরেশনের মূল দায়িত্ব। এর পাশাপাশি দেশের জনসাধারণকে অধিক সচেতন হতে হবে। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করা, কোরবানি পরবর্তী দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য নিজে অপসারণ করা এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করা।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদ-উল-আজহা সমাগত। ঈদ মানেই আনন্দ। সেই আনন্দ যেন অন্যের জন্য বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এই ঈদে বিশেষ করে পশু কোরবানি অন্যতম প্রধান একটি অনুষঙ্গ। অতি শিগগিরই বিদ্যমান পশুর হাটগুলো গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ায় ভরে উঠবে। একপর্যায়ে এসব হাটের বাইরেও সারা দেশের সকল নগরেই বিভিন্ন অনির্ধারিত স্থানে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট। বাপা এ ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এর ফলে কিছু সফলতা এসেছে। কিন্তু এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপরই পড়ে। আমরা এখনো দেখি ঢাকা শহরের বিভিন্ন খেলার মাঠ, স্কুল-কলেজ এবং রাস্তার ওপর কোরবানির পশু জবাই করা হয়। এটা মোটেও পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো দিক নয়।’
বাপার নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন বলেন, প্রতিবছর রাজধানী ঢাকায় সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে কিছু নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু বেচাকেনার অস্থায়ী হাট বসানো হয়। তাছাড়াও সকল ওয়ার্ডে বা পাড়ায় পাড়ায় নতুন নতুন স্থানে, বিভিন্ন খেলার মাঠে, যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে, ছোট খাটো পার্কে, ছোট বা বড় রাস্তার ধারে দেখা যায় অসংখ্য পশুর সমাবেশ। এ সকল পশু তিন দিন পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া হবে। যার ফলে এর বর্জ্য রক্ত রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পড়বে। সময়মতো এ সকল বর্জ্য ও রক্ত অপসারণ না করলে জন দুর্ভোগের পাশাপাশি নানা ধরনের রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে স্থায়ী জবাইখানা নির্মাণ ও সেখানে কোরবানির ব্যবস্থা করা হোক।
বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদ-উত্তর নগরের দৃশ্য বিশেষ করে পুরোনো ঢাকায় অনেক স্থানেই বেশ অসহনীয় হয়ে উঠে। ঈদের পরদিন পুরোনো ঢাকার অধিকাংশ রাস্তায় চলাচল করাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। নারী-শিশু বা দুর্বলচিত্তের মানুষের পক্ষে এ সকল দৃশ্য বা উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, অনেকেই এ কয়টি দিন অস্বস্তিতে থাকেন, অসুস্থতাও অনুভব করেন। সিটি করপোরেশনের কোরবানি ব্যবস্থাপনার সকল কার্যকর উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং আমরা আশা করি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এবার কোনো চাপের মুখে পরাজিত হবেন না, কোনো রাস্তায় বা নাগরিকদের বাসা-বাড়ির সামনে বিচ্ছিন্ন পশুর চলাচল ও বিক্রি অনুমোদন করবেন না বরং বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রমটি আরও বিস্তৃত ও নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন।’
রাজধানীতে আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাট বন্ধ, পর্যাপ্ত স্থায়ী জবাই কেন্দ্র স্থাপন, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণসহ ৬ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো—১. যত্রতত্র পশুর হাট বসানো সম্পূর্ণ বন্ধ ও নির্ধারিত স্থানে পশুর হাট নিশ্চিত করতে হবে; ২. পশুর হাটের প্রতিদিনের বর্জ্য দিন শেষে নিয়মিত ও সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হবে; ৩. এলাকাভিত্তিক নির্ধারিতস্থানে কোরবানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; ৪. কোরবানির পর অবিলম্বে সকল বর্জ্য অপসারণ করতে হবে; ৫. সিটি করপোরেশনের আর্থিক, জনবল, যানবাহনসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং ৬. পাড়ামহল্লা ভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি ও নিয়মিত পশু জবায়ের পর্যাপ্ত স্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাসের সঞ্চালনায় নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাপার নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, আমিনুর রসুল, ড. মাহবুব হোসেন, ইবনুল সাঈদ রানা, বাপার যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, আদি ঢাকাবাসী ফোরামের সভাপতি জাভেদ জাহান, পুরান ঢাকা নাগরিক কমিটির সভাপতি নাজিম উদ্দীন, নগরবাসী পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি হাজি আনছার আলী, গ্রীন ভয়েস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক রায়হান প্রমুখ।
এছাড়াও এতে আয়োজক সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ, পরিবেশবিদ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থী, সামাজিক আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাট বন্ধ, স্থায়ী জবাই কেন্দ্র স্থাপন ও কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ নিশ্চিত করা সরকার এবং সিটি করপোরেশনের মূল দায়িত্ব। এর পাশাপাশি দেশের জনসাধারণকে অধিক সচেতন হতে হবে। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করা, কোরবানি পরবর্তী দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য নিজে অপসারণ করা এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করা।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদ-উল-আজহা সমাগত। ঈদ মানেই আনন্দ। সেই আনন্দ যেন অন্যের জন্য বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এই ঈদে বিশেষ করে পশু কোরবানি অন্যতম প্রধান একটি অনুষঙ্গ। অতি শিগগিরই বিদ্যমান পশুর হাটগুলো গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ায় ভরে উঠবে। একপর্যায়ে এসব হাটের বাইরেও সারা দেশের সকল নগরেই বিভিন্ন অনির্ধারিত স্থানে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট। বাপা এ ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এর ফলে কিছু সফলতা এসেছে। কিন্তু এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপরই পড়ে। আমরা এখনো দেখি ঢাকা শহরের বিভিন্ন খেলার মাঠ, স্কুল-কলেজ এবং রাস্তার ওপর কোরবানির পশু জবাই করা হয়। এটা মোটেও পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো দিক নয়।’
বাপার নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন বলেন, প্রতিবছর রাজধানী ঢাকায় সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে কিছু নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু বেচাকেনার অস্থায়ী হাট বসানো হয়। তাছাড়াও সকল ওয়ার্ডে বা পাড়ায় পাড়ায় নতুন নতুন স্থানে, বিভিন্ন খেলার মাঠে, যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে, ছোট খাটো পার্কে, ছোট বা বড় রাস্তার ধারে দেখা যায় অসংখ্য পশুর সমাবেশ। এ সকল পশু তিন দিন পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া হবে। যার ফলে এর বর্জ্য রক্ত রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পড়বে। সময়মতো এ সকল বর্জ্য ও রক্ত অপসারণ না করলে জন দুর্ভোগের পাশাপাশি নানা ধরনের রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে স্থায়ী জবাইখানা নির্মাণ ও সেখানে কোরবানির ব্যবস্থা করা হোক।
বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদ-উত্তর নগরের দৃশ্য বিশেষ করে পুরোনো ঢাকায় অনেক স্থানেই বেশ অসহনীয় হয়ে উঠে। ঈদের পরদিন পুরোনো ঢাকার অধিকাংশ রাস্তায় চলাচল করাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। নারী-শিশু বা দুর্বলচিত্তের মানুষের পক্ষে এ সকল দৃশ্য বা উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, অনেকেই এ কয়টি দিন অস্বস্তিতে থাকেন, অসুস্থতাও অনুভব করেন। সিটি করপোরেশনের কোরবানি ব্যবস্থাপনার সকল কার্যকর উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং আমরা আশা করি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এবার কোনো চাপের মুখে পরাজিত হবেন না, কোনো রাস্তায় বা নাগরিকদের বাসা-বাড়ির সামনে বিচ্ছিন্ন পশুর চলাচল ও বিক্রি অনুমোদন করবেন না বরং বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রমটি আরও বিস্তৃত ও নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন।’
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
২ মিনিট আগেসরকারি জমি ও সৈকতের বেলাভূমি দখলের যেন মচ্ছব চলছে কক্সবাজারে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতারা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় জায়গা দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। গত তিন থেকে চার মাসে শহরের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সৈকতে...
৫ মিনিট আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
১৪ মিনিট আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
২১ মিনিট আগে