মো. রিয়াদ হোসেইন, কালীগঞ্জ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে টঙ্গীর দূরত্ব মাত্র ১৯ কিলোমিটার। স্বল্পদৈর্ঘ্যের এ রাস্তায় শুধু লেগুনা ও কালীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট (কেটিএল) বাস চলছে। এসব যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। তবে বাস ও লেগুনাসংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের দাবি, কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কে পরিবহন মালিকদের প্রতি বাসে প্রায় ৮৬০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। আর এ কারণেই যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হয় বেশি।
দূরত্ব কম হলেও কালীগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার যানবাহন প্রয়োজনের তুলনায় কম। এ ছাড়া একদিকে ভাড়া বেশি, অন্যদিকে যানজটে যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। খরচ কমাতে অনেকে রেলপথে বেশি যাতায়াত করেন।
বাসযাত্রী মো. আকবর আলী জানান, তাঁর কর্মস্থল ঢাকার উত্তরায়। তিনি প্রতিদিন বাসে যাতায়াত করেন। কালীগঞ্জ থেকে টঙ্গীর দূরত্ব মাত্র ১৯ কিলোমিটার। এত অল্প রাস্তায় ৪০ টাকা ভাড়া অনেক বেশি। কাপাসিয়া মোড় এলাকায় শুধু চাঁদা আদায়ের জন্য গাড়ি আটকিয়ে যানজটের সৃষ্টি করা হয় বলেও জানান তিনি।
লেগুনাযাত্রী নীলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। যেহেতু অফিস করি, তাই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। সাধারণত ৪০ টাকা ভাড়া হলেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখিয়ে প্রায়ই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। এর অনেক কারণের মধ্যে চাঁদা দেওয়াটা প্রধান। চালক বা মালিকপক্ষ আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে তাদের দেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই সড়কের বাসচালক বলেন, ‘এ রাস্তায় গাড়ি চালানো এখন প্রায় অসম্ভব। রোজগারের বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। এত বেশি পরিমাণ চাঁদা মনে হয় আর কোনো সড়কে নেই। কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে ৩০০ টাকা, পৌরসভার জন্য ৩০ টাকা, কাপাসিয়া মোড়ে ৩০ টাকা আর টঙ্গী স্ট্যান্ডে দিতে হয় ৫০০ টাকা। দৈনিক ৮৬০ টাকা চাঁদা দেওয়ার পর নিজের রোজগার নিয়ে আর ঘরে ফিরতে পারি না। তাই পরিবার-পরিজনকে স্বচ্ছন্দে রাখতে পারি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের এক লেগুনাচালক জানান, প্রতিদিন তিনি ৪-৫ বার টঙ্গী-কালীগঞ্জ যাওয়া-আসা করতে পারেন। গাড়ির চাপ অধিক হওয়ায় সড়কে যানজট লেগেই থাকে। তার ওপর চাঁদার পরিমাণও বেড়ে গেছে। সকালে গাড়ি নিয়ে সড়কে বের হলে কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে দিতে হয় ১৩০ টাকা, পৌরসভার চাঁদা ৩০ টাকা, কাপাসিয়া মোড়ে দিতে হয় ৩০ টাকা আর টঙ্গী স্ট্যান্ডে ২৫০ টাকা, সব মিলিয়ে ৪৪০ টাকা। যাত্রী থাকুক বা না থাকুক, সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হলেই ওই টাকা দিতে হয়। বাধ্য হয়ে আমাদের যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নিতে হয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক বাসমালিক বলেন, ‘এত টাকা দিয়ে একটি বাস সড়কে নামিয়ে দিনে ১ হাজার টাকা আয় করা বড় কষ্ট। গাড়ির যন্ত্রাংশ সার্ভিসিং, তেল ও মবিলেই চলে যায় অনেক টাকা। তার ওপর প্রায় ৮৬০ টাকা চাঁদা দেওয়াটা অনেকটাই কষ্টকর। গাড়ি নিয়ে বিপদে আছি—না পারছি ছাড়তে, না পারছি রাখতে।’
লেগুনামালিক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান (টিটিল) বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চারজন লাইনম্যান আছে। তাদের বেতন বাবদ ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো টাকা স্ট্যান্ডের জন্য নেওয়া হয় না। তবে পৌরসভার চাঁদা ৩০ টাকা, কাপাসিয়া মোড়ে ২০ টাকা এবং টঙ্গীতে ২০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। এর বাইরে আর কোথাও কোনো টাকা লাগে না।
এ বিষয়ে বাসমালিক সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আব্দুল হালিম বলেন, ‘যে বা যারা অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এত টাকা চাঁদা নেওয়া হয় না। বাসই চলে চার-পাঁচটি। তাহলে কীভাবে এত টাকা নেব।’ কত টাকা চাঁদা নেওয়া হয়—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও চাঁদা তোলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি এসেছি মাত্র কিছুদিন হলো। সামনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি তুলব।’
কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াছমিন বলেন, ‘আমি আসার পর এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে টঙ্গীর দূরত্ব মাত্র ১৯ কিলোমিটার। স্বল্পদৈর্ঘ্যের এ রাস্তায় শুধু লেগুনা ও কালীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট (কেটিএল) বাস চলছে। এসব যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। তবে বাস ও লেগুনাসংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের দাবি, কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কে পরিবহন মালিকদের প্রতি বাসে প্রায় ৮৬০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। আর এ কারণেই যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হয় বেশি।
দূরত্ব কম হলেও কালীগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার যানবাহন প্রয়োজনের তুলনায় কম। এ ছাড়া একদিকে ভাড়া বেশি, অন্যদিকে যানজটে যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। খরচ কমাতে অনেকে রেলপথে বেশি যাতায়াত করেন।
বাসযাত্রী মো. আকবর আলী জানান, তাঁর কর্মস্থল ঢাকার উত্তরায়। তিনি প্রতিদিন বাসে যাতায়াত করেন। কালীগঞ্জ থেকে টঙ্গীর দূরত্ব মাত্র ১৯ কিলোমিটার। এত অল্প রাস্তায় ৪০ টাকা ভাড়া অনেক বেশি। কাপাসিয়া মোড় এলাকায় শুধু চাঁদা আদায়ের জন্য গাড়ি আটকিয়ে যানজটের সৃষ্টি করা হয় বলেও জানান তিনি।
লেগুনাযাত্রী নীলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। যেহেতু অফিস করি, তাই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। সাধারণত ৪০ টাকা ভাড়া হলেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখিয়ে প্রায়ই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। এর অনেক কারণের মধ্যে চাঁদা দেওয়াটা প্রধান। চালক বা মালিকপক্ষ আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে তাদের দেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই সড়কের বাসচালক বলেন, ‘এ রাস্তায় গাড়ি চালানো এখন প্রায় অসম্ভব। রোজগারের বড় একটা অংশ চাঁদা দিতে হয়। এত বেশি পরিমাণ চাঁদা মনে হয় আর কোনো সড়কে নেই। কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে ৩০০ টাকা, পৌরসভার জন্য ৩০ টাকা, কাপাসিয়া মোড়ে ৩০ টাকা আর টঙ্গী স্ট্যান্ডে দিতে হয় ৫০০ টাকা। দৈনিক ৮৬০ টাকা চাঁদা দেওয়ার পর নিজের রোজগার নিয়ে আর ঘরে ফিরতে পারি না। তাই পরিবার-পরিজনকে স্বচ্ছন্দে রাখতে পারি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের এক লেগুনাচালক জানান, প্রতিদিন তিনি ৪-৫ বার টঙ্গী-কালীগঞ্জ যাওয়া-আসা করতে পারেন। গাড়ির চাপ অধিক হওয়ায় সড়কে যানজট লেগেই থাকে। তার ওপর চাঁদার পরিমাণও বেড়ে গেছে। সকালে গাড়ি নিয়ে সড়কে বের হলে কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে দিতে হয় ১৩০ টাকা, পৌরসভার চাঁদা ৩০ টাকা, কাপাসিয়া মোড়ে দিতে হয় ৩০ টাকা আর টঙ্গী স্ট্যান্ডে ২৫০ টাকা, সব মিলিয়ে ৪৪০ টাকা। যাত্রী থাকুক বা না থাকুক, সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হলেই ওই টাকা দিতে হয়। বাধ্য হয়ে আমাদের যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নিতে হয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক বাসমালিক বলেন, ‘এত টাকা দিয়ে একটি বাস সড়কে নামিয়ে দিনে ১ হাজার টাকা আয় করা বড় কষ্ট। গাড়ির যন্ত্রাংশ সার্ভিসিং, তেল ও মবিলেই চলে যায় অনেক টাকা। তার ওপর প্রায় ৮৬০ টাকা চাঁদা দেওয়াটা অনেকটাই কষ্টকর। গাড়ি নিয়ে বিপদে আছি—না পারছি ছাড়তে, না পারছি রাখতে।’
লেগুনামালিক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান (টিটিল) বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চারজন লাইনম্যান আছে। তাদের বেতন বাবদ ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো টাকা স্ট্যান্ডের জন্য নেওয়া হয় না। তবে পৌরসভার চাঁদা ৩০ টাকা, কাপাসিয়া মোড়ে ২০ টাকা এবং টঙ্গীতে ২০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। এর বাইরে আর কোথাও কোনো টাকা লাগে না।
এ বিষয়ে বাসমালিক সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আব্দুল হালিম বলেন, ‘যে বা যারা অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এত টাকা চাঁদা নেওয়া হয় না। বাসই চলে চার-পাঁচটি। তাহলে কীভাবে এত টাকা নেব।’ কত টাকা চাঁদা নেওয়া হয়—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও চাঁদা তোলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি এসেছি মাত্র কিছুদিন হলো। সামনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি তুলব।’
কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াছমিন বলেন, ‘আমি আসার পর এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আদালতে শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তাঁর অনুসারীদের বাধার কারণে প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান আটকে রাখার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার
৬ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের তুলশীখালী ও চিত্রকোট এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) এই পার্ক পরিদর্শন করেন তিনি।
১৯ মিনিট আগেসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ, কোনো প্রকার আঘাত এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতি দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২৫ মিনিট আগেবঙ্গবন্ধু রেলসেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।
৩৩ মিনিট আগে