টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের বৃহৎ রেলসেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দুই বগিযুক্ত এই ট্রেন চালানোর মধ্য দিয়ে করা হচ্ছে প্রতিটি ধাপের পরিমাপ। আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশের পূর্বপাড় থেকে ছেড়ে যায়।
ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের পশ্চিম অংশে গিয়ে পৌঁছে ১০টা ২০ মিনিটে। তারপর সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্ত থেকে অপর একটি দুই বগি সংযুক্ত রেল ইঞ্জিনটি ছেড়ে আসে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। আর জানুয়ারি থেকে চলবে বাণিজ্যিকভাবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যমুনা সেতু পূর্ব প্রান্তে ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, যমুনা সেতুর ওপরে দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুতে গতকাল সোমবার বিকেলে প্রথম রেল চালানো হয়। দুই বগিযুক্ত ওই রেল ইঞ্জিনটি ৩৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসে। আজ মঙ্গলবার ৯টা ৪০ মিনিটে পুনরায় রেল চালানো হয় ওই সেতু দিয়ে। ওই ট্রেনটি সফলভাবে সেতুর প্রান্তে সিরাজগঞ্জে ১০টা ২০ মিনিটে পৌঁছায়। পরবর্তীতে আরেকটি ট্রেন সেতুর পশ্চিম প্রান্ত সিরাজগঞ্জ থেকে ১০টা ২০ মিনিটে পূর্ব প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পূর্ব প্রান্ত থেকে চালানো ট্রেনের পরিচালক ছিলেন সুজন মিয়া এবং চালক মাসুদ রানা। আর পশ্চিম প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের পরিচালক ছিলেন বিশ্বজিৎ আর চালক মো. সুলতান।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান জানান, আজ মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিনই কিছুক্ষণ পর পর দুই প্রান্ত থেকে ট্রেন দুটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতুর ওপর দিয়ে আসা যাওয়া করবে। এই ট্রেন চালানোর উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন বিষয় মেজারমেন্ট করা। গতির পরিমাপসহ বিভিন্ন বিষয় পরিমাপ করা। খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ করা।
তিনি বলেন, পরিমাপের এই বিষয়গুলো দেখভাল করছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ নাইমুল হক। আগামীকাল বুধবার তিনি নিজেও সবকিছু পর্যবেক্ষণের জন্য যাবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। জানুয়ারি থেকে চলবে বাণিজ্যিকভাবে। প্রথমে ট্রেনটি ১০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করলেও পরে ৪০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করে।
সেতুটির প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন হয় ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার।
ডব্লিউডি-২ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে করেছে জাপানের আইএইচআই ও এসএমসিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার। এ ছাড়া সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের কাজ করেছে। সেতুটি নির্মাণে জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের কর্মীরা নিয়োজিত ছিলেন।
সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই শেষ হবে। সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
রেলওয়ের সূত্র জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২০ সালের আগস্ট এই সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের বৃহৎ রেলসেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দুই বগিযুক্ত এই ট্রেন চালানোর মধ্য দিয়ে করা হচ্ছে প্রতিটি ধাপের পরিমাপ। আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশের পূর্বপাড় থেকে ছেড়ে যায়।
ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের পশ্চিম অংশে গিয়ে পৌঁছে ১০টা ২০ মিনিটে। তারপর সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্ত থেকে অপর একটি দুই বগি সংযুক্ত রেল ইঞ্জিনটি ছেড়ে আসে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। আর জানুয়ারি থেকে চলবে বাণিজ্যিকভাবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যমুনা সেতু পূর্ব প্রান্তে ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, যমুনা সেতুর ওপরে দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুতে গতকাল সোমবার বিকেলে প্রথম রেল চালানো হয়। দুই বগিযুক্ত ওই রেল ইঞ্জিনটি ৩৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসে। আজ মঙ্গলবার ৯টা ৪০ মিনিটে পুনরায় রেল চালানো হয় ওই সেতু দিয়ে। ওই ট্রেনটি সফলভাবে সেতুর প্রান্তে সিরাজগঞ্জে ১০টা ২০ মিনিটে পৌঁছায়। পরবর্তীতে আরেকটি ট্রেন সেতুর পশ্চিম প্রান্ত সিরাজগঞ্জ থেকে ১০টা ২০ মিনিটে পূর্ব প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পূর্ব প্রান্ত থেকে চালানো ট্রেনের পরিচালক ছিলেন সুজন মিয়া এবং চালক মাসুদ রানা। আর পশ্চিম প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের পরিচালক ছিলেন বিশ্বজিৎ আর চালক মো. সুলতান।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান জানান, আজ মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিনই কিছুক্ষণ পর পর দুই প্রান্ত থেকে ট্রেন দুটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতুর ওপর দিয়ে আসা যাওয়া করবে। এই ট্রেন চালানোর উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন বিষয় মেজারমেন্ট করা। গতির পরিমাপসহ বিভিন্ন বিষয় পরিমাপ করা। খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ করা।
তিনি বলেন, পরিমাপের এই বিষয়গুলো দেখভাল করছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ নাইমুল হক। আগামীকাল বুধবার তিনি নিজেও সবকিছু পর্যবেক্ষণের জন্য যাবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। জানুয়ারি থেকে চলবে বাণিজ্যিকভাবে। প্রথমে ট্রেনটি ১০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করলেও পরে ৪০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করে।
সেতুটির প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন হয় ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার।
ডব্লিউডি-২ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে করেছে জাপানের আইএইচআই ও এসএমসিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার। এ ছাড়া সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের কাজ করেছে। সেতুটি নির্মাণে জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের কর্মীরা নিয়োজিত ছিলেন।
সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই শেষ হবে। সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
রেলওয়ের সূত্র জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২০ সালের আগস্ট এই সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
ঢাকার আশুলিয়ার রেডিয়েন্স ফ্যাশন লিমিটেডের আমদানির করা অর্ধকোটি টাকার জিনসের কাপড় চুরি হওয়ার পর উদ্ধার করেছে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ। গাজীপুরের কোনাবাড়ী, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসব কাপড় জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাসুম ওরফে বাবু (৩৪) নামের এক যুবককে কোনাবাড়ী থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
৮ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে ঘটনার সূত্রপাত হলেও বিকেলেও সংঘর্ষ চলছিল। এই উত্তেজনা পরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে চৌকা সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
১৫ মিনিট আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) নির্মাণাধীন একাডেমিক ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মো. সালাম (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। ভবনের কাজ ৬০ শতাংশ করে বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে পাঠদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
৩৭ মিনিট আগে