নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোথাও হুড়োহুড়ি, কোথাও হাতাহাতি—এভাবেই চলছে দিনে ১ কোটি টিকা দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন। এতে নজিরবিহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টিকা নিতে আসা লাখ লাখ মানুষকে। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টিকাপ্রত্যাশীর তুলনায় বুথের সংখ্যা কম ও খোলামেলা জায়গায় না হওয়ায় এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আজ শনিবার এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেরাদিয়ার হিন্দুপাড়ায় সকাল ৯টায় টিকাদান শুরু হয়। এই কেন্দ্রে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়ান হাজার হাজার মানুষ। এই ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে একই সময়ে শুরু হয়েছে টিকা দেওয়া। কিন্তু বুথের তুলনায় টিকাপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় একাধিক কেন্দ্রে ঘণ্টারও বেশি বন্ধ ছিল টিকা দেওয়া।
সরেজমিন মেরাদিয়া হিন্দুপাড়ায় সকাল ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, টিকা নিতে আসা কয়েক হাজার নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু টিকা দেওয়া হচ্ছে না। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক না থাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। কে কার আগে টিকা নেবেন, সেই হুড়োহুড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হয় টিকাদান।
টিকা নিতে ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন শিপ্রা রানী। কিন্তু বেলা ১১টা বাজলেও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন শিপ্রা। তিনি বলেন, ‘সেই ভোর থেকে টিকা নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। নাশতা পর্যন্ত করিনি। তার পরও টিকা নিতে পারিনি। লাইন ভেঙে অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। কখন টিকা পাব তা-ও জানি না।’
রিকশাচালক মোকাব্বের হোসেন বলেন, ‘যেখানে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে মাত্র একটা বুথ। যে যেভাবে পারছে, টিকা নিচ্ছে। কিন্তু ভোর থেকেই অপেক্ষা করছি। এক পা এগোতে পারিনি।’
কেন্দ্রের টিকাদানকর্মী নুসরাত আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এতগুলো মানুষকে কীভাবে একটা বুথে টিকা দেব? মানুষ কথা শুনছে না। কাউন্সিলের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক এসেছেন মাত্র দুজন। নেই প্রশাসনের কোনো লোক। মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে।’
টিকাদানকর্মী জানান, সকাল থেকে দুই ঘণ্টায় মাত্র ৭৬ জনকে টিকা দিতে পেরেছি।
এই কেন্দ্রের পাশেই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাকসুদ হোসেনের কার্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে টিকা দেওয়া শুরু হলেও বিশৃঙ্খলার কারণে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীর পোশাক পরা এক কর্মীকে পরিস্থিতি সামাল দিতে মারধর করতে দেখা যায়। এতে কয়েকজন আহত হন।
কাউন্সিলর মহসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছুই করার নেই। সিটি করপোরেশন যেভাবে বলেছে, আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছি। শুধু এই কেন্দ্রই নয়, ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রেরই এমন চিত্র।’
সিপাহীবাগের টেম্পোস্ট্যান্ড কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এই কেন্দ্রের অবস্থা আরও নাজুক। কেন্দ্রের বাইরে হাজার হাজার মানুষ। হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে এই কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন আহত হন।
গোড়ানের আলী আহমদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায় মানুষের দীর্ঘ লাইন। কেউ ভোর থেকে আবার কেউ সকাল ৭টা থেকে অপেক্ষায় রয়েছেন। এই কেন্দ্রে চারটি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের অভিযোগ, হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন মুখ দেখে দেখে নিজেদের লোক ঢোকাচ্ছেন।
বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে এর সত্যতাও পাওয়া যায়। তবে টিকা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকেরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেন।
টিকার তথ্য জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সম্রাট রেগে গিয়ে বলেন, ‘আপনি কোথাকার সাংবাদিক, আমরাও সাংবাদিক। কোনো কথা কইবেন না।’
এ সময় তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে যান। পরে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক এসে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতি ওয়ার্ডে ৯টি করে কেন্দ্র হিসেবে সর্বমোট ৬৭৫টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম চলছে। প্রতি কেন্দ্রে ৫০০ জনকে টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পরিচালিত হতে যাওয়া এই কার্যক্রমে সর্বমোট ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ জনকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
একই অবস্থা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কেন্দ্রগুলোতেও। বাড্ডার আলাতুন্নেছা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের চিত্র। ভোর থেকেই মানুষের ভিড় এই কেন্দ্রে। এই সিটির ৫৪টি কেন্দ্রের ৪৮৬টি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাড়ে ৩ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল। আমরা ৫ লাখ টার্গেট নিয়েছি। আজকের পরে আপাতত সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আছে।’
এদিকে কোটি টিকা দিতে বিরতিহীনভাবে টিকা কার্যক্রম চালানোর কথা জানিয়েছে সরকার। যতক্ষণ মানুষ আছে, ততক্ষণ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের টিকাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আজ শনিবার সকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
সচিব বলেন, ‘প্রথম ডোজের জন্য যে টার্গেট নেওয়া হয়েছে, তাতে সবাই রেসপন্স করছে। আশা করি, আমরা ‘ কোটির যে টার্গেট নিয়েছি, সেটা শেষ করে আরও বেশি টিকা দিতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে লোকমান হোসেন বলেন, ‘আজকে টার্গেট পূরণ না হলে সময় বাড়ানো হবে কি না, এ বিষয়ে সন্ধ্যার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কোথাও হুড়োহুড়ি, কোথাও হাতাহাতি—এভাবেই চলছে দিনে ১ কোটি টিকা দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন। এতে নজিরবিহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টিকা নিতে আসা লাখ লাখ মানুষকে। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টিকাপ্রত্যাশীর তুলনায় বুথের সংখ্যা কম ও খোলামেলা জায়গায় না হওয়ায় এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আজ শনিবার এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেরাদিয়ার হিন্দুপাড়ায় সকাল ৯টায় টিকাদান শুরু হয়। এই কেন্দ্রে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়ান হাজার হাজার মানুষ। এই ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে একই সময়ে শুরু হয়েছে টিকা দেওয়া। কিন্তু বুথের তুলনায় টিকাপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় একাধিক কেন্দ্রে ঘণ্টারও বেশি বন্ধ ছিল টিকা দেওয়া।
সরেজমিন মেরাদিয়া হিন্দুপাড়ায় সকাল ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, টিকা নিতে আসা কয়েক হাজার নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু টিকা দেওয়া হচ্ছে না। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক না থাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। কে কার আগে টিকা নেবেন, সেই হুড়োহুড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হয় টিকাদান।
টিকা নিতে ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন শিপ্রা রানী। কিন্তু বেলা ১১টা বাজলেও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন শিপ্রা। তিনি বলেন, ‘সেই ভোর থেকে টিকা নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। নাশতা পর্যন্ত করিনি। তার পরও টিকা নিতে পারিনি। লাইন ভেঙে অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। কখন টিকা পাব তা-ও জানি না।’
রিকশাচালক মোকাব্বের হোসেন বলেন, ‘যেখানে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে মাত্র একটা বুথ। যে যেভাবে পারছে, টিকা নিচ্ছে। কিন্তু ভোর থেকেই অপেক্ষা করছি। এক পা এগোতে পারিনি।’
কেন্দ্রের টিকাদানকর্মী নুসরাত আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এতগুলো মানুষকে কীভাবে একটা বুথে টিকা দেব? মানুষ কথা শুনছে না। কাউন্সিলের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক এসেছেন মাত্র দুজন। নেই প্রশাসনের কোনো লোক। মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে।’
টিকাদানকর্মী জানান, সকাল থেকে দুই ঘণ্টায় মাত্র ৭৬ জনকে টিকা দিতে পেরেছি।
এই কেন্দ্রের পাশেই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাকসুদ হোসেনের কার্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে টিকা দেওয়া শুরু হলেও বিশৃঙ্খলার কারণে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীর পোশাক পরা এক কর্মীকে পরিস্থিতি সামাল দিতে মারধর করতে দেখা যায়। এতে কয়েকজন আহত হন।
কাউন্সিলর মহসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছুই করার নেই। সিটি করপোরেশন যেভাবে বলেছে, আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছি। শুধু এই কেন্দ্রই নয়, ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রেরই এমন চিত্র।’
সিপাহীবাগের টেম্পোস্ট্যান্ড কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এই কেন্দ্রের অবস্থা আরও নাজুক। কেন্দ্রের বাইরে হাজার হাজার মানুষ। হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে এই কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন আহত হন।
গোড়ানের আলী আহমদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায় মানুষের দীর্ঘ লাইন। কেউ ভোর থেকে আবার কেউ সকাল ৭টা থেকে অপেক্ষায় রয়েছেন। এই কেন্দ্রে চারটি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের অভিযোগ, হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন মুখ দেখে দেখে নিজেদের লোক ঢোকাচ্ছেন।
বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে এর সত্যতাও পাওয়া যায়। তবে টিকা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকেরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেন।
টিকার তথ্য জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সম্রাট রেগে গিয়ে বলেন, ‘আপনি কোথাকার সাংবাদিক, আমরাও সাংবাদিক। কোনো কথা কইবেন না।’
এ সময় তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে যান। পরে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক এসে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতি ওয়ার্ডে ৯টি করে কেন্দ্র হিসেবে সর্বমোট ৬৭৫টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম চলছে। প্রতি কেন্দ্রে ৫০০ জনকে টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পরিচালিত হতে যাওয়া এই কার্যক্রমে সর্বমোট ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ জনকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
একই অবস্থা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কেন্দ্রগুলোতেও। বাড্ডার আলাতুন্নেছা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের চিত্র। ভোর থেকেই মানুষের ভিড় এই কেন্দ্রে। এই সিটির ৫৪টি কেন্দ্রের ৪৮৬টি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাড়ে ৩ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল। আমরা ৫ লাখ টার্গেট নিয়েছি। আজকের পরে আপাতত সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আছে।’
এদিকে কোটি টিকা দিতে বিরতিহীনভাবে টিকা কার্যক্রম চালানোর কথা জানিয়েছে সরকার। যতক্ষণ মানুষ আছে, ততক্ষণ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের টিকাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আজ শনিবার সকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
সচিব বলেন, ‘প্রথম ডোজের জন্য যে টার্গেট নেওয়া হয়েছে, তাতে সবাই রেসপন্স করছে। আশা করি, আমরা ‘ কোটির যে টার্গেট নিয়েছি, সেটা শেষ করে আরও বেশি টিকা দিতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে লোকমান হোসেন বলেন, ‘আজকে টার্গেট পূরণ না হলে সময় বাড়ানো হবে কি না, এ বিষয়ে সন্ধ্যার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৭ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

কোথাও হুড়োহুড়ি, কোথাও হাতাহাতি—এভাবেই চলছে দিনে এক কোটি টিকা দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন। এতে নজিরবিহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টিকা নিতে আসা লাখ লাখ মানুষকে। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টিকাপ্রত্যাশীর তুলনায় বুথের সংখ্যা কম ও খোলামেলা জায়গায় না হওয়ায় এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

কোথাও হুড়োহুড়ি, কোথাও হাতাহাতি—এভাবেই চলছে দিনে এক কোটি টিকা দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন। এতে নজিরবিহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টিকা নিতে আসা লাখ লাখ মানুষকে। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টিকাপ্রত্যাশীর তুলনায় বুথের সংখ্যা কম ও খোলামেলা জায়গায় না হওয়ায় এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৭ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কোথাও হুড়োহুড়ি, কোথাও হাতাহাতি—এভাবেই চলছে দিনে এক কোটি টিকা দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন। এতে নজিরবিহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টিকা নিতে আসা লাখ লাখ মানুষকে। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টিকাপ্রত্যাশীর তুলনায় বুথের সংখ্যা কম ও খোলামেলা জায়গায় না হওয়ায় এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৭ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

কোথাও হুড়োহুড়ি, কোথাও হাতাহাতি—এভাবেই চলছে দিনে এক কোটি টিকা দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন। এতে নজিরবিহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টিকা নিতে আসা লাখ লাখ মানুষকে। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টিকাপ্রত্যাশীর তুলনায় বুথের সংখ্যা কম ও খোলামেলা জায়গায় না হওয়ায় এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাজধানীর
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৭ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে