ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
ঘটনা পর গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন—পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামের উজ্জল কুমার বিশ্বাস (৪১), কামারখালী বাজার এলাকার বিনয় সাহা (৬০), জাননগর গ্রামের গোবিন্দ সরকার (২৮) ও অনয় ভাদুরী (১৯)। এদের মধ্যে উজ্জল কুমার বিশ্বাস ও বিনয় সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ মঙ্গলবার বাকি ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন—রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির আকশুকনা গ্রামের উজ্জল কুমার মিত্র (৩৩) ও পুষআমলা গ্রামের বিশ্বজিৎ মল্লিক (৫২), সাধুখালী গ্রামের কনক বিশ্বাস (২৭), মাগুরার শ্রীপুর থানার মদনপুর গ্রামের প্রসেনজিৎ সরকার (৫২), বড়ালীদহ গ্রামের সুজয় বিশ্বাস (১৬), মধুখালীর জিনিসনগর গ্রামের তপন কুমার মন্ডল (৪০), তারাপুর গ্রামের অনুপ রায় (৩১) ও টুটুল চন্দ্র মন্ডল (৩০)। এদের ১৬৪ ধারায় নাম উঠে এসেছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে এবং আগামীকাল বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সুতরাং, এ মামলায় মানুষের উত্তেজিত হওয়ার কোনো বিষয় নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজে ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকারে দেখা গেছে। তারা এখন পলাতক আছে, আমরা তাদের খুঁজছি। খুব দ্রুতই তাদের আমার গ্রেপ্তার করব। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে আজও পুলিশ কিছু জানায়নি।
১৬৪ ধারায় দুই আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন শ্রমিকেরা স্কুল ঘরে ছিল। তাদের সামনেই অনেকে শ্রমিকদের মারধর করে, কেউ কেউ ইট ছুড়ে মারে। শ্রমিকদের মারধরের কারণ হিসেবে আসামি দুজন বলেছে, তারা আগুন দেওয়ার কথা শুনেছে, শ্রমিকেরা যে আগুন দিয়েছে এ রকম কেউ দেখেনি। সন্দেহ করে শ্রমিকদের বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে সন্দেহের বশে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা হবে।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। আমাদের কাছে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের তথ্য ছাড়া অন্য কোনো তথ্য ছিল না। ওই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানানো হয়, আজ (মঙ্গলবার) মধুখালীতে মানববন্ধন হবে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি আবার স্ট্যাটাস দেয় কোনো মানববন্ধন হবে না। তারপরও পুলিশ সকাল থেকে মধুখালীর ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তার জন্য অবস্থান নেয়, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেখানে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ জড়ো হয়।
তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গ্রুপ আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর পরিচালিত করেছে। তারা চায় না, পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করা হোক। সে জন্য তারা পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিশেষ উদ্দেশ্যে আজকের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, সকল ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম। কারও কোনো সংশয় বা অবকাশ প্রকাশ করার নেই।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আজকের ঘটনায় পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছে, গাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। তারা মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, একজন ভ্যানচালক ওই বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে, সে তখন ইটের আঘাতে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় হয়তো পুলিশের ছোড়রা গুলি তার লাগতে পারে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে একটি কালিমন্দিরের কালিমূর্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে মন্দির সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণকাজের নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহ করে মারধর শুরু করে কয়েক তরুণ। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসীকে জানানো হয়, তারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় সহোদর দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুলের নিহত হন। তবে পুলিশ জানিয়েছেন, মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শ্রমিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার মানুষ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিকে রূপ নেয়, নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় প্রশাসন। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে পুলিশের ছোড়া গুলি ও টিয়ারশেলে কমপক্ষে ১৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হন। তাদের মধ্যে উপজেলার কামারখালীর উজানদিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সোহেল রানা (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতার ছোড়া ইটপাটকেলে অনেক পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
ঘটনা পর গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন—পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামের উজ্জল কুমার বিশ্বাস (৪১), কামারখালী বাজার এলাকার বিনয় সাহা (৬০), জাননগর গ্রামের গোবিন্দ সরকার (২৮) ও অনয় ভাদুরী (১৯)। এদের মধ্যে উজ্জল কুমার বিশ্বাস ও বিনয় সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ মঙ্গলবার বাকি ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন—রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির আকশুকনা গ্রামের উজ্জল কুমার মিত্র (৩৩) ও পুষআমলা গ্রামের বিশ্বজিৎ মল্লিক (৫২), সাধুখালী গ্রামের কনক বিশ্বাস (২৭), মাগুরার শ্রীপুর থানার মদনপুর গ্রামের প্রসেনজিৎ সরকার (৫২), বড়ালীদহ গ্রামের সুজয় বিশ্বাস (১৬), মধুখালীর জিনিসনগর গ্রামের তপন কুমার মন্ডল (৪০), তারাপুর গ্রামের অনুপ রায় (৩১) ও টুটুল চন্দ্র মন্ডল (৩০)। এদের ১৬৪ ধারায় নাম উঠে এসেছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে এবং আগামীকাল বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সুতরাং, এ মামলায় মানুষের উত্তেজিত হওয়ার কোনো বিষয় নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজে ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকারে দেখা গেছে। তারা এখন পলাতক আছে, আমরা তাদের খুঁজছি। খুব দ্রুতই তাদের আমার গ্রেপ্তার করব। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে আজও পুলিশ কিছু জানায়নি।
১৬৪ ধারায় দুই আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন শ্রমিকেরা স্কুল ঘরে ছিল। তাদের সামনেই অনেকে শ্রমিকদের মারধর করে, কেউ কেউ ইট ছুড়ে মারে। শ্রমিকদের মারধরের কারণ হিসেবে আসামি দুজন বলেছে, তারা আগুন দেওয়ার কথা শুনেছে, শ্রমিকেরা যে আগুন দিয়েছে এ রকম কেউ দেখেনি। সন্দেহ করে শ্রমিকদের বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে সন্দেহের বশে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা হবে।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। আমাদের কাছে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের তথ্য ছাড়া অন্য কোনো তথ্য ছিল না। ওই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানানো হয়, আজ (মঙ্গলবার) মধুখালীতে মানববন্ধন হবে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি আবার স্ট্যাটাস দেয় কোনো মানববন্ধন হবে না। তারপরও পুলিশ সকাল থেকে মধুখালীর ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তার জন্য অবস্থান নেয়, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেখানে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ জড়ো হয়।
তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গ্রুপ আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর পরিচালিত করেছে। তারা চায় না, পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করা হোক। সে জন্য তারা পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিশেষ উদ্দেশ্যে আজকের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, সকল ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম। কারও কোনো সংশয় বা অবকাশ প্রকাশ করার নেই।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আজকের ঘটনায় পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছে, গাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। তারা মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, একজন ভ্যানচালক ওই বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে, সে তখন ইটের আঘাতে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় হয়তো পুলিশের ছোড়রা গুলি তার লাগতে পারে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে একটি কালিমন্দিরের কালিমূর্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে মন্দির সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণকাজের নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহ করে মারধর শুরু করে কয়েক তরুণ। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসীকে জানানো হয়, তারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় সহোদর দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুলের নিহত হন। তবে পুলিশ জানিয়েছেন, মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শ্রমিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার মানুষ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিকে রূপ নেয়, নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় প্রশাসন। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে পুলিশের ছোড়া গুলি ও টিয়ারশেলে কমপক্ষে ১৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হন। তাদের মধ্যে উপজেলার কামারখালীর উজানদিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সোহেল রানা (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতার ছোড়া ইটপাটকেলে অনেক পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ।
১ ঘণ্টা আগেথানা হলো জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্রস্থল। পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। আমরা সম্মানিত নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। থানায় আসা একজন ব্যক্তিও যেন সেবা বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে...
১ ঘণ্টা আগেঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
১০ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১১ ঘণ্টা আগে