এক্সপ্রেসওয়েতে তরুণীকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি  
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪: ৫৪
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে তরুণীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তৌহিদ শেখ তন্ময়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে গুলি করে সাহিদা আক্তার (২৪) হত্যার ঘটনায় তার বন্ধু তৌহিদ শেখ তন্ময়কে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ সোমবার মুন্সিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বরিশালের ভোলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইশতিয়াক আশফাক। তৌহিদ শেখের তথ্যে কেরানীগঞ্জের একটি পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইশতিয়াক আশফাক বলেন, ‘আমাদের অভিযান এখনো চলছে। এর আগে এই ঘটনায় রোববার সকাল ১০টার দিকে নিহতের মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে প্রেমের সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করে ওই মামলায় নিহত তরুণী সাহিদা আক্তারের প্রেমিক তৌহিদকে প্রধান আসামি করা হয়।’

এদিকে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে নিহত ওই নারীকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে ৫ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করা হয়।

নিহত সাহিদা আক্তারের মা জরিনা খাতুন বলেন, ‘তৌহিদ নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করত সাহিদা। তাদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায়ই মারামারি হতো। এমনকি আমাকেও ওই যুবক বেশ কয়েকবার মারধর করেছে। একপর্যায়ে আমি প্রেমের বিষয়টি মেনেও নেই। কিন্তু ছেলের পরিবার মানতে চাইতো না। আমার কাছে ছেলের মা বিয়ে বাবদ ১০ লাখ টাকাও চায়। আমি বাসা-বাড়ি কাজ করে খাই। আমি প্রায়ই আমার মেয়েকে বলতাম এই ছেলের সঙ্গে এভাবে যেখানে সেখানে ঘোরাঘুরি না করতে। কিন্তু আমার কথা শুনতো না।’

নিহত তরুণী সাহিদা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
নিহত তরুণী সাহিদা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

জরিনা আরও বলেন, ‘গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাহিদা আমাদের সঙ্গে বাসায় ছিল। এমন সময় ফোনে সাহিদাকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে শনিবার দুপুরে আমার মেয়েকে গুলি করে হত্যার খবর পাই পুলিশের কাছ থেকে। আমি শুনেছিলাম ছেলের বাড়ি বিক্রমপুর। মনে হয় ওই ছেলেই আমার মেয়েকে এখানে নিয়ে এসে হত্যা করেছে।’

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন ও নারিন্দা এলাকার বলধা গার্ডেন সংলগ্ন কামাল মিয়ার বাড়িতে বাচ্চাদের দেখাশোনার কাজ করতেন। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত মো. মোতালেবের মেয়ে সাহিদা। তারা দুই ভাই ও তিন বোন। তা ছাড়া ৭-৮ বছর আগে সাহিদার একটি বিয়েও হয়েছিল। পরে সেই সম্পর্ক টিকেনি।

এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে শুনেছি, বিস্তারিত কিছু আমি বলতে পারব না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত