ডিম-মুরগির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ভোক্তার পকেট কাটা হচ্ছে: বিপিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৫৯
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০: ২২

করপোরেট গ্রুপগুলো ডিম-মুরগির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ভোক্তাদের পকেট কাটছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনটির তথ্য বলছে, করপোরেট গ্রুপগুলো খেয়ালখুশিমতো বিভিন্ন সময় ডিম, মুরগি, পোলট্রি ফিড ও বাচ্চার দাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাড়াচ্ছে। এর মাধ্যমে বাজারে ডিম-মুরগির বাড়তি দাম জায়েজ করার চেষ্টা করছে।

বিপিএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ আগস্ট একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার উৎপাদন খরচ ছিল ২৮-৩০ টাকা। আর বিক্রয় দাম ছিল ৩৫ টাকা। কালার বার্ড সোনালি মুরগির বাচ্চার উৎপাদন খরচ ২০-২২ টাকা। বিক্রি হয়েছিল ৩০-৩২ টাকায়। ডিমের লেয়ার বাচ্চা উৎপাদন খরচ ২০-২৫, বিক্রি হয় ৪৫-৫০ টাকায়।

কী এমন উৎপাদন খরচ বাড়ল যে ২০ দিনের ব্যবধানে আজ ১৩ সেপ্টেম্বরে কোনো কারণ ছাড়াই সেই বাচ্চা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়, কালার বার্ড সোনালি মুরগির বাচ্চা ৫০-৫৫ টাকা, আর লেয়ার মুরগির বাচ্চা ৬৫-৭০ টাকায়।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, কেন কয়েক দিন পরপর ডিম-মুরগির দাম বাড়ে, এ বিষয়ে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। আগে করপোরেট গ্রুপ ফিড ও বাচ্চা উৎপাদন করত। তখন কোনো অস্থিরতা ছিল না। কিন্তু ২০২০ সালের করোনা মহামারির পর থেকে করপোরেট গ্রুপগুলো ডিম-মুরগি উৎপাদন শুরু করে। এরপর থেকেই বাজার অস্থিরতা শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত