গাজীপুরের শ্রীপুরে জৈনা বাজার থেকে কাওরাইদ সড়কের জৈনা বাজার প্রবেশ মুখে বর্ষাকাল আসার পূর্বেই আধা কিলোমিটার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। অল্প বৃষ্টিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাজার হাজার ছোট বড় গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করে থাকে। এই সড়কের দুই পাশে রয়েছে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই সড়কে চলাচল করে কর্মস্থলে যায় হাজার হাজার শ্রমিক। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে তৈরি হয় চরম ভোগান্তি। 

ভোগান্তি দূর করতে বছর পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় সড়ক বিভাগ এই আধা কিলোমিটার সড়কের সংস্কার করেনি। এই বর্ষায় ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা ভুক্তভোগীদের। 

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা বাজার থেকে আব্দুল আওয়াল ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক ইট সলিং। অনেক স্থানে ইট সলিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলাচলের ফলে পানি কাদায় পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচলের সময় কাদাপানি ছিটে যাচ্ছে পথচারীদের শরীরে। অনেক সময় মালবাহী ইজিবাইক, সিএনজি উল্টে মালামাল নষ্ট হচ্ছে। আহত হচ্ছে যাত্রীরা। 

ইজিবাইক চালক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘এখনো বর্ষাকাল আসেনি। এখনই চলাচল করা যায় না, পরবর্তীতে কি হবে আল্লাহ জানে। কয়েক দিন ধরে অনেক অটোরিকশা ইজিবাইক উল্টে যাচ্ছে।’ 

সিএনজি চালক মো. ফরিদ মিয়া বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের যে অবস্থা। রাস্তায় জন্য সিএনজি চালানো খুবই কষ্ট। আজও দুইটি সিএনজি একটি অটোরিকশা উল্টে গেছে।’ 
 
এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী কারখানার শ্রমিক পাপিয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদের কষ্ট শুরু হয়ে গেছে। চলাচল করা খুবই সমস্যা। গাড়ি চলাচলের কারণে ময়লা পানি ছিটে জামাকাপড় নষ্ট করে।’ অপর এক শ্রমিক আল আমিন বলেন, ‘প্রতিদিন কাদা পানি ঠেলে কর্মস্থলে যেতে হয়।’ 

কলেজ শিক্ষার্থী লিমন বলেন, ‘১২ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর। আর আধা কিলোমিটার ঝুলে রয়েছে। কলেজে যাওয়া আসাতে আমাদের খুবই সমস্যা। জামাকাপড় একদিনেই ময়লা পানিতে শেষ।’ 

তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির বিষয়ে আমি প্রতিনিয়ত তাগাদা দিচ্ছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ করে ভোগান্তি দূর হবে।’ 

শ্রীপুর উপজেলার প্রকৌশলী এ জেড এম রাকিবুল আহসান বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে এই সড়কের জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তা দিয়ে কাজ করা সম্ভব না। পরবর্তীতে নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে।’