নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাংবাদিকেরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকেরা পেনশনের দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সমাজের সব মানুষ এই পেনশন সুবিধার আওতায় আসবে, সাংবাদিকেরাও আসবে। সাংবাদিকেরা এর আওতায় আসার ক্ষেত্রে প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের একটি দায়দায়িত্ব আছে এবং থাকবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সবকিছুতে ‘না’ বলা বিএনপি, এই কল্যাণমূলক প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করছে। আশা করি তারা ‘না’ রোগ থেকে মুক্তি পাবে।’
সবকিছু নিয়ে সমালোচনা করার বাতিক থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটিতে আপনাদের কোনো ‘সাজেশন’ থাকলে বলুন। সেই পরিকল্পনা যখন প্রকাশ করা হবে, সেখানে কোনো ভালো ‘সাজেশন’ থাকলে অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এ রকম একটি ভালো উদ্যোগের কেন সমালোচনা করছেন? সবকিছুতেই না বলার যে বাতিক, সেটাই তাদের পেয়ে বসেছে, তা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছে না। আশা করব তারা এই না বলা রোগ থেকে মুক্তি পাক।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেন এবং হুমকির সম্মুখীন হয়েও সমাজে অবহেলিত, উপেক্ষিত মানুষকে নিয়ে লেখেন, তাদের আমি ‘স্যালুট’ জানাই। কারণ এ ধরনের রিপোর্ট দরকার। এ ধরনের রিপোর্ট সমাজকে পথ দেখায় এবং দায়িত্বশীলদের আরও দায়িত্ববান হতে তাগাদা দেয়। গণমাধ্যমে আজকে যে অগ্রগতি সেটি এবং কোনো অসংগতি থাকলে সেটিও তুলে ধরুন। আমাদের সরকার সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করে।’
গণমাধ্যম জগতের বিরাজমান কয়েক দশকের পুঞ্জীভূত বিশৃঙ্খলা দূর হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাব্ল অপারেটররা টেলিভিশন মালিকের কাছে দাবি করত যে বেশি টাকা না দিলে সিরিয়াল যাবে পঞ্চাশে, টাকা দিলে সিরিয়াল যাবে পাঁচে। সেখানে সিরিয়াল ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এখন টেলিভিশন মালিকদের আর অপারেটরদের দ্বারস্থ হতে হয় না। বিদেশি মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন চলে যাওয়া বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকেই মনে করছে বিদেশি টিভির ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার কখনোই সম্ভব না, সেটি আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। সংবাদপত্রে অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনেকে বাস্তবায়ন করেছে আবার অনেকেই করে নাই। নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে। আমি মনে করি যে সবার নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা উচিত। আমরা এ নিয়ে কাজ করব।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাংবাদিকবান্ধব নেতা ছিলেন। আজ কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সমস্ত সাংবাদিক সাহায্য পাচ্ছে, অনুদান পাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে কে কোন দলের কে কোন মতের সেটি দেখা হচ্ছে না। যারা সরকারের সমালোচনা করেন তারাও সাহায্য পাচ্ছেন। করোনাকালে দেশের সকল অঞ্চলের সাংবাদিকেরা সহায়তা পেয়েছে। সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েরাও যাতে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পায় তার জন্য নীতিমালা হচ্ছে, সেই নীতিমালা খুব সহসা চূড়ান্ত হবে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু’র পরিচালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দ্যা ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য প্রমুখ।
সাংবাদিকেরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকেরা পেনশনের দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সমাজের সব মানুষ এই পেনশন সুবিধার আওতায় আসবে, সাংবাদিকেরাও আসবে। সাংবাদিকেরা এর আওতায় আসার ক্ষেত্রে প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের একটি দায়দায়িত্ব আছে এবং থাকবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সবকিছুতে ‘না’ বলা বিএনপি, এই কল্যাণমূলক প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করছে। আশা করি তারা ‘না’ রোগ থেকে মুক্তি পাবে।’
সবকিছু নিয়ে সমালোচনা করার বাতিক থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটিতে আপনাদের কোনো ‘সাজেশন’ থাকলে বলুন। সেই পরিকল্পনা যখন প্রকাশ করা হবে, সেখানে কোনো ভালো ‘সাজেশন’ থাকলে অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এ রকম একটি ভালো উদ্যোগের কেন সমালোচনা করছেন? সবকিছুতেই না বলার যে বাতিক, সেটাই তাদের পেয়ে বসেছে, তা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছে না। আশা করব তারা এই না বলা রোগ থেকে মুক্তি পাক।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেন এবং হুমকির সম্মুখীন হয়েও সমাজে অবহেলিত, উপেক্ষিত মানুষকে নিয়ে লেখেন, তাদের আমি ‘স্যালুট’ জানাই। কারণ এ ধরনের রিপোর্ট দরকার। এ ধরনের রিপোর্ট সমাজকে পথ দেখায় এবং দায়িত্বশীলদের আরও দায়িত্ববান হতে তাগাদা দেয়। গণমাধ্যমে আজকে যে অগ্রগতি সেটি এবং কোনো অসংগতি থাকলে সেটিও তুলে ধরুন। আমাদের সরকার সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করে।’
গণমাধ্যম জগতের বিরাজমান কয়েক দশকের পুঞ্জীভূত বিশৃঙ্খলা দূর হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাব্ল অপারেটররা টেলিভিশন মালিকের কাছে দাবি করত যে বেশি টাকা না দিলে সিরিয়াল যাবে পঞ্চাশে, টাকা দিলে সিরিয়াল যাবে পাঁচে। সেখানে সিরিয়াল ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এখন টেলিভিশন মালিকদের আর অপারেটরদের দ্বারস্থ হতে হয় না। বিদেশি মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন চলে যাওয়া বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকেই মনে করছে বিদেশি টিভির ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার কখনোই সম্ভব না, সেটি আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। সংবাদপত্রে অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনেকে বাস্তবায়ন করেছে আবার অনেকেই করে নাই। নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে। আমি মনে করি যে সবার নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা উচিত। আমরা এ নিয়ে কাজ করব।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাংবাদিকবান্ধব নেতা ছিলেন। আজ কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সমস্ত সাংবাদিক সাহায্য পাচ্ছে, অনুদান পাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে কে কোন দলের কে কোন মতের সেটি দেখা হচ্ছে না। যারা সরকারের সমালোচনা করেন তারাও সাহায্য পাচ্ছেন। করোনাকালে দেশের সকল অঞ্চলের সাংবাদিকেরা সহায়তা পেয়েছে। সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েরাও যাতে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পায় তার জন্য নীতিমালা হচ্ছে, সেই নীতিমালা খুব সহসা চূড়ান্ত হবে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু’র পরিচালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দ্যা ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য প্রমুখ।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
২ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীদের’ হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
২ ঘণ্টা আগে