Ajker Patrika

মেট্রোরেলে টিকিট-সংকটে স্টেশনে দীর্ঘ লাইন, ভোগান্তিতে মানুষ

  • ৪০-৫০ হাজার একক যাত্রার টিকিট প্রয়োজন। আছে ৩০ হাজার।
  • ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুঃখপ্রকাশ কর্তৃপক্ষের।
অনলাইন ডেস্ক
টিকিটের জন্য অপেক্ষা। ছবি আজকের পত্রিকা
টিকিটের জন্য অপেক্ষা। ছবি আজকের পত্রিকা

মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট-সংকট এখন নিত্যদিনের ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে। টিকিটের স্বল্পতায় স্টেশনগুলোতে স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রির মেশিন বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকছে। চালু থাকা মেশিনগুলোর অধিকাংশে প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে, যা দুর্ভোগ আরও বাড়াচ্ছে। টিকিট সংগ্রহে যাত্রীদের ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রী বাসে যাতায়াত করছেন।

মেট্রোরেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র বলেছে, মেট্রোরেলে দিনে তিন লাখের বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। এর প্রায় অর্ধেক যাত্রী একক যাত্রার টিকিট ব্যবহার করেন। বাকিরা এমআরটি কার্ড ব্যবহার করেন। প্রায় ২ লাখ একক যাত্রার টিকিট যাত্রীরা সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। কিছু কার্ড নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে মেট্রোরেলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার একক যাত্রার টিকিট প্রয়োজন। সেখানে টিকিট আছে ৩০ হাজার। একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ হলে বা কিউআর কোড সিস্টেম চালু হলে এই ভোগান্তি দূর হয়ে যাবে।

গতকাল দুপুরে সরেজমিনে মেট্রোরেলের মতিঝিল, সচিবালয়, কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্টেশন ঘুরে যাত্রীদের অনেক ভিড় দেখা যায়। টিকিট বিক্রয় মেশিনের একেকটি লাইনে ৫০ থেকে শতাধিক যাত্রী অপেক্ষায় ছিলেন। একক যাত্রার টিকিট-স্বল্পতার কারণে কিছু টিকিট বিক্রয় মেশিন বন্ধও রাখা ছিল। সচল মেশিনেও মাঝেমধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে।

মতিঝিল থেকে শেওড়াপাড়াগামী যাত্রী আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কয়েক দিন থেকে এই সমস্যা। দ্রুত যাওয়ার জন্য মেট্রোরেলে এসেছিলাম। অথচ স্টেশনেই সময় নষ্ট হচ্ছে।’ লিটন সরকার নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘সব মেশিন চালু নেই। যেগুলো চালু, সেগুলোও মাঝেমধ্যে হ্যাং হয়ে যায়।’

একক যাত্রার টিকিটের স্বল্পতার কারণে গত শুক্রবার রাতে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুঃখ প্রকাশ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। তবে গতকাল সন্ধ্যায় আরেক ফেসবুক পোস্টে কর্তৃপক্ষ জানায়, চাহিদামতো একক যাত্রার টিকিট নিয়ে সমস্যা কেটে গেছে। যাত্রীদের আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ গতকাল বিকেলে বলেন, ‘টিকিটের সংকট রয়েছে। তবে এর জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করি রোববার থেকে কোনো সমস্যা থাকবে না। কিউআর কোডের টিকিটের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমাদের র‍্যাপিড পাস পুরোপুরি বিক্রি শুরু হয়েছে। এমআরটি পাসের পরিবর্তে র‍্যাপিড পাস কেনা যাবে। র‍্যাপিড পাসই এমআরটি পাসের কাজ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিড়াল মনিবকে কেন মৃত প্রাণী ‘উপহার’ দেয়

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

বৃষ্টি অপেক্ষায় রেখেছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়েকে

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রত্যাহার করতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত