সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ চার সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪-এর একটি দল। আজ রবিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়। 

গতকাল শনিবার সকালে র‍্যাব ৪ (সিপিসি ২)-এর সহকারী পুলিশ সুপার মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল আশুলিয়ার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। রাতেই গ্রেপ্তারকৃতদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। 

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকার সালাম মৃধার ছেলে বাহাদুর মৃধা (২৭), জামগড়া এলাকার বকুল ভূঁইয়ার ছেলে রনি ভূঁইয়া (২৪), টঙ্গাবাড়ী এলাকার মৃত তালুকদার তোফায়েল হোসেন বাবুর ছেলে তালুকদার মাহমুদুল হাসান অনিক (৩২) এবং আশুলিয়ার মৃত তালুকদার শফিকুল ইসলামের ছেলে তালুকদার ওয়ালিউল ইসলাম শুভ (২২)। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা গত ২ এপ্রিল আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুরে আবু সামা মৃধার অফিসে অবৈধ দেশি অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ভাঙচুর, মারপিট ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় পরদিন ৩ এপ্রিল ভুক্তভোগীর পরিবার আসামিদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। 

এ ঘটনায় র‍্যাব-৪ মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে। তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড গুলি, একটি লোহার পাইপ, চারটি পাসপোর্ট ও ১১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হুমকি, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাভার ও আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের এলাকায় ৮-১০ জনের সদস্য নিয়ে একটি সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। সাধারণ মানুষের সম্পত্তি দখল, চাঁদাবাজি, চাঁদার জন্য হুমকি দেওয়া, মাদক ব্যবসা, জুয়ার কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তারা জড়িত। 

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘আসামিরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’