ফুপাতো ভাইকে হত্যার পর মেঘনায় ছুরি ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা: র‍্যাব 

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ২১
Thumbnail image

নরসিংদীতে ফুপাতো ভাইকে হত্যা মামলায় দুই সহোদর ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। তাঁদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানিয়েছে, মামাতো ভাই হানিফ মিয়াকে (৩২) হত্যার পর ছুরি মেঘনা নদীতে ফেলে আত্মগোপনে চলে যান তাঁরা। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব ১১–এর সিপিএসসি নরসিংদীর স্কোয়াড্রন লিডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন। 

এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে র‍্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর এবং নরসিংদী ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব-মাসাব এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার দুজন হলেন নরসিংদী শহরের চৌয়ালা মহল্লার মৃত মো. হাবিবুর রহমান হাবুর ছেলে নাঈম (৩০) ও মো. নাদিম মিয়া (২৫)। 

র‍্যাব জানায়, শহরের চৌয়ালা এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে হানিফ মিয়াকে (৩২) ১ অক্টোবর দুপুরে নরসিংদী শহরের কাউরিয়াপাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের গেটের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার সদর থানায় মামলা করে। 

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক ও জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দেড় মাস আগে নিহত হানিফ ও তাঁর ছোট ভাই আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু, প্রতিবেশী সাজ্জাদের সহযোগিতায় তাঁদের মামা হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহত হানিফ, আব্দুল্লাহ ও সাজ্জাদের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করা হয়। 

পরে আসামি আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু গ্রেপ্তার হলেও হানিফ ও সাজ্জাদ আত্মগোপনে চলে যায়। ১ অক্টোবর দুপুরে মো. হানিফ মিয়া পৌর ঈদগাহ মাঠে এক ব্যক্তির জানাজার নামাজ পড়তে যান। এ সময় তাঁর দুই মামাতো ভাই নাঈম ও নাদিম আসামি হানিফ মিয়াকে দেখতে পেয়ে কামারের দোকান থেকে বড় ছুরি কেনেন। পরে ওত পেতে থাকে এবং কাউরিয়াপাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের মেইন গেটের সামনে পৌঁছালে হানিফ মিয়াকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি মেঘনা নদীতে ফেলে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তাঁরা। 

র‍্যাব ১১ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রূপগঞ্জের তারাবো এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত