নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি।’
আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজ নিঃসন্দেহে একটি শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল, সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছিলেন সাত কোটি মানুষের একজন পুরোধা নারী, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু সেদিন রাজাকার, আলবদর, আলশামস, ঘাতক দালালেরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন, অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে—সেসব কথা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা আলোচনা হয়, কিন্তু এই দিকগুলো একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস আলোচনায় আনা উচিত।’
সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের মা হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তাঁর পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলে সাইফ ইমাম জামী বক্তব্য দেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি।’
আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজ নিঃসন্দেহে একটি শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল, সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছিলেন সাত কোটি মানুষের একজন পুরোধা নারী, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু সেদিন রাজাকার, আলবদর, আলশামস, ঘাতক দালালেরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন, অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে—সেসব কথা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা আলোচনা হয়, কিন্তু এই দিকগুলো একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস আলোচনায় আনা উচিত।’
সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের মা হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তাঁর পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলে সাইফ ইমাম জামী বক্তব্য দেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভা চলছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে সভাটি শুরু হয়। কুয়েট উপাচার্য মোহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করছেন। সভা কেন্দ্র করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
৩০ মিনিট আগেবাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে রেখেই এসএসসি পরীক্ষায় বসতে হলো খাইরুল বেপারী নামের এক শিক্ষার্থীকে। আজ বুধবার সকালে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায় সে।
৩৪ মিনিট আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে প্রতীকী আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিট হরাইজন নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক এই মহাসড়ক অবরোধ করেন।
১ ঘণ্টা আগে