নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের দেশ। দুর্ধর্ষ এই কাজ করেছেন আশিক চৌধুরী।
অনানুষ্ঠানিকভাবে এত উচ্চতা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্ব রেকর্ড। কেবল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে ঘোষণার অপেক্ষা। সে কাজও চলছে। কী অনুপ্রাণিত করেছিল আশিককে এই দুর্ধর্ষ কাজে? স্মিত হেসে সেই গল্প দিয়েই শুরু করেন।
‘ডাইভিংয়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরে সবাই জাম্পস্যুট পরে। সেখানে সবাই খুব আগ্রহ করে তাঁদের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ বসান। আমি যেদিন প্রথম জাম্পস্যুট পরে গেলাম, সেদিন আমাদের ফ্ল্যাগ দেখে প্রথম জিজ্ঞেস করল, জাপানের ফ্ল্যাগ কি না, তারপরে নেপালের, তারপরে ইন্ডিয়া—এ রকম বলতে বলতে অনেক দেশের নাম বলল। আসলে ডাইভিং কমিউনিটিতে এটা কমন ফ্ল্যাগ না। তাই ওরা চিনবে না। সেখান থেকে পুরো আইডিয়াটার জন্ম। এমন কিছু করা যায় কি না, যাতে আমাদের দেশের নামটা ওই কমিউনিটিতে এবং অ্যাডভেঞ্চারস স্পোর্টসে আমরা খুব একটা প্রেজেন্ট না; ওই জায়গায় নিজের দেশের নামটা পরিচিত করাতে পারি কি না। প্ল্যানটা ছিল বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ নিয়ে যত ওপরে ওঠা যায়, তত ওপর থেকে জাম্প করা।’ গল্পের শুরুটা এভাবে বলে দম নিলেন আশিক।
এরপরে কী করে এই যাত্রা পূর্ণতার প্রাপ্তিতে ভরে উঠল, সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তার আগে একটু বলে নিই, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর বাবার কাছে বিমান চালনার রোমাঞ্চকর গল্প শুনতেন ঠিকই, তবে উচ্চতাভীতি ছিল তাঁর যথেষ্ট। পেশায় ব্যাংকার হলেও বিলেতে পড়তে গিয়ে স্কাই ডাইভিংয়ের পোকা মাথায় ঢোকে। তারপরে থাইল্যান্ডে স্কাই ডাইভিংয়ে চলে একের পর এক অভিজ্ঞতা।
আশিকের এই রোমাঞ্চকর গল্পের ইংরেজি নাম ঠিক এ রকম, ‘দ্য হাইয়েস্ট এভার স্কাই ডাইভ উইদ আ ফ্ল্যাগ’। এতে ভাঙা হয়েছে দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি রেকর্ড। একটি ‘লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল’ আরেকটি ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রি ফল উইদ দ্য ফ্ল্যাগ।’ বিশ্বে অ্যারোনটিক্যাল রেকর্ডের স্বীকৃতি দানকারী প্রধান সংস্থা এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আশিকের স্কাই ডাইভটি পর্যবেক্ষণ করেন। স্কাই ডাইভিংয়ের সময় আশিকের হাতে থাকা বাংলাদেশের পতাকাটির মাপ ছিল প্রায় ৭ বর্গফুট, যা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে এযাবৎ ওড়ানো সবচেয়ে বড় পতাকা। আশিক তাঁর এই প্রস্তুতিতে তিনটি পতাকা ব্যবহার করেছিলেন। এর একটিই ছিল তাঁর হাতে গতকালের আয়োজনে।
এই দুরূহ কাজ তো এত সহজ নয়। সেই শ্বাসরুদ্ধকর গল্পও বললেন। ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে ‘হাই অল্টিচ্যুড লো ওপেনিং’ (হেলো) স্কাই ডাইভ করেন আশিক। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সাধারণত ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর ওপরে উঠতে দরকার হয় বিশেষায়িত বিমান। যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের এয়ারফিল্ডে এ ধরনের বিশেষ বিমান পাওয়া যায়। আশিক বলেন, তাদের ডাইভিংয়ের জন্য বিমান ওঠানামাও বন্ধ রাখা হয়েছিল।
দেশের পতাকা হাতে প্রায় তিন মিনিট পর্যন্ত তিনি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নেমে আসেন। ঝাঁপ দেওয়ার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘণ্টায় ৩১৪ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি (ভার্টিক্যাল স্পিড) লাভ করেন। ৩৭ হাজার ২৯০ ফুট উচ্চতা অতিক্রমের পর অবশেষে ৪ হাজার ৪৯৮ ফুট উচ্চতা থেকে তিনি প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করেন। পুরো ঝাঁপটা ছিল ছয় মিনিটের কম।
আশিক বলেন, ‘এই উদ্যোগ থেকে আমরা আসলে কী অ্যাচিভ করেছি। দুটো ভাগে বলব, এক কোয়ান্টিটেটিভ দুই, কোয়ালিটিভলি আমাদের অ্যাচিভমেন্ট। এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আমার সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে গত বুধবার রিপোর্ট দিয়েছেন। এসব প্যারামিটার হিসাব করে অলরেডি দুটো রেকর্ড আমাদের ভাঙা হয়ে গেছে। বাট কোয়ালিটিভলি আমরা কী অর্জন করেছি, সেটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি শেয়ার হয়েছে যে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ অলমোস্ট মহাশূন্যে দেখা যাচ্ছে। আমার জন্য ওটা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশের পতাকার যে কনসেপ্ট, সেটা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা এমন একটা উচ্চতায় আমাদের পতাকা নিয়ে যাচ্ছি, যেখানে এই সাইজের পতাকা ইতিহাসে আর যায়নি। এটা হলো সবচেয়ে বড় অর্জন। সেকেন্ড হয়েছে, বন্ধুরা অনেকে বলেছে, তাদের বাচ্চারা আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমার জন্য এটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। মূলত আইডিয়াটা এটাই ছিল যে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে আগামী প্রজন্মকে যে তারা যাতে স্বপ্ন দেখতে ভুলে না যায়।’
গতকাল রাজধানীর গুলশানের ইউসিবি পিএলসির ভবনে এই অনন্য রেকর্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্পনসর কোম্পানি ইউসিবি। সেখানে স্পনসরের কথা বলতে গিয়ে আশিক বলেন, ‘এসব অপরিচিত খেলাধুলায় সাধারণত কোম্পানিগুলো স্পনসর করতে এগিয়ে আসে না। ইউসিবির কাছে কৃতজ্ঞতা। তারা এসেছে। এক মাস আগেও তার স্পনসরের নিশ্চয়তা ছিল না।
অনুষ্ঠানে ইউসিবি পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিজেদের সক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে আরও বেশি সফল ও দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠার সংস্কৃতিই ইউসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই যাদের ভেতর বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার এবং দৃষ্টান্ত গড়ার সত্যিকার স্পৃহা রয়েছে, আমরা সব সময়ই তাদের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেওয়ার জন্য আশিকের প্রতি অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।’
আশিক বলছিলেন, স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে লাইসেন্স পাওয়ার পরে লোকজন বিভিন্ন দিকে চলে যায়। সাধারণত কিছু একদম আনন্দের জন্য ডাইভিং করে। কিছু আছে যারা ইনস্ট্রাক্টর হয়ে যায়। পরে ট্যুরিস্টদের নিয়ে ঝাঁপ দেয়। কিছু মানুষ আছে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। কিছু মানুষ আছে বাউন্ডারি ছাড়ানোর স্বপ্নে বিভোর থাকে। আশিক সেই মানুষদের একজন, যাঁরা স্কাই ডাইভিংয়ের নেক্সট কী রেকর্ড করা যায়, সেদিকে দৌড়ান। এ যেন নজরুলের সেই কবিতার লাইনকে দেখে নেওয়া—‘বিশ্বজগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।’
পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের দেশ। দুর্ধর্ষ এই কাজ করেছেন আশিক চৌধুরী।
অনানুষ্ঠানিকভাবে এত উচ্চতা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্ব রেকর্ড। কেবল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে ঘোষণার অপেক্ষা। সে কাজও চলছে। কী অনুপ্রাণিত করেছিল আশিককে এই দুর্ধর্ষ কাজে? স্মিত হেসে সেই গল্প দিয়েই শুরু করেন।
‘ডাইভিংয়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরে সবাই জাম্পস্যুট পরে। সেখানে সবাই খুব আগ্রহ করে তাঁদের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ বসান। আমি যেদিন প্রথম জাম্পস্যুট পরে গেলাম, সেদিন আমাদের ফ্ল্যাগ দেখে প্রথম জিজ্ঞেস করল, জাপানের ফ্ল্যাগ কি না, তারপরে নেপালের, তারপরে ইন্ডিয়া—এ রকম বলতে বলতে অনেক দেশের নাম বলল। আসলে ডাইভিং কমিউনিটিতে এটা কমন ফ্ল্যাগ না। তাই ওরা চিনবে না। সেখান থেকে পুরো আইডিয়াটার জন্ম। এমন কিছু করা যায় কি না, যাতে আমাদের দেশের নামটা ওই কমিউনিটিতে এবং অ্যাডভেঞ্চারস স্পোর্টসে আমরা খুব একটা প্রেজেন্ট না; ওই জায়গায় নিজের দেশের নামটা পরিচিত করাতে পারি কি না। প্ল্যানটা ছিল বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ নিয়ে যত ওপরে ওঠা যায়, তত ওপর থেকে জাম্প করা।’ গল্পের শুরুটা এভাবে বলে দম নিলেন আশিক।
এরপরে কী করে এই যাত্রা পূর্ণতার প্রাপ্তিতে ভরে উঠল, সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তার আগে একটু বলে নিই, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর বাবার কাছে বিমান চালনার রোমাঞ্চকর গল্প শুনতেন ঠিকই, তবে উচ্চতাভীতি ছিল তাঁর যথেষ্ট। পেশায় ব্যাংকার হলেও বিলেতে পড়তে গিয়ে স্কাই ডাইভিংয়ের পোকা মাথায় ঢোকে। তারপরে থাইল্যান্ডে স্কাই ডাইভিংয়ে চলে একের পর এক অভিজ্ঞতা।
আশিকের এই রোমাঞ্চকর গল্পের ইংরেজি নাম ঠিক এ রকম, ‘দ্য হাইয়েস্ট এভার স্কাই ডাইভ উইদ আ ফ্ল্যাগ’। এতে ভাঙা হয়েছে দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি রেকর্ড। একটি ‘লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল’ আরেকটি ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রি ফল উইদ দ্য ফ্ল্যাগ।’ বিশ্বে অ্যারোনটিক্যাল রেকর্ডের স্বীকৃতি দানকারী প্রধান সংস্থা এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আশিকের স্কাই ডাইভটি পর্যবেক্ষণ করেন। স্কাই ডাইভিংয়ের সময় আশিকের হাতে থাকা বাংলাদেশের পতাকাটির মাপ ছিল প্রায় ৭ বর্গফুট, যা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে এযাবৎ ওড়ানো সবচেয়ে বড় পতাকা। আশিক তাঁর এই প্রস্তুতিতে তিনটি পতাকা ব্যবহার করেছিলেন। এর একটিই ছিল তাঁর হাতে গতকালের আয়োজনে।
এই দুরূহ কাজ তো এত সহজ নয়। সেই শ্বাসরুদ্ধকর গল্পও বললেন। ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে ‘হাই অল্টিচ্যুড লো ওপেনিং’ (হেলো) স্কাই ডাইভ করেন আশিক। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সাধারণত ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর ওপরে উঠতে দরকার হয় বিশেষায়িত বিমান। যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের এয়ারফিল্ডে এ ধরনের বিশেষ বিমান পাওয়া যায়। আশিক বলেন, তাদের ডাইভিংয়ের জন্য বিমান ওঠানামাও বন্ধ রাখা হয়েছিল।
দেশের পতাকা হাতে প্রায় তিন মিনিট পর্যন্ত তিনি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নেমে আসেন। ঝাঁপ দেওয়ার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘণ্টায় ৩১৪ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি (ভার্টিক্যাল স্পিড) লাভ করেন। ৩৭ হাজার ২৯০ ফুট উচ্চতা অতিক্রমের পর অবশেষে ৪ হাজার ৪৯৮ ফুট উচ্চতা থেকে তিনি প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করেন। পুরো ঝাঁপটা ছিল ছয় মিনিটের কম।
আশিক বলেন, ‘এই উদ্যোগ থেকে আমরা আসলে কী অ্যাচিভ করেছি। দুটো ভাগে বলব, এক কোয়ান্টিটেটিভ দুই, কোয়ালিটিভলি আমাদের অ্যাচিভমেন্ট। এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আমার সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে গত বুধবার রিপোর্ট দিয়েছেন। এসব প্যারামিটার হিসাব করে অলরেডি দুটো রেকর্ড আমাদের ভাঙা হয়ে গেছে। বাট কোয়ালিটিভলি আমরা কী অর্জন করেছি, সেটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি শেয়ার হয়েছে যে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ অলমোস্ট মহাশূন্যে দেখা যাচ্ছে। আমার জন্য ওটা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশের পতাকার যে কনসেপ্ট, সেটা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা এমন একটা উচ্চতায় আমাদের পতাকা নিয়ে যাচ্ছি, যেখানে এই সাইজের পতাকা ইতিহাসে আর যায়নি। এটা হলো সবচেয়ে বড় অর্জন। সেকেন্ড হয়েছে, বন্ধুরা অনেকে বলেছে, তাদের বাচ্চারা আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমার জন্য এটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। মূলত আইডিয়াটা এটাই ছিল যে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে আগামী প্রজন্মকে যে তারা যাতে স্বপ্ন দেখতে ভুলে না যায়।’
গতকাল রাজধানীর গুলশানের ইউসিবি পিএলসির ভবনে এই অনন্য রেকর্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্পনসর কোম্পানি ইউসিবি। সেখানে স্পনসরের কথা বলতে গিয়ে আশিক বলেন, ‘এসব অপরিচিত খেলাধুলায় সাধারণত কোম্পানিগুলো স্পনসর করতে এগিয়ে আসে না। ইউসিবির কাছে কৃতজ্ঞতা। তারা এসেছে। এক মাস আগেও তার স্পনসরের নিশ্চয়তা ছিল না।
অনুষ্ঠানে ইউসিবি পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিজেদের সক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে আরও বেশি সফল ও দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠার সংস্কৃতিই ইউসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই যাদের ভেতর বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার এবং দৃষ্টান্ত গড়ার সত্যিকার স্পৃহা রয়েছে, আমরা সব সময়ই তাদের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেওয়ার জন্য আশিকের প্রতি অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।’
আশিক বলছিলেন, স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে লাইসেন্স পাওয়ার পরে লোকজন বিভিন্ন দিকে চলে যায়। সাধারণত কিছু একদম আনন্দের জন্য ডাইভিং করে। কিছু আছে যারা ইনস্ট্রাক্টর হয়ে যায়। পরে ট্যুরিস্টদের নিয়ে ঝাঁপ দেয়। কিছু মানুষ আছে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। কিছু মানুষ আছে বাউন্ডারি ছাড়ানোর স্বপ্নে বিভোর থাকে। আশিক সেই মানুষদের একজন, যাঁরা স্কাই ডাইভিংয়ের নেক্সট কী রেকর্ড করা যায়, সেদিকে দৌড়ান। এ যেন নজরুলের সেই কবিতার লাইনকে দেখে নেওয়া—‘বিশ্বজগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।’
রাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩ মিনিট আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১৭ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২৩ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ।
২ ঘণ্টা আগে