নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘পৌরসভা আমলে দীর্ঘদিন প্রশাসক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল এই অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেই থেকে সবকিছু ভেঙে এই পর্যায়ে নিয়ে আসা চাট্টিখানি বিষয় নয়। এই সিটি করপোরেশনের খেয়াল রাখতে গিয়ে আমি নিজের সন্তানদের দিকেও খেয়াল দিতে পারি নাই। ২০১১-১২ সালের দিকে আমার বেতন আসল। সবাই বলছিল, এই টাকা দিয়ে বাচ্চাকে প্রাইজবন্ড কিনে দেই। কিন্তু আমি বললাম না, এটা দিয়ে আওয়ামী লীগের অফিস মেরামত করতে হবে। তখন এই শহরে কত রথী-মহারথী আর কোটিপতিরা ছিল, তারা এক টাকাও দেয়নি। আমি আমার বেতনের টাকা দিয়ে সেই কার্যালয়ের কাজ করেছি।’
আজ সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) আবুল আমিনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেলিনা হায়াৎ আইভী এই মন্তব্য করেন। এদিন সিটি করপোরেশনের সম্মেলনকক্ষে নাসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আইভী বলেন, ‘মানুষ তখনই একজন মানুষকে আলাদাভাবে মনে রাখে, যখন সে সঠিক কাজ করে। আবুল আমিন সাহেবও তেমনই একজন। তিনি সত্য কথাই বলেছেন, আমি মাঝে মাঝে কর্মকর্তাদের ওপর রাগ হই, কিন্তু সেটা কাজের স্বার্থে। অন্য কিছুর জন্য আমি রাগ হয়েছি এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। আমি রাগ হলেও পরে সেটা ভুলে যাই। মনের ভেতর কারও জন্য রাগ পুষে রাখি না। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসছি জনগণের জন্য কাজ করতে। এত কিছুর পরেও অনেক কর্তাব্যক্তি নিজেদের চেয়ারে বসে বিশাল কিছু মনে করেন। অথচ আমি নিজে ২০ বছর জনপ্রতিনিধি থাকার পরও নিজের চেয়ারের ক্ষমতা কতটুকু সেটাই বুঝলাম না। অনেক কর্মকর্তা তো মনে হয় নির্বাচন আসলে মনে মনে বলে—এই মহিলা আর না আসলেই বাঁচি! আমাদের সারা দেশে যেই অবস্থা, তাতে আমার মতো মানুষকে অনেক কর্মকর্তা পছন্দ করবে না, এটাই বাস্তব। কিন্তু জনগণ ঠিকই আমাকে পছন্দ করে। কারণ আমি জনগণের জন্য কাজটা করে দেই। তাদের সেবা নিশ্চিতের জন্যই আপনাদের ওপর রাগ হই।’
মেয়র আইভী কর্মকর্তাদের সেবা গতিশীল করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা যারা বেতন নিচ্ছি, তাদের দায়বোধ থেকে কাজ করতে হবে। এই নাসিকের দারোয়ান-পিয়ন থেকে সিও এবং আমি পর্যন্ত সবাইকে এই দায়িত্বটা মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি যদি প্রতিদিন একেক ওয়ার্ডে ঘুরতাম, তাহলে মানুষ আমাকে আরও ভালোবাসত। কিন্তু প্রজেক্টগুলোর কারণে আর আপনাদের কাজ ঠিকভাবে দেখভাল করার কারণে আমিও আমলাদের মতো সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস করতে বাধ্য হই। আর কোনো রাজনৈতিক পদধারী জনপ্রতিনিধি এতটা সময় অফিসে দেয় বলে মনে হয় না। আপনারা যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা মনে রাখবেন, হালাল রুজি ইবাদতের পূর্বশর্ত। আপনি নামাজ পড়তে গেলেন, কিন্তু আপনার দপ্তরে মানুষ দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখলেন, সেই মানুষের কষ্ট হলে আপনার ইবাদত কতটা কবুল হবে জানি না। ইবাদতের পাশাপাশি আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করাও ইবাদত। যদি রুজি হালাল করতে না পারেন, তাহলে ভবিষ্যৎ বা পরকাল হারাবেন। আপনারা অন্য যেকোনো সিটির কর্মকর্তাদের চাইতে বেটার। তবু অনুরোধ করব, এই অফিসে সেবা নিতে এসে কেউ যেন হতাশ না হয়। এই দিকটা খেয়াল রাখবেন।’
অনুষ্ঠানে নাসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন—সাবেক সিও আবুল আমিন, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, শারমিন হাবিব বিন্নী প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘পৌরসভা আমলে দীর্ঘদিন প্রশাসক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল এই অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেই থেকে সবকিছু ভেঙে এই পর্যায়ে নিয়ে আসা চাট্টিখানি বিষয় নয়। এই সিটি করপোরেশনের খেয়াল রাখতে গিয়ে আমি নিজের সন্তানদের দিকেও খেয়াল দিতে পারি নাই। ২০১১-১২ সালের দিকে আমার বেতন আসল। সবাই বলছিল, এই টাকা দিয়ে বাচ্চাকে প্রাইজবন্ড কিনে দেই। কিন্তু আমি বললাম না, এটা দিয়ে আওয়ামী লীগের অফিস মেরামত করতে হবে। তখন এই শহরে কত রথী-মহারথী আর কোটিপতিরা ছিল, তারা এক টাকাও দেয়নি। আমি আমার বেতনের টাকা দিয়ে সেই কার্যালয়ের কাজ করেছি।’
আজ সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) আবুল আমিনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেলিনা হায়াৎ আইভী এই মন্তব্য করেন। এদিন সিটি করপোরেশনের সম্মেলনকক্ষে নাসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আইভী বলেন, ‘মানুষ তখনই একজন মানুষকে আলাদাভাবে মনে রাখে, যখন সে সঠিক কাজ করে। আবুল আমিন সাহেবও তেমনই একজন। তিনি সত্য কথাই বলেছেন, আমি মাঝে মাঝে কর্মকর্তাদের ওপর রাগ হই, কিন্তু সেটা কাজের স্বার্থে। অন্য কিছুর জন্য আমি রাগ হয়েছি এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। আমি রাগ হলেও পরে সেটা ভুলে যাই। মনের ভেতর কারও জন্য রাগ পুষে রাখি না। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসছি জনগণের জন্য কাজ করতে। এত কিছুর পরেও অনেক কর্তাব্যক্তি নিজেদের চেয়ারে বসে বিশাল কিছু মনে করেন। অথচ আমি নিজে ২০ বছর জনপ্রতিনিধি থাকার পরও নিজের চেয়ারের ক্ষমতা কতটুকু সেটাই বুঝলাম না। অনেক কর্মকর্তা তো মনে হয় নির্বাচন আসলে মনে মনে বলে—এই মহিলা আর না আসলেই বাঁচি! আমাদের সারা দেশে যেই অবস্থা, তাতে আমার মতো মানুষকে অনেক কর্মকর্তা পছন্দ করবে না, এটাই বাস্তব। কিন্তু জনগণ ঠিকই আমাকে পছন্দ করে। কারণ আমি জনগণের জন্য কাজটা করে দেই। তাদের সেবা নিশ্চিতের জন্যই আপনাদের ওপর রাগ হই।’
মেয়র আইভী কর্মকর্তাদের সেবা গতিশীল করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা যারা বেতন নিচ্ছি, তাদের দায়বোধ থেকে কাজ করতে হবে। এই নাসিকের দারোয়ান-পিয়ন থেকে সিও এবং আমি পর্যন্ত সবাইকে এই দায়িত্বটা মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি যদি প্রতিদিন একেক ওয়ার্ডে ঘুরতাম, তাহলে মানুষ আমাকে আরও ভালোবাসত। কিন্তু প্রজেক্টগুলোর কারণে আর আপনাদের কাজ ঠিকভাবে দেখভাল করার কারণে আমিও আমলাদের মতো সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস করতে বাধ্য হই। আর কোনো রাজনৈতিক পদধারী জনপ্রতিনিধি এতটা সময় অফিসে দেয় বলে মনে হয় না। আপনারা যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা মনে রাখবেন, হালাল রুজি ইবাদতের পূর্বশর্ত। আপনি নামাজ পড়তে গেলেন, কিন্তু আপনার দপ্তরে মানুষ দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখলেন, সেই মানুষের কষ্ট হলে আপনার ইবাদত কতটা কবুল হবে জানি না। ইবাদতের পাশাপাশি আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করাও ইবাদত। যদি রুজি হালাল করতে না পারেন, তাহলে ভবিষ্যৎ বা পরকাল হারাবেন। আপনারা অন্য যেকোনো সিটির কর্মকর্তাদের চাইতে বেটার। তবু অনুরোধ করব, এই অফিসে সেবা নিতে এসে কেউ যেন হতাশ না হয়। এই দিকটা খেয়াল রাখবেন।’
অনুষ্ঠানে নাসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন—সাবেক সিও আবুল আমিন, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, শারমিন হাবিব বিন্নী প্রমুখ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সংস্কৃতির নতুন রূপ হচ্ছে সিনেমা, যা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছে। সিনেমার মাধ্যমে একটি জাতিকে উজ্জীবিত করা যায়। তাই ভালো সিনেমা বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
৬ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহ আমানত সেতুর টোলবক্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
২৬ মিনিট আগেআহত শিক্ষার্থী সোহেলুল হক বলেন, “আমরা গিয়ে বলেছিলাম স্যার আমাদের জীবনটা বাঁচান স্যার। তিন বছরেও আপনি কিছু করতে পারেননি। আমরা এনওসি এনেছি। আপনি সাইন করে দেন। এনওসিতে লেখা ছিল, ‘আমরা যেহেতু ওদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে পারছি না। অন্য কোথাও পড়াশোনা করলে আমাদের আপত্তি নেই।’ এই এনওসিতে তিনি...
৩০ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে