Ajker Patrika

‘শিবলী রুবাইয়াতের চাপে’ অবসর, চাকরি ফেরত চান ঢাবি অধ্যাপক মহব্বত

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ৪৬
‘শিবলী রুবাইয়াতের চাপে’ অবসর, চাকরি ফেরত চান ঢাবি অধ্যাপক মহব্বত

চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পাঁচ বছর পর পুনরায় চাকরি ফিরে পেতে উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এআইএস) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত আলী। সেই সঙ্গে আবেদনে তিনি অভিযোগ করেছেন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের তৎকালীন ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতের চাপে তিনি অবসর নিতে বাধ্য হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার ঢাবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বরাবর এ আবেদন জমা দেন তিনি।

উপাচার্যের কাছে পাঠানো চিঠি এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে অধ্যাপক মো. মহব্বত আলীকে হুমকির মাধ্যমে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

উপাচার্যের কাছে দেওয়া আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) সিনিয়র লেকচারার হতে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিশেষ (এক্সট্রা অর্ডিনারি) ছুটির জন্য আবেদন করেন অধ্যাপক মহব্বত আলী। বিভাগের সিঅ্যান্ডবি কমিটি তাঁকে বিনা বেতনে এক বছরের ছুটি দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর সুপারিশ করার দুই দিন পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন। পরে ২৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা তাঁর অবসর অনুমোদন করে।

অধ্যাপক মহব্বত আলীর অভিযোগ, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল তাঁকে বলেছেন, ‘আপনার তো ছুটি হবে না। ছুটি যদি হয়েও যায়, এক বছর পরে এসে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারবেন না। তখন ফাইলের পেছনে তদবির করতে করতে জুতার তলা খুলে যাবে, তবু আপনার ফাইল নড়বে না। তখন চাইলে চাকরি ছাড়তেও পারবেন না। আপনি তো দেশের সার্বিক রাজনৈতিক অবস্থা জানেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বোঝেন। তাই চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়াই আপনার জন্য ভালো। আর অবসরে যাওয়ার আবেদন করলে আপনি যাতে রিটায়ারমেন্টের টাকা-পয়সা দ্রুত পান, সেই ব্যবস্থা করে দিব।’ শিবলী রুবাইয়াতুলের এ কথা শুনে তিনি বিস্মিত হন এবং তাঁর চাপে চাকরির মেয়াদপূর্তির আগেই অবসর গ্রহণের আবেদন করেন।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তাঁর বিদেশগমনেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ আসছে। আমরা সেগুলো দেখছি, আইনগত ঝামেলা আছে কি না, সেটা আইন উপদেষ্টার মাধ্যমে দেখছি। রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে বঞ্চিত হলে তারা যেন অধিকার পায়, সেটা আমরা দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত