শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১৩: ০০
Thumbnail image

শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য নিরসন করে এবং শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে শিক্ষাকে জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই বলে দাবি জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে এই দাবি জানিয়ে দ্রুত এই ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকেরা। ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক শিক্ষক নির্যাতন ও চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ জানিয়ে এর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি মানববন্ধনে এই দাবি জানান বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) সদস্যরা। মানববন্ধনের আয়োজন করে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম। 

‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শনে শিক্ষাব্যবস্থা করতে হবে জাতীয়করণ’ স্লোগান সামনে রেখে শিক্ষার ক্ষেত্রে বিরাজমান পাহাড়সম বৈষম্য নিরসনে শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন উপস্থিত বক্তারা। তাঁরা উল্লেখ করেন, সরকারি চাকরিজীবীরা ২০১৫ সাল থেকে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পেলে বেসরকারি শিক্ষকেরা পেয়েছেন ২০১৮ সাল থেকে। তাও আবার কোনো রকম বকেয়া ছাড়াই। একই অবস্থা বৈশাখী ভাতাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। এরই মধ্যে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি কোনো সুবিধা প্রদান ছাড়াই। 

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বাশিসের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, বাংলাদেশের সব বেসরকারি শিক্ষকের প্রাণের দাবি জাতীয়করণ। কোনো কারণ ছাড়াই শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে, লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা হলে এমন ঘটনা আর ঘটবে না। ম্যানেজিং কমিটি থাকতে হবে। ম্যানেজিং কমিটি ছাড়া একজন প্রধান শিক্ষক নিজের পছন্দমতো কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন না। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা ঠিকমতো পেনশনের টাকা পাচ্ছেন না দাবি করে এই টাকা সঠিক উপায়ে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

বেসরকারি শিক্ষকদের প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার অচিরেই শিক্ষা জাতীয়করণ ঘোষণা দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নজরুল ইসলাম রনি। 

বেসরকারি শিক্ষকেরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন বাশিসের মহাসচিব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান তালুকদার। তিনি বলেন, তাঁদের বাড়িভাড়া মাসে ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, বিনোদন ভাতা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা একেবারেই নেই। তাঁদের চাকরিতে কোনো বদলি নেই, যেখানে শুরু সেখানেই শেষ। শিক্ষা জাতীয়করণ হলে বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত