নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কলকাতায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে ঠিক কোন উদ্দেশ্যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। ফলে আনার হত্যার মোটিভ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আনার হত্যার কারণ সম্পর্কে কী জানা গেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এই সংসদ সদস্য কিলিং মিশনে জড়িত সাতজনের সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে। যেকোনো হত্যার পেছনে একটা মোটিভ থাকে। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য। তাঁকে টাকা-পয়সা লেনদেনের কথা বলে নিয়ে (কলকাতা) যান শাহীন। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল? কারা লাভবান? কারা আর্থিক, রাজনৈতিকভাবে লাভবান—সেটা আশা করি বের হবে। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় মোটিভ তো অবশ্যই আছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্ট মোটিভ বলতে পারছি না।’
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে সর্বশেষ রাঙামাটি থেকে গতকাল বুধবার ফয়সাল ভূঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হারুন। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা আত্মগোপনের জন্য ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ডের মাঝখানে পাতাল কালীমন্দিরে লাল ধুতি পরে অবস্থান করছিল। সেখানে তাঁরা হিন্দু পরিচয়ে বাঁচার জন্য লুকিয়েছিলেন।’ আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইলে তাঁদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
হত্যাকাণ্ডে এই দুজনের ভূমিকা নিয়ে হারুন বলেন, ‘গত ১৩ মে সকালে এমপি আনার তাঁর বন্ধু গোপালের বাসা থেকে বের হন। তখন বিধানসভার কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন ফয়সাল। তিনি আনারকে রিসিভ করে লাল গাড়ির কাছে যান। যেখানে অপেক্ষায় ছিলেন শিমুল ভূঁইয়া। আর অন্যদিকে কলকাতা সঞ্জীবা গার্ডেনের ভাড়া বাসায় অপেক্ষায় ছিলেন মোস্তাফিজ, জিহাদ হাওলাদার। ফয়সাল, শিমুল ভূঁইয়া আনারকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে গেলে রিসিভ করেন শিলাস্তি রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর তাঁরা নিচে কর্নারের রুমে যান। আনার যখন এই তিন–চারজনের গতিবিধি বুঝতে পারেন, তখন তিনি অনেক কাকুতি–মিনতি করেন, বাঁচার চেষ্টা করেন। দৌড় দিয়ে বের হতে চেষ্টার সময় ফয়সাল তাঁর নাকে মুখে ক্লোরোফরম ধরে নিস্তেজ করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করা হয়।’
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বিষয়ে হারুন বলেন, ‘শাহীন মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, আছেন। কিলিং মিশনে সরাসরি জড়িত সাতজন। সাতজনই গ্রেপ্তার। এর বাইরে মাস্টারমাইন্ড, পরিকল্পনাকারী, মোটিভ, অর্থদাতা—এগুলো তো অন্য বিষয়। এখনো আমাদের কাছে শাহীন মাস্টারমাইন্ড। কারণ, উনি তো তাঁর পাসপোর্ট দিয়ে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। হত্যার পরিকল্পনা, বাসা ভাড়া, এসবই তো শাহীন করেছেন। শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এসেছেন।’
এমপি আনার হত্যা মালায় জড়িত সন্দেহে কলকাতা, নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে মোট সাতজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হন হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভূঁইয়া। এরপর গ্রেপ্তার হন তানভীর ও শিলাস্তি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অপর আসামি জিহাদ হাওলাদার গ্রেপ্তার হন ভারতে আর কলকাতার সিআইডি পুলিশের হাতে নেপালে গ্রেপ্তার হন সিয়াম। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন বিদেশে পলাতক আছেন।
কলকাতায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে ঠিক কোন উদ্দেশ্যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। ফলে আনার হত্যার মোটিভ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আনার হত্যার কারণ সম্পর্কে কী জানা গেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এই সংসদ সদস্য কিলিং মিশনে জড়িত সাতজনের সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে। যেকোনো হত্যার পেছনে একটা মোটিভ থাকে। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য। তাঁকে টাকা-পয়সা লেনদেনের কথা বলে নিয়ে (কলকাতা) যান শাহীন। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল? কারা লাভবান? কারা আর্থিক, রাজনৈতিকভাবে লাভবান—সেটা আশা করি বের হবে। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় মোটিভ তো অবশ্যই আছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্ট মোটিভ বলতে পারছি না।’
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে সর্বশেষ রাঙামাটি থেকে গতকাল বুধবার ফয়সাল ভূঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হারুন। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা আত্মগোপনের জন্য ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ডের মাঝখানে পাতাল কালীমন্দিরে লাল ধুতি পরে অবস্থান করছিল। সেখানে তাঁরা হিন্দু পরিচয়ে বাঁচার জন্য লুকিয়েছিলেন।’ আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইলে তাঁদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
হত্যাকাণ্ডে এই দুজনের ভূমিকা নিয়ে হারুন বলেন, ‘গত ১৩ মে সকালে এমপি আনার তাঁর বন্ধু গোপালের বাসা থেকে বের হন। তখন বিধানসভার কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন ফয়সাল। তিনি আনারকে রিসিভ করে লাল গাড়ির কাছে যান। যেখানে অপেক্ষায় ছিলেন শিমুল ভূঁইয়া। আর অন্যদিকে কলকাতা সঞ্জীবা গার্ডেনের ভাড়া বাসায় অপেক্ষায় ছিলেন মোস্তাফিজ, জিহাদ হাওলাদার। ফয়সাল, শিমুল ভূঁইয়া আনারকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে গেলে রিসিভ করেন শিলাস্তি রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর তাঁরা নিচে কর্নারের রুমে যান। আনার যখন এই তিন–চারজনের গতিবিধি বুঝতে পারেন, তখন তিনি অনেক কাকুতি–মিনতি করেন, বাঁচার চেষ্টা করেন। দৌড় দিয়ে বের হতে চেষ্টার সময় ফয়সাল তাঁর নাকে মুখে ক্লোরোফরম ধরে নিস্তেজ করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করা হয়।’
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বিষয়ে হারুন বলেন, ‘শাহীন মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, আছেন। কিলিং মিশনে সরাসরি জড়িত সাতজন। সাতজনই গ্রেপ্তার। এর বাইরে মাস্টারমাইন্ড, পরিকল্পনাকারী, মোটিভ, অর্থদাতা—এগুলো তো অন্য বিষয়। এখনো আমাদের কাছে শাহীন মাস্টারমাইন্ড। কারণ, উনি তো তাঁর পাসপোর্ট দিয়ে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। হত্যার পরিকল্পনা, বাসা ভাড়া, এসবই তো শাহীন করেছেন। শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এসেছেন।’
এমপি আনার হত্যা মালায় জড়িত সন্দেহে কলকাতা, নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে মোট সাতজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হন হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভূঁইয়া। এরপর গ্রেপ্তার হন তানভীর ও শিলাস্তি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অপর আসামি জিহাদ হাওলাদার গ্রেপ্তার হন ভারতে আর কলকাতার সিআইডি পুলিশের হাতে নেপালে গ্রেপ্তার হন সিয়াম। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন বিদেশে পলাতক আছেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৫ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১৪ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
১৬ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
৩৫ মিনিট আগে