নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গুরুতর অপরাধে লঘু মামলা হয়েছে। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যু দেখিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়ালের চেষ্টা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির।
খুশী কবির বলেন, ‘একই বাসায় ছয় মাসের ব্যবধানে যখন একই ধরনের ঘটনা ঘটে, সেটা অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে। কাউকে হেয় করার জন্য বা কারও বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করছি না। কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। আমরা চাই প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দ্রুত বিচার।’
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল। তিনি বলেন, ‘এই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হক ও তানিয়া খন্দকারের বাসায় প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনার সময় সৈয়দ আশফাকুল হক ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৪ এপ্রিল তিনি চাকরিচ্যুত হন। প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু, স্বাধীন, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত, পক্ষপাতহীন ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা। ওই বাসায় আরও কয়েকজন শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সেসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলার এজাহারে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের পরিবর্তে ১৫ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। প্রীতি উরাং পড়ে যাওয়ার আগে ২২/১৩ মিনিট ঝুলেছিল, সে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশরাফুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। এলাকার বহু মানুষ এ ঘটনার সাক্ষী। আশপাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ভেতরে ঢুকতে দেননি।
ফারহা তিতিল বলেন, ‘সৈয়দ আশফাকুল হকের মোহাম্মদপুরের ওই ফ্ল্যাট থেকে গত বছরের ৪ আগস্টে ৭ বছরের আরও একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। পরপর ঘটে যাওয়া একই রকমের দুটি ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন করে। আমরা সরেজমিন এই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, মোহাম্মদপুর, স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন।
‘সাত বছর বয়সী যে শিশুটি বেঁচে আছে, মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের লেবিয়া মাইনরা থেকে এনাল পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই অপারেশনে অভিভাবক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন ওই ভবনের ম্যানেজার আব্দুল আদেল। শিশুটির মা-বাবাকে না জানিয়েই এই অপারেশন করা হয়।
‘মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে শিশুটির এই সংবেদনশীল ক্ষতটির উল্লেখ নেই। পড়ে যাওয়ার আগেই দুপায়ের মাঝে শিশুটি আঘাত পাওয়ার কথা বলেছে আমাদের প্রতিনিধিদের কাছে। এই আঘাতটি কী? যার কারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল? আমাদের অনেক আশঙ্কা আছে। আমরা মনে করছি এর অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ঘটনার পরে সৈয়দ আশফাকুল হকের পক্ষে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে আদালতের মাধ্যমে দুই লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও আমরা সরেজমিন জেনেছি, ওই টাকাও মধ্যস্বত্বভোগীর ভোগে চলে গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, লেখক রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন কণা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তবারক হোসাইন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবুল হোসাইন, বেসরকারি সংস্থা এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, সংগঠক ও সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার করা, প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আশফাকুল হকের বাসা থেকে নির্যাতিত যে শিশুটি বেঁচে আছে, তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গুরুতর অপরাধে লঘু মামলা হয়েছে। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যু দেখিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়ালের চেষ্টা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির।
খুশী কবির বলেন, ‘একই বাসায় ছয় মাসের ব্যবধানে যখন একই ধরনের ঘটনা ঘটে, সেটা অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে। কাউকে হেয় করার জন্য বা কারও বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করছি না। কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। আমরা চাই প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দ্রুত বিচার।’
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল। তিনি বলেন, ‘এই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হক ও তানিয়া খন্দকারের বাসায় প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনার সময় সৈয়দ আশফাকুল হক ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৪ এপ্রিল তিনি চাকরিচ্যুত হন। প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু, স্বাধীন, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত, পক্ষপাতহীন ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা। ওই বাসায় আরও কয়েকজন শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সেসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলার এজাহারে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের পরিবর্তে ১৫ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। প্রীতি উরাং পড়ে যাওয়ার আগে ২২/১৩ মিনিট ঝুলেছিল, সে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশরাফুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। এলাকার বহু মানুষ এ ঘটনার সাক্ষী। আশপাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ভেতরে ঢুকতে দেননি।
ফারহা তিতিল বলেন, ‘সৈয়দ আশফাকুল হকের মোহাম্মদপুরের ওই ফ্ল্যাট থেকে গত বছরের ৪ আগস্টে ৭ বছরের আরও একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। পরপর ঘটে যাওয়া একই রকমের দুটি ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন করে। আমরা সরেজমিন এই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, মোহাম্মদপুর, স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন।
‘সাত বছর বয়সী যে শিশুটি বেঁচে আছে, মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের লেবিয়া মাইনরা থেকে এনাল পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই অপারেশনে অভিভাবক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন ওই ভবনের ম্যানেজার আব্দুল আদেল। শিশুটির মা-বাবাকে না জানিয়েই এই অপারেশন করা হয়।
‘মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে শিশুটির এই সংবেদনশীল ক্ষতটির উল্লেখ নেই। পড়ে যাওয়ার আগেই দুপায়ের মাঝে শিশুটি আঘাত পাওয়ার কথা বলেছে আমাদের প্রতিনিধিদের কাছে। এই আঘাতটি কী? যার কারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল? আমাদের অনেক আশঙ্কা আছে। আমরা মনে করছি এর অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ঘটনার পরে সৈয়দ আশফাকুল হকের পক্ষে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে আদালতের মাধ্যমে দুই লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও আমরা সরেজমিন জেনেছি, ওই টাকাও মধ্যস্বত্বভোগীর ভোগে চলে গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, লেখক রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন কণা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তবারক হোসাইন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবুল হোসাইন, বেসরকারি সংস্থা এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, সংগঠক ও সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার করা, প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আশফাকুল হকের বাসা থেকে নির্যাতিত যে শিশুটি বেঁচে আছে, তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে জিসান (১৯) নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। অজ্ঞাত কোনো গাড়ির ধাক্কায় তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে হাইওয়ে পুলিশের...
৬ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে নেহাল খান (১৮) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বাইপাস মহাসড়কের ধলাগাছ মতির মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগেপার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে কোমরতাঁতে বোনা কাপড় খুবই জনপ্রিয়। আর এ কাপড় বোনেন পাহাড়ি নারীরা। তবে আধুনিক বয়নশিল্পের প্রভাব এবং সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন আর পোষাতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকেও নেই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কোনো উদ্যোগ। তাই হারাতে বসেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী এ শিল
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাদিকুর রহমান সাদিক (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সন্দলপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে