বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ইউএনওকে জিম্মি করার অভিযোগ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০১: ৩৭
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১০: ১৭

পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) তাপসী রাবেয়া দুর্বৃত্তদের হাতে জিম্মি হয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঢাকার দোহার উপজেলা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় হরিরামপুর উপজেলার ধূলসুড়া ইউনিয়ন এলাকার পদ্মা নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাপসী রাবেয়া সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ধরতে হরিরামপুর উপজেলার ধূলসুড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে যান। তিনি হরিরামপুর থানা থেকে তিনজন পুলিশ সদস্য, আনসারসহ একটি টিম নিয়ে যান। 

এ সময় হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা ইউনিয়নের শেষ সীমানায় গিয়ে তিনি দেখতে পান, দোহারের প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা শহিদ ও মুক্তারের অনুসারীরা বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। সেখান থেকে একটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড জব্দ করেন। 

ইউএনও বলেন, ‘সেগুলো হরিরামপুরে নিয়ে আসার সময় দোহার থেকে বেশ কয়েকটি স্পিডবোট ও নৌকা নিয়ে দেড় শতাধিক লোক তাঁকে ঘিরে ফেলে। তাঁকে জোর ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মৈনট ঘাট এলাকায় নিয়ে যান তাঁরা। তিনি বিষয়টি মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসককে জানালে জেলা প্রশাসক ঢাকা জেলার ডিসিকে জানান। ঢাকা জেলার ডিসি দোহারের উপকমিশনারকে (এসি-ল্যান্ড) জানালে তাঁরা মৈনট ঘাটে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। পরে আমি দোহারের এসি-ল্যান্ডকে বাল্কহেড ও ড্রেজার বুঝিয়ে দিয়ে হরিরামপুরে নিজ অফিসে চলে আসছি।’

তাপসী রাবেয়া আরও বলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, দোহার এলাকার বালুদস্যু মুক্তার ও শহীদের নেতৃত্বে তাঁর স্পিডবোটকে জিম্মি করে দোহার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এস এম মুস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তাঁকে দোহারের ইউএনও জানান, হরিরামপুর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তাপসী রাবেয়া পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। ইউএনওর নির্দেশে দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে গিয়ে তাপসী রাবেয়াকে দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ওই কর্মকর্তাকে তাঁর নিজ উপজেলায় যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। জব্দ বাল্কহেড মৈনট ঘাটে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত