Ajker Patrika

ঘিওরে বসন্ত উৎসবে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা

আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
ঘিওরে বসন্ত উৎসবে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা

মানিকগঞ্জের ঘিওরে বসন্ত উৎসবে ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়েছে। বড়শি দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এ প্রতিযোগিতা।  

উপজেলার বানিয়াজুরী পুরাতন বাজার সংলগ্ন পুকুরে মাছ ধরার আয়োজন করে স্থানীয় ‘শৌখিন মৎস্য শিকারি গ্রুপ।’ পরে বড় ও বেশি মাছ শিকারিদের মাঝে মোবাইল ফোনসেট পুরস্কার দেওয়া হয়। 

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিযোগীরা মাছ ধরতে বড়শি প্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন। এতে অংশ নেন ৮৪ জন প্রতিযোগী। প্রত্যেকে এক টিকিটে দুটি বড়শি নিয়ে মাছ ধরেন। প্রাচীন ও দীর্ঘ এই পুকুরের চারপাশে প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শৌখিন মাছ শিকারিরা। 

সরেজমিন দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে মাছ ধরার বড়শি, মাছের খাবর ও মাছ আকৃষ্ট করার বিশেষ চার (টোপ) নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিযোগীরা। অনেকেই সহযোগী নিয়ে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ বড় মাছ পেয়ে খুব খুশি, আবার কেউ আশানুরূপ মাছ না পেয়ে হতাশ। 

মাছ ধরার এ প্রতিযোগিতা দেখতে পুকুরপাড়ে জড়ো হন শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের শত শত মানুষ। উৎসমুখর পরিবেশে বড়শি দিয়ে রুই, কাতল, কার্ফু, মৃগেল, বড় তেলাপিয়া, শোলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করেন মৎস্য শিকারিরা। 

ঢাকার সাভার থেকে আসা এক মাছ শিকারি মো. আলামিন বলেন, ‘আমি দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। ভালোই লাগে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে। শখ করে আমি ও আমার কয়েকজন বন্ধু এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় এসেছি। দুটি রুই মাছ পেয়েছি। তবে আশানুরূপ নয়।’ 

আয়োজকদের একজন মো. রফিক চৌধুরী বলেন, ‘বসন্ত উৎসব রাঙাতে উৎসমুখর পরিবেশে মাছ ধরার এই প্রতিযোগিতা। নাশতা ও দুপুরে খাবার দেওয়া হয়েছে প্রতিযোগীদের। উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিযোগী ও দর্শনার্থীদের সাড়া পেয়েছি। এখন থেকে প্রতি বছর বিশেষ দিনে এমন আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।’ 

রাথুরা গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে অনেক ভালো লাগে। তবে এই প্রথম টিকিট কেটে মাছ ধরতে এসেছি। আমি একটি কার্ফু মাছ পেয়েছি।’ 

সদর উপজেলার বরুন্ডি গ্রামের নিতাই মন্ডল ও সহাদেব মন্ডল এক টিকিটে দুজনে দুই বড়শি নিয়ে মাছ ধরা প্রতিযোগীয় এসেছেন। 

তাঁরা বলেন, ‘এমন আয়োজনে শৌখিন মাছ শিকারিরা অনেক খুশি। বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় সাড়ে ছয় কেজি মাছ ধরেছি। প্রথম পুরস্কার পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’ 

মাছ ধরা দেখতে আসা দর্শনার্থী মো. রমজান আলী বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে ছুটির দিনে এই পুকুর পাড়ে ঘুরতে এসে মাছ ধরার এমন দৃশ্য দেখে আরও বেশি ভালো লাগছে। প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ দিনে এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে আমরা আনন্দ উপভোগ করতে পারব।’ 

এ প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক শেখ শহীদ আহমেদ লাভলু বলেন, ‘এই জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়া হয়। এ ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে বর্ষার পানিতে প্রচুর মাছ এ পুকুরে আসে। প্রতিযোগীদের মাঝে আনন্দ এবং দর্শনার্থীদের ভালো লাগা ও বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করার আনন্দ-উদ্দীপনাকে জাগ্রত করতেই এমন আয়োজন।’   

এরপর সন্ধ্যায় মাছ ধরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সেরা তিন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত