Ajker Patrika

ভিসিভবন থেকে সাবেক উপাচার্যকে অপসারণে ছাত্র ইউনিয়নের হুঁশিয়ারি

জাবি প্রতিনিধি
ভিসিভবন থেকে সাবেক উপাচার্যকে অপসারণে ছাত্র ইউনিয়নের হুঁশিয়ারি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে ভিসিভবন থেকে অপসারণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়ন। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত দ্রুততম সময়ে শেষ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ সোমবার বিকেলে জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি দেয় সংগঠনটি। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি এবং সাধারণ সম্পাদক তাসবিবুল গনি নিলয় বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর আন্দোলনের মাধ্যমে ফারজানা ইসলামের দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়ক চরিত্র সারা দেশের সর্বস্তরের মানুষের সামনে অনেক আগেই স্পষ্ট হয়েছে। দায়িত্ব শেষ হওয়ার পরেও বাসভবন ছেড়ে না যাওয়া এবং নানাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আধিপত্য বজায় রাখার প্রচেষ্টা চালানো তাঁর চূড়ান্ত নির্লজ্জতার আরেকটি প্রমাণ।’

তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘ফারজানা ইসলাম অবিলম্বে উপাচার্যের বাসভবন ত্যাগ না করলে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তাঁকে উপাচার্যের বাসভবন থেকে অপসারণ করা হবে।’

এতে নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন সাবেক উপাচার্য এত শত অনিয়ম, দুর্নীতি করে শাস্তির মুখোমুখি না হলে, তা বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস পরেও উপাচার্যের বাসভবন দখল করে রাখা অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দুর্নীতিপরায়ণতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম প্রীতির প্রমাণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাবেক উপাচার্য হওয়া সত্ত্বেও অন্যায়ভাবে একজন উপাচার্যের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। উপাচার্যের বাসভবনটি দখল করে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৯ জন কর্মচারীকে খাটানো হচ্ছে। তাঁর পরিবার নিয়মবহির্ভূতভাবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২টি গাড়ি ব্যবহার করে। তা ছাড়া সম্প্রতি হাজারখানেক ফাইল আটকে রেখে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের তাঁর আজ্ঞাবহ করে রাখার ঘৃণ্য প্রচেষ্টার কথাও সংবাদপত্রের মাধ্যমে পুরো দেশের মানুষ জেনেছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়েই ফারজানা ইসলামের দুর্নীতির খতিয়ান দেশবাসীর সামনে প্রকাশ করা হয়েছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলমান। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর এ ধরনের অন্যায়, দুর্নীতি ও জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ড পুরো দেশে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাহাঙ্গীরনগরের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত