ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মকিমপুর এলাকায় ডি সেভেন এন খালে ধসে পড়েছে সড়কের বিভিন্ন স্থান ও কয়েকটি বসতবাড়ি। আরও ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পাশের ফসলি জমিতে। অভিযোগ উঠেছে, অপরিকল্পিতভাবে খনন ও খাল থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এসব ধস দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খাল খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করে খালপাড়ের মাটি বিক্রি করায় ও ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদরের পাগলাকানা ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় খালের পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বালু উত্তোলনের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান আবু সাঈদ প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডি সেভেন এন খাল শৈলকুপা উপজেলা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা দিয়ে এসে ঝিনাইদহ নবগঙ্গা নদীতে মিলিত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটারের এই খাল ইউনুচ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের চট্টগ্রামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান খনন করে। যার ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কাজ দেখাশোনা করেছিলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রইচ উদ্দিন।
সরেজমিনে জানা গেছে, মকিমপুর গ্রামের খালপাড়ের প্রায় অর্ধশত পরিবার এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। খালের দুই পাশের গাছপালা ও বসতঘর ভেঙে গেছে। এ ছাড়া খালপাড়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দেড় কিলোমিটার সড়কের অবস্থা একই। কোনো কোনো স্থানে সড়কের অর্ধেক ভেঙে খালে চলে গেছে। হুমকিতে রয়েছে বিভিন্ন বাড়ি ও ফসলি জমি। তবে খালের পাড় ধসে যাদের বাড়ি ভেঙে পড়েছে, তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তাঁরা বলছেন, ‘আমাদের যা গেছে তা আর ফেরত পাব না। এ ছাড়া কথা বলে কি মরব। আজ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক, কাল যে ফিরে আসবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
মকিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার জানান, কয়েক বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে নিজের জমি ভরাট করেন। এমনকি বালু বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘খালটি যখন পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করে, তখন ঠিকাদার খালের পাড় না বেঁধে মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। তখন সমস্যা বোঝা না গেলেও এ মৌসুমে ভারী বৃষ্টির ফলে খালের পাড় ধসে পড়েছে। সড়কের কয়েকটি স্থান ও কয়েকটি বাড়ি ভেঙে খালে বিলীন হয়েছে।’
স্থানীয় কৃষক মশিয়ার হোসেন বলেন, ‘যেকোনো সময় আমার কৃষিজমি খালে বিলীন হতে পারে। কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। দ্রুত খালের পাড় বাঁধার দাবি জানাচ্ছি।’
খালের ভাঙনে সড়ক প্রায় বিলীন হয়ে গেছে বলে জানান পথচারী সবুর মিয়া। তিনি বলেন, ‘যদি এখনই খালের পাড় বাঁধা না হয়, তাহলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হবে না।’
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান বলেন, মকিমপুর খালের পাশে আমাদের দেড় কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে খালে ধসে পড়েছে। সড়ক নির্মাণ করতে প্রায় কোটি টাকা খরচ হয়। তিনি আরও বলেন, সড়ক পুনরায় সংস্কারের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কাজী মহসিন উদ্দিন বলেন, খালের এক পাশে পাকা রাস্তা এবং অপর পাশে বসতবাড়ি। খালের পাশে মাটি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। যার ফলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীনের নির্দেশে টেন্ডার দিয়ে মাটি অপসারণ করা হয়।
মহসিন উদ্দিন আরও বলেন, ‘খালের কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। মকিমপুর এলাকায় কেন সমস্যা হয়েছে, এর মূল কারণ পাগলাকানা ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাইদ বিশ্বাস কয়েক বছর আগে ধসে পড়া স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছিলেন। এবার ভারী বৃষ্টিতে ওই বালু উত্তোলনের জন্য পাড় ধসে পড়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে কাজের একটা নথি তৈরি করেছি। যেখানে বেশি ধসে পড়েছে, বিশেষ করে সড়কের পাশে; সেখানে আমরা প্রথমে সংস্কার করব। পরে পুরো ধসে পড়া স্থান সংস্কার করা হবে।’
এদিকে ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ও পাগলাখানা ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস পলাতক রয়েছেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মকিমপুর এলাকায় ডি সেভেন এন খালে ধসে পড়েছে সড়কের বিভিন্ন স্থান ও কয়েকটি বসতবাড়ি। আরও ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পাশের ফসলি জমিতে। অভিযোগ উঠেছে, অপরিকল্পিতভাবে খনন ও খাল থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এসব ধস দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খাল খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করে খালপাড়ের মাটি বিক্রি করায় ও ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদরের পাগলাকানা ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় খালের পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বালু উত্তোলনের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান আবু সাঈদ প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডি সেভেন এন খাল শৈলকুপা উপজেলা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা দিয়ে এসে ঝিনাইদহ নবগঙ্গা নদীতে মিলিত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটারের এই খাল ইউনুচ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের চট্টগ্রামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান খনন করে। যার ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কাজ দেখাশোনা করেছিলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রইচ উদ্দিন।
সরেজমিনে জানা গেছে, মকিমপুর গ্রামের খালপাড়ের প্রায় অর্ধশত পরিবার এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। খালের দুই পাশের গাছপালা ও বসতঘর ভেঙে গেছে। এ ছাড়া খালপাড়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দেড় কিলোমিটার সড়কের অবস্থা একই। কোনো কোনো স্থানে সড়কের অর্ধেক ভেঙে খালে চলে গেছে। হুমকিতে রয়েছে বিভিন্ন বাড়ি ও ফসলি জমি। তবে খালের পাড় ধসে যাদের বাড়ি ভেঙে পড়েছে, তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তাঁরা বলছেন, ‘আমাদের যা গেছে তা আর ফেরত পাব না। এ ছাড়া কথা বলে কি মরব। আজ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক, কাল যে ফিরে আসবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
মকিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার জানান, কয়েক বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে নিজের জমি ভরাট করেন। এমনকি বালু বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘খালটি যখন পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করে, তখন ঠিকাদার খালের পাড় না বেঁধে মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। তখন সমস্যা বোঝা না গেলেও এ মৌসুমে ভারী বৃষ্টির ফলে খালের পাড় ধসে পড়েছে। সড়কের কয়েকটি স্থান ও কয়েকটি বাড়ি ভেঙে খালে বিলীন হয়েছে।’
স্থানীয় কৃষক মশিয়ার হোসেন বলেন, ‘যেকোনো সময় আমার কৃষিজমি খালে বিলীন হতে পারে। কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। দ্রুত খালের পাড় বাঁধার দাবি জানাচ্ছি।’
খালের ভাঙনে সড়ক প্রায় বিলীন হয়ে গেছে বলে জানান পথচারী সবুর মিয়া। তিনি বলেন, ‘যদি এখনই খালের পাড় বাঁধা না হয়, তাহলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হবে না।’
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান বলেন, মকিমপুর খালের পাশে আমাদের দেড় কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে খালে ধসে পড়েছে। সড়ক নির্মাণ করতে প্রায় কোটি টাকা খরচ হয়। তিনি আরও বলেন, সড়ক পুনরায় সংস্কারের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কাজী মহসিন উদ্দিন বলেন, খালের এক পাশে পাকা রাস্তা এবং অপর পাশে বসতবাড়ি। খালের পাশে মাটি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। যার ফলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীনের নির্দেশে টেন্ডার দিয়ে মাটি অপসারণ করা হয়।
মহসিন উদ্দিন আরও বলেন, ‘খালের কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। মকিমপুর এলাকায় কেন সমস্যা হয়েছে, এর মূল কারণ পাগলাকানা ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাইদ বিশ্বাস কয়েক বছর আগে ধসে পড়া স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছিলেন। এবার ভারী বৃষ্টিতে ওই বালু উত্তোলনের জন্য পাড় ধসে পড়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে কাজের একটা নথি তৈরি করেছি। যেখানে বেশি ধসে পড়েছে, বিশেষ করে সড়কের পাশে; সেখানে আমরা প্রথমে সংস্কার করব। পরে পুরো ধসে পড়া স্থান সংস্কার করা হবে।’
এদিকে ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ও পাগলাখানা ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস পলাতক রয়েছেন।
জাল কার্যাদেশ এবং অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানের মাধ্যমে ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩১ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সরকারি জায়গা দখল করে নির্মিত ১২টি অবৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের চারিপাড়া এলাকার কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের পাশে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের নবাবগঞ্জে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত আশিকুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের নরহরিপুর গ্রামের নিজ পারিবারিক কবরস্থান থেকে আশিকুলের লাশ তোলা হয়।
২ ঘণ্টা আগেপুব আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ভোরের আলো ফুটতেই একের পর এক টাটকা সবজি বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভিড়তে শুরু করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন বরমী বাজার ঘাট এটি। যেখানে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার শাকসবজি।
২ ঘণ্টা আগে