বাজারের আবর্জনা বিদ্যালয়ে, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা 

প্রতিনিধি, মহম্মদপুর (মাগুরা) 
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২১, ১৩: ৩১

মহম্মদপুর উপজেলার সরকারি আরএসকেএইচ ইনস্টিটিউশন ও মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সাপ্তাহিক দুটি হাট ও বাজারের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা অবাধে বিদ্যালয়ের পাশে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাজারের মাছসহ হাঁস-মুরগির বর্জ্য ও বিষ্ঠা এখানে ফেলা হয়। এসব বর্জ্য থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পথচারীদের এই পথ দিয়ে নাকমুখ চেপে চলাফেরা করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর সীমানা প্রাচীরের পাশে এবং আরএসকেএইচ ইনস্টিটিউশনের পেছনে রাস্তার পাশেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। গড়ে তুলেছে ভাগাড়। বর্জ্য ফেলার পরিবেশবান্ধব কোন পদ্ধতি অনুসরণ না করেই অত্র যত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা। ফলে পাশের বসবাসরত লোকজন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয় উঠেছে।

জানা যায়, করোনার কারণে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় হাট ও প্রতিদিনের বাজার সরকারি আরএসকেএইচ ইনস্টিটিউশন ও মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে স্থানান্তর করেন। কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন না থাকায় হাটবাজারের যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা অবাধে বিদ্যালয়ের পাশে ফেলা হচ্ছে।

বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক একেএম নাসিরুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি নির্দেশনায় বিদ্যালয় চত্বরে হাট-বাজার আনা হয়। এখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে। আর বাজারের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয়ের পাশে ও একটি পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে ওই পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং আবর্জনা পচা দুর্গন্ধ পরিবেশ নষ্ট করছে।

বিদ্যালয়র প্রাক্তন ছাত্র ও কাচা বাজারর ব্যবসায়ী মা. আলাউল হক বলেন, আমাদের ভালোবাসার বিদ্যালয়ের আশপাশ ও পুকুরটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। আমি ব্যবসা করি তাই এখান বসতে হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি রামানন্দ পাল বলেন, কিছুদিনের মধ্যে বিদ্যালয় চত্বর থেকে হাট-বাজার সরিয়ে ফেলা হবে। আমি নিজে দেখে বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা করব। তবে জনস্বার্থে সবাইকে যেখান সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য অনুরোধ করছি। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত