তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য শাস্তি পেয়েছেন: ইবির নির্যাতিত ছাত্রী 

ইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১: ৫০
Thumbnail image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী বলেন, ‘তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য শাস্তি পেয়েছেন।’

আজ সোমবার দুপুরে হল কমিটির সদস্য ও প্রভোস্ট আলোচনা শেষে তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কারের কথা জানান।

ফুলপরী খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা যেসব কাজ করেন, ওসব কাজের জন্য তো হল বানানো হয়নি। তাঁদের হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে, এটা তাঁদের প্রাপ্য। তাঁরা যে অন্যায় করছেন, এটা মানুষ মানুষের সঙ্গে করতে পারে না। এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই আমি।’
 
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মাওয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মি। 

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদের হল সংযুক্তি বাতিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।’ 

শামসুল আলম আরও বলেন, ‘এ ছাড়া অভিযুক্ত হালিমা খাতুন ঊর্মি আমাদের জানিয়েছে, তার মোবাইল ফোনটি ১৪ তারিখ হারিয়ে গেছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য প্রক্টর বরাবর আবেদন করেছি।’  

উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মাওয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মির বিরুদ্ধে। 

পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগের পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত