মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মাগুরার মহম্মদপুরে টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে শীতের তীব্রতাও বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকেরা। ধান চাষিরা টানা বৃষ্টিতে ধান ডুবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এরই মধ্যে বৃষ্টিতে উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির পাকা বোরো ধানের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কৃষক খেতের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। তবে অনেক কৃষক ধান কাটার কাজ শেষ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। গ্রামের প্রায় প্রতিটি খেতের ধান বৃষ্টির পানিতে নুয়ে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে কাটা ধান ভিজে নষ্ট হওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকেরা। কৃষকেরা ধান কেটে জমিতে রেখে দিয়েছেন। পানির ওপরে ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ধান।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোনা আমন জাতের ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। উপজেলায় খাদ্যের চাহিদা রয়েছে গড়ে ৪৫ হাজার ৩৫০ টন। গড় হিসাব অনুযায়ী উপজেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে ১৬ হাজার ৫৫০ টন চাল অতিরিক্ত থাকবে।
উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নাহিদ হোসেন বলেন, জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে কৃষাণ নিয়েছি। কৃষাণের সঙ্গে পরিবারের সবাই মিলে ধান কেটেছেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে এ কী হল। টানা দুই দিনের বৃষ্টির পানিতে পাকা ধান পুরোপুরি ডুবে গেছে।
হরিনাডাঙ্গা গ্রামের কৃষকেরা বলেন, এ বছর আশা করে কেউ এক বিঘা, কেউ দেড় বিঘা আবার কেউ তাঁর বেশি জমিতে ধানের চাষ করেছে। সব ধান মাঠে পড়ে রয়েছে। অল্প কিছু ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। এ বছর ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। অসময়ের বৃষ্টিতে আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেল।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমির কাটা-ধান ঘরে তোলা হয়েছে। ১০ হেক্টর জমির কাটা ধান মাঠে থাকায় টানা বৃষ্টিতে ভিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব কুমার রায় বলেন, বৃষ্টি শুরুর আগে জরুরিভাবে কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছে। পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনেকে সেটা করেননি। ফলে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রমজানুল আমিন বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোনা আমন জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। বেশির ভাগ ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। তবে ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমির ধান কেটে বিচালি করে রাখায় সেটা পানিতে ডুবে গেছে।
রমজানুল আমিন আরও বলেন, উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মাগুরার মহম্মদপুরে টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে শীতের তীব্রতাও বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকেরা। ধান চাষিরা টানা বৃষ্টিতে ধান ডুবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এরই মধ্যে বৃষ্টিতে উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির পাকা বোরো ধানের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কৃষক খেতের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। তবে অনেক কৃষক ধান কাটার কাজ শেষ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। গ্রামের প্রায় প্রতিটি খেতের ধান বৃষ্টির পানিতে নুয়ে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে কাটা ধান ভিজে নষ্ট হওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকেরা। কৃষকেরা ধান কেটে জমিতে রেখে দিয়েছেন। পানির ওপরে ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ধান।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোনা আমন জাতের ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। উপজেলায় খাদ্যের চাহিদা রয়েছে গড়ে ৪৫ হাজার ৩৫০ টন। গড় হিসাব অনুযায়ী উপজেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে ১৬ হাজার ৫৫০ টন চাল অতিরিক্ত থাকবে।
উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নাহিদ হোসেন বলেন, জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে কৃষাণ নিয়েছি। কৃষাণের সঙ্গে পরিবারের সবাই মিলে ধান কেটেছেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে এ কী হল। টানা দুই দিনের বৃষ্টির পানিতে পাকা ধান পুরোপুরি ডুবে গেছে।
হরিনাডাঙ্গা গ্রামের কৃষকেরা বলেন, এ বছর আশা করে কেউ এক বিঘা, কেউ দেড় বিঘা আবার কেউ তাঁর বেশি জমিতে ধানের চাষ করেছে। সব ধান মাঠে পড়ে রয়েছে। অল্প কিছু ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। এ বছর ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। অসময়ের বৃষ্টিতে আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেল।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমির কাটা-ধান ঘরে তোলা হয়েছে। ১০ হেক্টর জমির কাটা ধান মাঠে থাকায় টানা বৃষ্টিতে ভিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব কুমার রায় বলেন, বৃষ্টি শুরুর আগে জরুরিভাবে কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছে। পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনেকে সেটা করেননি। ফলে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রমজানুল আমিন বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোনা আমন জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। বেশির ভাগ ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। তবে ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমির ধান কেটে বিচালি করে রাখায় সেটা পানিতে ডুবে গেছে।
রমজানুল আমিন আরও বলেন, উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী গ্রুপ ট্রান্সকম লিমিটেডের শেয়ার জালিয়াতি করে দখল ও ভুয়া পারিবারিক সেটেলেমেন্ট দলিল তৈরির দুটি মামলায় গ্রুপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ ৬ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিভিশন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
২ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে দগ্ধ সাতজনের মধ্যে আব্দুল খলিল (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। আজ সোমবার সকালে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি মারা যান।
৫ মিনিট আগেরাজধানীতে বিশৃঙ্খলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন খবরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে। এ সময় ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
২১ মিনিট আগেড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সঙ্গে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান সংঘর্ষের জেরে দুই দিন ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করেছে সোহরাওয়ার্দী কলেজ। সোমবার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়।
২৭ মিনিট আগে