খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে নগরীর শিববাড়ীর মোড়ে জিয়া হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে আটজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নগরীর শিববাড়ীর মোড়ে জিয়া হলের ভেতর থেকে আমরা বাইকে বের হচ্ছিলাম। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিত ইটপাটকেল ও ছুরি দিয়ে হামলায় চালায়। এতে নাজমুল, খালিদ, সাম্মী, সাদিয়া, দিয়া, রুমি, আমিসহ আটজন আহত হয়েছি। আমাদের রক্ষা করতে নারীরা এগিয়ে এলে তাঁদের ওপরেও হামলা চালানো হয়। এতে সাদিয়া, দিয়াসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে দুজনকে। সারা দেশে কারা হামলা করছে, কেন হামলা করছে, আমরা কিছুই জানি না।’

সাজিদুল ইসলামের অভিযোগ, ‘খুলনার মতো শহরে প্রতিদিন গুলির ঘটনা ঘটছে। দিনদিন প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আমরা হতাশ। খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যদি উন্নতি না হয়, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগ চাইব। আশা করব, তাঁদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামার আগে তাঁরা পদত্যাগ করবেন।’

সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের শিক্ষার্থী রুমি রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে নিজেদের মধ্যে একটি বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। মেয়েরা পাশেই ছিল। এ সময় ১৬-১৭ জনের একটি দল এসে অতর্কিত হামলা চালায়। ছেলেদের রক্ষার চেষ্টা করি। তখন মেয়েদের ওপর হামলা করা হয়। এতে সাদিয়া ও দিয়া গুরুতর আহত হন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’

এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে যেটা শুনেছি, নিজেদের মধ্যে একটি অনুষ্ঠান শেষে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে।’

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৭টায় শিববাড়ী মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।