ইবির ফার্মেসি বিভাগের ভর্তি কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

ইবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফার্মেসি বিভাগের ভর্তি কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফার্মেসি কাউন্সিল অব বাংলাদেশ। সম্প্রতি সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এর আগে গত জুন মাসে ওই বিভাগ পরিদর্শন করে ফার্মেসি কাউন্সিলের কর্মকর্তারা। 

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা সরকারি-বেসরকারি ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ সবচেয়ে পুরোনো। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি শিক্ষার্থীরা। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশাসনকে দোষারোপ করে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইবির ফার্মেসি বিভাগ নিষেধাজ্ঞার অন্যতম কারণ, শিক্ষক ও ল্যাব ইনস্ট্রাক্টর সংকট। শর্ত অনুযায়ী দশজন শিক্ষক ও আটজন ল্যাব ইনস্ট্রাক্টর থাকতে হবে। ২০১৭ সালে চালু হওয়া বিভাগটিতে চারটি ব্যাচে ২৫০ শিক্ষার্থী রয়েছেন। 

বিভাগে চারজন শিক্ষক থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন দুইজন। বাকি দুইজন শিক্ষা ছুটিতে আছেন। ক্লাস–পরীক্ষা স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন বিভাগ থেকে শিক্ষক ধার করে পাঠদান অব্যাহত রেখেছে বিভাগটি। এ দিকে ল্যাব ইনস্ট্রাক্টর পদে কেউ নেই। বর্তমানে ল্যাবগুলো পরিচালনা করছে বিভাগের শিক্ষকেরা। 

ফার্মেসি কাউন্সিলের শর্ত অনুযায়ী, আটটি ল্যাব থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে বিভাগটিতে ল্যাব রয়েছে তিনটি। আপাতত ল্যাব বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরি থেকে রুম নিয়ে নিষেধাজ্ঞা কাঠিয়ে ওঠার পরিকল্পনা নিয়েছে বিভাগটি। 

নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ল্যাব, ল্যাব ইনস্ট্রাক্টর ও শিক্ষক সংকট সমাধান করে ফার্মেসি কাউন্সিলের কাছে রিপোর্ট দিতে হবে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বি. ফার্ম কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখতে হবে। 

এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সংকটের কারণেই আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন সংকট সমাধান করেনি। এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনের ব্যর্থতা। প্রশাসন বিভাগ খোলার জন্য যতটা আগ্রহী, ততটা আগ্রহী যদি সংকট সমাধানের জন্য হতো, তাহলে আজকে নিষেধাজ্ঞার কবলে পরতে হতো না।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অর্ঘ্য প্রসূন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে অন্য বিভাগের তুলনায় ফার্মেসি বিভাগ খোলার জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে শুধু বিভাগ খুললেই হয় না। এখানে ১৭ সালে বিভাগ খোলা হয়েছে। সাত বছরেও বিভাগটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি। প্রশাসন চাইলে বিভাগটিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারত।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগের কোথায় কী লাগবে, এটা আসলে ডিন ও চেয়ারম্যানে আমাকে কাগজপত্রসহ অবগত করবে। তাহলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারি। কিছু সংকট থাকবে। আগামী মাসে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড হবে। একসঙ্গে সব সংকটতো কাটানো যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত