Ajker Patrika

কুয়েটের হল খোলেনি, সারা রাত অবস্থানের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

খুলনা প্রতিনিধি
৫২ দিন পর ক্যাম্পাসে ফিরলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
৫২ দিন পর ক্যাম্পাসে ফিরলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বন্ধের ৫২ দিন পর আজ রোববার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (কুয়েট) প্রবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মানায় সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বন্ধ থাকা কুয়েটে ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বেলা ২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকেরা সেখানে যান। দুই পক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় বলে জানান কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ।

ক্যাম্পাস সূত্র বলেছে, বেলা ৩টার দিকে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ঢোকেন। এ সময় ফটকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের কেউ বাধা দেয়নি। পরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষার্থীদের কাছে আসে। শিক্ষকেরা তাঁদের বলেন, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম ও হল খোলা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবিতে অটল থাকেন।

বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, হল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাঁদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তাঁরা টিউশনি করতে পারছেন না। তাঁরা রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দাবি পূরণ না করে, তাহলে তাঁরা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, শিক্ষার্থীদের দাবি শেষ পর্যন্ত মেনে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কারণে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সারা রাত অবস্থানের ঘোষণা দেন। রাত ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

জানতে চাইলে কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানিয়েছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত