Ajker Patrika

ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে ভারতফেরত যাত্রীদের চাপ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯: ২১
ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে ভারতফেরত যাত্রীদের চাপ

ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের টানা পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে ভারত থেকে ফিরতে শুরু করেছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ভারতে গিয়েছিলেন তাঁরা। একসঙ্গে ফেরার কারণে বন্দরে বেড়েছে যাত্রী চাপ।

গত পাঁচ দিনে ৩২ হাজার ২০০ যাত্রী বন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছেন বলে জানান বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, বন্দরে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ইমিগ্রেশন দ্রুত সারতে কাজ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এবার ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন বন্ধ ছিল দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানও সরকারি ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্ধ রেখেছিল। এতে লম্বা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকে গিয়েছিল ভারতে; আবার অনেকে ভারত থেকে ফিরছে—এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। যাত্রীদের নিরাপত্তায় বন্দরে কাজ করছেন বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের নিরাপত্তাকর্মীরা।

পাসপোর্টধারী যাত্রী রাজশাহীর কবির হোসেন জানান, তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। তবে শূন্য রেখায় লম্বা লাইনে যে ভিড়, এতে ইমিগ্রেশন সারতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জনবলসংকট থাকায় এ দুর্ভোগ বেড়েছে।

পাসপোর্টধারী যাত্রী খুলনার রেশমা আক্তার সরকারি চাকরি করেন। টানা পাঁচ দিনের ছুটি পেয়ে বেড়ানোর জন্য পরিবারের সঙ্গে ভারতে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষ হওয়ায় তাঁকে দেশে ফিরতে হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা।পাসপোর্টধারী আরেক যাত্রী ঢাকার বাসিন্দা বরকত বলেন, দূরপাল্লার বাসে সিটসংকটের কথা বলে ভাড়া বেশি আদায় করছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। সাধারণ সময় ঢাকার ভাড়া জনপ্রতি ননএসি ৭০০ টাকা ও এসি ১ হাজার ২০০ টাকা হলেও এখন চাইছে ননএসি ৮০০ টাকা ও এসি ১ হাজার ৫০০ টাকা। এতে ফেরার পথে হাতে খরচে টাকা কম থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকেন। ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা এবং ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়েনি। 

বেনাপোল বন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা।বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ঘরে ফেরার চাপ বেড়েছে। তবে দ্রুত যাতে তাঁরা বন্দরে পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে পারে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের সূত্রেমতে, আগে ভ্রমণ কর বড়দের (পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে) ৫০০, ছোটদের (পাঁচ বছরের নিচে) ২৫০ টাকা ছিল। এখন তা বেড়ে বড়দের এক হাজার ও ছোটদের ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দর ৫৫ টাকা কর নিচ্ছে। আর ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় দূতাবাসগুলো ৮৫০ টাকা নিচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে বছরে ভারত সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় হয়। দিন দিন ভ্রমণ করের টাকা বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়াইনি পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ঢাকা: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপিকে বৈষম্যবিরোধীদের বাধা

নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারে পোস্টার থাকছে না

মিয়ানমার যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল

শত শত বিদেশি শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বলা হচ্ছে কেন

কুমিল্লাকে ‘প্রস্রাবের স্থান’ বলে মন্তব্য বিএনপি নেতার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত