Ajker Patrika

শিক্ষার্থীদেরকে হুমকি, কক্ষে শিক্ষা কর্মকর্তাকে রেখে দরজায় তালা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আন্দোলনরত ভকেশনাল শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের হুমকি ও অসদাচরণ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে নিজ কার্যালয়ের কক্ষে তাঁকে ভেতরে রেখে দরজায় তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভকেশনাল শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস কক্ষের তালা খুলে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ বায়েজিদ খান হিমু। এর আগে বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলামের গাড়ি আটকে দিয়ে শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে। অবরোধ করে রাখে ভেড়ামারা-দৌলতপুর মহাসড়ক। এ সময় শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপজেলায় ভকেশনালে প্রায় ৯০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৬০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী। বেশ কয়েক দিন ধরে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিল তারা। এতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ পাঁচ বছর ধরে ভেড়ামারায় আছেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীকে হুমকি দিয়েছেন। শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্যে ভীত হয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তোলে শিক্ষার্থীরা।

কুষ্টিয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ বায়েজিদ খান হিমু বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক হোসেন শিক্ষার্থীদেরসহ তাদের মা-বাবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিয়ে জীবন ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছে। এই অবস্থায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিজ কার্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রেখেই দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে তিনি ক্ষমা চান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মা প্রকাশ করে বলেছি, তোমরা ঘরে ফিরে যাও, না গেলে তোমাদের সমস্যা হবে।

ভেড়ামারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে তালা দেওয়া একটি কক্ষের দরজা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভেড়ামারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে তালা দেওয়া একটি কক্ষের দরজা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কর্মকর্তাকে কক্ষে রেখেই তালা মেরে দেয়। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে তালা খুলে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত