বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৮: ৩২
Thumbnail image

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’কে কেন্দ্র করে বাগেরহাট থেকে খুলনামুখী বাসসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন যান খুলনার দিকে যেতে বাধা দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে।

তবে, বাগেরহাট বাস মালিক সমিতি জানায়, মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র (থ্রি-হুইলার), নছিমনসহ অযান্ত্রিক অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট করছে তারা।

এদিকে হঠাৎ বাগেরহাট থেকে খুলনাগামী বাসসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হওয়াতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

বাসচালক ও তাঁদের সহযোগীরা জানান, বাগেরহাট আন্তজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

খুলনা যেতে কচুয়ার গোপালপুর থেকে বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডে আসা রফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় অসুস্থ। খুলনার হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে দেখতে যাব বলে সকালে বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ডে আসি। দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাসে যেতে পারিনি। বাস তো চলছেই না, অন্য কোনো যানবাহন যাচ্ছে না। ইজিবাইক, মাহিন্দ্রও চলতে দিচ্ছে না। বলেন কী করি?’

বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডের সামনে দেখা গেছে কয়েকটি মাইক্রোবাসের পথ আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কয়েক ব্যক্তি। তাঁদের হাতে ছিল লাঠি ও কাঠের বাতা। দুটি মাইক্রোবাস আটকে দেওয়া হয়। আজ দুপুর পর্যন্ত ওই বাসস্ট্যান্ড থেকে খুলনামুখী কোনো গাড়িই ছেড়ে যায়নি। পিরোজপুর ও বরিশাল থেকেও এই পথে চলাচল করা কোনো বাস বাগেরহাটের ওপর দিয়ে আজ খুলনায় যায়নি। বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের ভিআইপি মোড় এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মাইক্রোবাস আটকে চালক ও যাত্রীদের মারধরের ঘটনা ঘটে।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘চোর সন্দেহে সাহাপাড়া (ভিআইপি মোড়) এলাকায় কয়েকজনকে আটকে রাখার কথা শুনেছি। তাঁদের সঙ্গে মাইক্রোবাস ছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যান চলাচল বন্ধ বা কোথাও বিএনপির লোকদের বাধা দেওয়ার কোনো খবর জানা নেই বা বিএনপির পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ করা হয়নি।’

তারুণ্যের সমাবেশে নেতা-কর্মীরা যাতে আসতে না পারে—এ জন্য আজ সকাল থেকেই বাস বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজন। তিনি বলেন, ‘গত রাতেই অধিকাংশ নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে অংশ নিতে খুলনাতে চলে এসেছেন। বিএনপি, যুবদলসহ সব অঙ্গসংগঠন মিলে প্রায় পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী খুলনার সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।’ এর আগেই খুলনায় অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রকাশ্যে বাধা ও মারধরের ঘটনা ঘটলেও, এই সমাবেশে তুলনামূলক রাস্তাঘাটে বাধা ও হামলার ঘটনা কম বলে জানান তিনি।

যানবাহন বন্ধের বিষয়ে বাগেরহাট বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকী জানান, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমনসহ মহাসড়কে অযান্ত্রিক ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে তাঁরা ধর্মঘট করছেন। কোনো দলের কর্মসূচির সঙ্গে তাঁদের এই ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত