Ajker Patrika

অনুপ্রবেশের পর বিএসএফের হাতে আটক, আদালতে জানা গেল স্ত্রী হত্যার আসামি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৬: ২৪
অনুপ্রবেশের পর বিএসএফের হাতে আটক, আদালতে জানা গেল স্ত্রী হত্যার আসামি

স্ত্রীকে হত্যার পর ছিলেন আত্মগোপনে। ভারতে গিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে আটক হলে মিথ্যা পরিচয় দেন। পতাকা বৈঠক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশে ফিরিয়ে আনার পর পাসপোর্টের মামলায় আদালতে তোলা হয় তাঁকে। পরে সেখানেই শনাক্ত করেন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

ওই ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা জেলার আনোয়ার হোসেন (৪২)। তবে তিনি নিজেকে বিএসএফের কাছে রবিউল ইসলাম নামে পরিচয় দিয়েছিলেন।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের সুমিরদিয়া পাড়ায় সাদিয়া সুলতানা নয়নতারাকে (৩৫) পরকীয়া সন্দেহে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন আনোয়ার হোসেন। এরপর প্রায় ১০ মাস ধরে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। আসল পরিচয় গোপন করে গত ৪ জুলাই সকালে আনোয়ার হোসেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর মহকুমার রাঙ্গেয়ারপোতা এলাকায় অনুপ্রবেশ করেন।

সেখানে বিএসএফের কাছে ধরা পড়ার পর আনোয়ার হোসেন নিজেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ এলাকার মৃত আতাউল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম হিসেবে পরিচয় দেন। ওই দিন দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর তাঁকে পাসপোর্ট আইনে মামলাসহ দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আদালত পুলিশের পরিদর্শক নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, পাসপোর্ট আইনের মামলায় দর্শনা পুলিশ আনোয়ার হোসেনকে গত বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেন। 

গৃহবধূ সাদিয়া সুলতানা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নীতিশ কুমার আদালতকে জানান, রবিউল ইসলামের প্রকৃত নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। আদালতের বিচারক বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন হত্যা মামলাটির শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন। আনোয়ার হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত