প্রতিনিধি, মাগুরা
সারা বছর ধার করে চাষাবাদ চলে কওছার আলীর। ফসল ঘরে উঠলেই সুদসহ আসল ফেরত দেন মহাজনকে। নিজের পুকুরের চারপাশে পতিত জমিতে করেছিলেন কলার চাষ। সঙ্গে পরের জমি বর্গা নিয়ে মোট ৪০০ কলাগাছ বড় করে এখন কলা পেয়েছেন প্রত্যাশার থেকে বেশি। কিন্তু করোনার কারণে কলার দাম নেই। মহাজনের চিন্তায় বসে আছেন সদর উপজেলার ইটখোলা বাজারের এক কোণে।
কলার দাম না থাকায় কওছারের মতো অনেক চাষির কপালে এখন ভাঁজ পড়েছে। চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে জেলার হাটবাজারে লোকসমাগম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা আসছেন না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ অবস্থায় কলা কিনতে চাইছেন না। সে কারণে আড়তে বেচা–বিক্রি কমে গেছে। ভালো দাম থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা সদরের ইছাখাদা, ওয়াপদা এলাকায় কলার কয়েকটি আড়ত এবং হাট বসার জায়গা থাকলেও নেই ক্রেতা। ফলে কলার বিক্রি প্রায় শূন্যের কোঠায় বলছেন কলাচাষিরা। তাই কলা পরিবহনের খরচটাও পোষাতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, এভাবে চললে তাঁদের পথে বসতে হবে।
কলাচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় কলার চাষ হয়েছে ৮৮২ হেক্টর জমিতে। বরাবরের মতো শ্রীপুর, শালিখা, মহম্মদপুর থেকে মাগুরা সদর উপজেলায় কলার চাষ বেশি হয়েছে। এ ছাড়া সদরের ওয়াপদা কলার আড়তে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, বগুড়া, বরিশাল, খুলনা, সিলেট, চিটাগাং থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন কলা কিনতে। বর্তমানে কঠোর লকডাউনের কারণে জেলার হাটবাজারে লোকসমাগম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা আসছেন না। সে কারণে আড়তে স্বাভাবিক বেচা–বিক্রি বলতে তেমন নেই। প্রথম দিকে ভালো দাম পেলেও কঠোর লকডাউন শুরুর পর থেকে কলার দাম কমে যাওয়ায় লোকসান গুনছেন চাষিরা।
সদরের ওয়াপদা কলার আড়তে প্রতিদিন ছোট থেকে বড় মিলে ২০–২৫টি ট্রাক লোড হতো। সেখানে বর্তমানে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। অন্য জেলা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখন আর আসছেন না।
আড়ত ও কলার হাট থেকে জানা যায়, এক কাঁদি চাঁপা কলা ১৪০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়। সবরি কলার কাঁদি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, সাগর ও রঙিন মেহের সাগর কলা কাঁদি পাইকারি বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সেখানে প্রতি কাঁদি কলায় শ্রেণিভেদে প্রায় অর্ধেক টাকায় নেমে এসেছে।
সদরের ইটখোলা বাজার এলাকায় কলার হাট বসে সপ্তাহে তিন দিন। হাটে বিভিন্ন গ্রাম থেকে কলা নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা; বিশেষ করে বেলনগর, কছুন্দি, ঘাসিয়াড়া, শ্রীপুর বারইপাড়া, রাধানগর, মাঝাইল মানন্দারতলা, মহম্মদপুর, শালিখা থেকে আসা কলা এই হাটে বিক্রি হতে দেখা যায়।
সেখানে লকডাউনের শুরু থেকে তেমন কলা বিক্রি হয়নি, বলছেন ব্যবসায়ী নাসের মিয়া। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী কলা হাটের পাশে বাগানে ফেলে রেখে চলে গেছেন। তিনি বলেন, ‘এ রকম চললে আমাদের ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ খামার বাড়ির উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জানান, মাগুরা জেলায় এ বছর কলার উৎপাদন ভালো হয়েছে। বলা যায় চাষিদের জন্য খুবই লাভজনক উৎপাদন। তবে চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে বাইরের জেলা থেকে কলা ব্যবসায়ীরা না আসায় কলা বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। ফলে খুবই ঝুঁকির মুখে পড়েছেন স্থানীয় চাষিরা। লকডাউন শেষ হলে কলাচাষিরা ভালো দাম পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
সারা বছর ধার করে চাষাবাদ চলে কওছার আলীর। ফসল ঘরে উঠলেই সুদসহ আসল ফেরত দেন মহাজনকে। নিজের পুকুরের চারপাশে পতিত জমিতে করেছিলেন কলার চাষ। সঙ্গে পরের জমি বর্গা নিয়ে মোট ৪০০ কলাগাছ বড় করে এখন কলা পেয়েছেন প্রত্যাশার থেকে বেশি। কিন্তু করোনার কারণে কলার দাম নেই। মহাজনের চিন্তায় বসে আছেন সদর উপজেলার ইটখোলা বাজারের এক কোণে।
কলার দাম না থাকায় কওছারের মতো অনেক চাষির কপালে এখন ভাঁজ পড়েছে। চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে জেলার হাটবাজারে লোকসমাগম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা আসছেন না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ অবস্থায় কলা কিনতে চাইছেন না। সে কারণে আড়তে বেচা–বিক্রি কমে গেছে। ভালো দাম থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা সদরের ইছাখাদা, ওয়াপদা এলাকায় কলার কয়েকটি আড়ত এবং হাট বসার জায়গা থাকলেও নেই ক্রেতা। ফলে কলার বিক্রি প্রায় শূন্যের কোঠায় বলছেন কলাচাষিরা। তাই কলা পরিবহনের খরচটাও পোষাতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, এভাবে চললে তাঁদের পথে বসতে হবে।
কলাচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় কলার চাষ হয়েছে ৮৮২ হেক্টর জমিতে। বরাবরের মতো শ্রীপুর, শালিখা, মহম্মদপুর থেকে মাগুরা সদর উপজেলায় কলার চাষ বেশি হয়েছে। এ ছাড়া সদরের ওয়াপদা কলার আড়তে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, বগুড়া, বরিশাল, খুলনা, সিলেট, চিটাগাং থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন কলা কিনতে। বর্তমানে কঠোর লকডাউনের কারণে জেলার হাটবাজারে লোকসমাগম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা আসছেন না। সে কারণে আড়তে স্বাভাবিক বেচা–বিক্রি বলতে তেমন নেই। প্রথম দিকে ভালো দাম পেলেও কঠোর লকডাউন শুরুর পর থেকে কলার দাম কমে যাওয়ায় লোকসান গুনছেন চাষিরা।
সদরের ওয়াপদা কলার আড়তে প্রতিদিন ছোট থেকে বড় মিলে ২০–২৫টি ট্রাক লোড হতো। সেখানে বর্তমানে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। অন্য জেলা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখন আর আসছেন না।
আড়ত ও কলার হাট থেকে জানা যায়, এক কাঁদি চাঁপা কলা ১৪০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়। সবরি কলার কাঁদি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, সাগর ও রঙিন মেহের সাগর কলা কাঁদি পাইকারি বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সেখানে প্রতি কাঁদি কলায় শ্রেণিভেদে প্রায় অর্ধেক টাকায় নেমে এসেছে।
সদরের ইটখোলা বাজার এলাকায় কলার হাট বসে সপ্তাহে তিন দিন। হাটে বিভিন্ন গ্রাম থেকে কলা নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা; বিশেষ করে বেলনগর, কছুন্দি, ঘাসিয়াড়া, শ্রীপুর বারইপাড়া, রাধানগর, মাঝাইল মানন্দারতলা, মহম্মদপুর, শালিখা থেকে আসা কলা এই হাটে বিক্রি হতে দেখা যায়।
সেখানে লকডাউনের শুরু থেকে তেমন কলা বিক্রি হয়নি, বলছেন ব্যবসায়ী নাসের মিয়া। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী কলা হাটের পাশে বাগানে ফেলে রেখে চলে গেছেন। তিনি বলেন, ‘এ রকম চললে আমাদের ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ খামার বাড়ির উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জানান, মাগুরা জেলায় এ বছর কলার উৎপাদন ভালো হয়েছে। বলা যায় চাষিদের জন্য খুবই লাভজনক উৎপাদন। তবে চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে বাইরের জেলা থেকে কলা ব্যবসায়ীরা না আসায় কলা বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। ফলে খুবই ঝুঁকির মুখে পড়েছেন স্থানীয় চাষিরা। লকডাউন শেষ হলে কলাচাষিরা ভালো দাম পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
আজ থেকে আগামী এক সপ্তাহ জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালন করবে ছাত্রসংগঠনগুলো। রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে সংগঠনটির আহ্বানে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে চার ঘণ্টাব্যাপী এক জরুরি আলোচনা সভা হয়। দেশব্যাপী চলমান আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্ব নিরসনে ১৯টি ছাত্র সংগঠন
১৮ মিনিট আগেশুল্ক আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে মো. পারভেজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির নিশান সাফারি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনায় গাড়িটির গায়ে ‘নিশান সাফারি’ মুছে দিয়ে ‘নিশান পেট্রোল’ লেখা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকা থেকে কাস্টমস গোয়েন্দারা গাড়িটি জব্দ করেন।
১ ঘণ্টা আগেঅহিংস গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম
৯ ঘণ্টা আগেজামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন
১০ ঘণ্টা আগে