৯ দাবিতে পাবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের অবস্থান কর্মসূচি

পাবনা প্রতিনিধি
Thumbnail image

পদোন্নতিসহ ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। 

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা বাধা দেন। এতে উপাচার্যের সহযোগীদের সঙ্গে সমিতির সদস্যদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে বাধা উপেক্ষা করেই উপাচার্য নিজের কার্যালয়ে আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভায় অংশ নেন। 

কর্মকর্তাদের ৯ দাবি হলো নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেডেশনের মেয়াদপূর্ন হওয়ায় কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। অ্যাডহক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে। কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে। কর্মকর্তাদের শিক্ষাছুটিসহ যাবতীয় প্রাপ্য ছুটি হয়রানি ছাড়া দিতে হবে। কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয়, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয় না, এমন দ্বৈতনীতি পরিহার করতে হবে। প্রয়াত ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার শহিদুল ইসলামের সহধর্মিণীর চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য গঠিত উপ-কমিটির সকল কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং শতকরা ৪ ভাগ গৃহনির্মাণ ঋণ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, অনেক দিন ধরে একপক্ষ পদোন্নতির জন্য চেষ্টা করছে। তারা এবারও উপেক্ষিত। এ জন্য আজকে তারা এই সভা বাধাগ্রস্ত করতে অবস্থান নিয়েছে। 

এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো অনেক দিনের, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়েও বাস্তবায়ন করছে না। এ জন্য আমাদের আজকের কর্মসূচি পালন করেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন চলবে।’ 

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাফিজা খাতুনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভায় ব্যস্ত থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

তবে প্রক্টর কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেও একজন প্রার্থী ছিলাম। সকাল থেকেই আমি ওপরে (সভাকক্ষে) ছিলাম। বিষয়টি আমি পুরোপুরিভাবে জানি না। কর্মকর্তারা কেন অবস্থান নিয়েছিল সেটা জেনে তারপর বলতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত