পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি
প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের জন্য দুটি লিফট কেনা হলেও উদ্বোধনের দুই সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৯ মাস ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে লিফট দুটি।
শিক্ষার্থীরা জানান, লিফট দুটি অত্যন্ত নিম্নমানের ও কম ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘সি’ ক্যাটাগরির লিফট স্থাপন করা হয়েছে। অনেক দিন ধরে লিফট বন্ধ থাকায় সিঁড়ি দিয়ে উঠানামায় ভোগান্তির শিকার অনুষদের শিক্ষকসহ প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধী ও নারী শিক্ষার্থীরা।
ইবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে উদ্বোধন করা হয় দুটি লিফট। চালু অবস্থায় ওভারলোড ও টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বিভিন্ন সময় লিফটের ভেতরে আটকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে লিফট দুটি চালুর দুই সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একাডেমিক ভবনের মধ্যে সর্বোচ্চ বহুতল ভবন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে লিফট স্থাপন করা হয়। ভবনটির ৫ম ও ৬ষ্ট তলা সম্প্রসারণের সময় ৪২ লাখ টাকা বাজেট ধরে লিফট দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইবির প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘পিডব্লিউডি’ শিডিউল অব রেটস-২০১৮ অনুযায়ী বাজারের সর্বনিম্ন তালিকাভুক্ত ‘সি ক্যাটাগরির’ লিফটের মূল্য তালিকায় রয়েছে ইবিতে স্থাপিত লিফট দুটি। সি ক্যাটাগরির এলজিএস, গোল্ড স্টার, সিগমাসহ ৪টি ব্র্যান্ডের কথা উল্লেখ করে লিফট বসানোর অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্য থেকে সিগমা ব্র্যান্ডের কোরিয়ান দুটি লিফট গত ৩ মে স্থাপন করে সনেট ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিটির মূল্য ধরা হয় ২৫ লাখ টাকা। পিডব্লিউডি-এর তালিকা অনুযায়ী ‘বি’ ক্যাটাগরি প্রতিটি লিফটের মূল্য রয়েছে ৩১ লাখ ও ‘এ’ ক্যাটাগরির লিফটের মূল্য ৪০ লাখ টাকা করে। পরে প্রতি তলা অনুযায়ী বাড়ানো হয় লিফটের দাম।
তবে একাডেমিক ভবনে যেখানে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে সেখানে মাত্র ৬ জন ধারণা ক্ষমতা সম্পন্ন সি ক্যাটাগরির নিম্নমানের লিফট স্থাপন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী উঠলে অভারলোড সিগনাল ব্যতীত ভেতর থেকে লিফট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। এতে আটকে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত লিফটে অটোমেটিক রেসকিউ সিস্টেম থাকার কথা থাকলেও নিম্নমানের এই লিফটগুলোতে সেরকম কোনো ব্যবস্থা নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রবিন হোসেন বলেন, ‘ভবনের একদম ষষ্ঠ তলায় আমাদের ক্লাসরুম। প্রতিনিয়ত সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামা আমাদের জন্য কষ্ট হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ নিম্নমানের লিফট ক্রয় করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই মাস আগে আমি প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি দিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছিল খুব শিগগিরই লোকবল নিয়োগ করে লিফট চালু করা হবে। কিন্তু লিফট চালু করার বিষয়ে প্রশাসন এখনোও কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’
এ বিষয়ে প্রকৌশল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, ‘লিফট চালু করার অন্যতম বাধা জনবল সংকট। লিফট পরিচালনার জন্য ন্যূনতম দুজন লোক চেয়ে প্রশাসন বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। প্রশাসন এ ব্যাপারে এখনো আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘লিফট সংস্কারের ব্যাপারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদত হোসেন আজাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো জরুরি ফাইল তাই ফাইলগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসলে দ্রুত কাজ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা আনেনি, এই কারণে আটকে আছে। যদি এটা নিয়ে কোনো আন্দোলন হতো, তাহলে কিন্তু তাঁরা নিজ দায়িত্বে ফাইল নিয়ে আসত।’
প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের জন্য দুটি লিফট কেনা হলেও উদ্বোধনের দুই সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৯ মাস ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে লিফট দুটি।
শিক্ষার্থীরা জানান, লিফট দুটি অত্যন্ত নিম্নমানের ও কম ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘সি’ ক্যাটাগরির লিফট স্থাপন করা হয়েছে। অনেক দিন ধরে লিফট বন্ধ থাকায় সিঁড়ি দিয়ে উঠানামায় ভোগান্তির শিকার অনুষদের শিক্ষকসহ প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধী ও নারী শিক্ষার্থীরা।
ইবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে উদ্বোধন করা হয় দুটি লিফট। চালু অবস্থায় ওভারলোড ও টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বিভিন্ন সময় লিফটের ভেতরে আটকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে লিফট দুটি চালুর দুই সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একাডেমিক ভবনের মধ্যে সর্বোচ্চ বহুতল ভবন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে লিফট স্থাপন করা হয়। ভবনটির ৫ম ও ৬ষ্ট তলা সম্প্রসারণের সময় ৪২ লাখ টাকা বাজেট ধরে লিফট দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইবির প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘পিডব্লিউডি’ শিডিউল অব রেটস-২০১৮ অনুযায়ী বাজারের সর্বনিম্ন তালিকাভুক্ত ‘সি ক্যাটাগরির’ লিফটের মূল্য তালিকায় রয়েছে ইবিতে স্থাপিত লিফট দুটি। সি ক্যাটাগরির এলজিএস, গোল্ড স্টার, সিগমাসহ ৪টি ব্র্যান্ডের কথা উল্লেখ করে লিফট বসানোর অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্য থেকে সিগমা ব্র্যান্ডের কোরিয়ান দুটি লিফট গত ৩ মে স্থাপন করে সনেট ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিটির মূল্য ধরা হয় ২৫ লাখ টাকা। পিডব্লিউডি-এর তালিকা অনুযায়ী ‘বি’ ক্যাটাগরি প্রতিটি লিফটের মূল্য রয়েছে ৩১ লাখ ও ‘এ’ ক্যাটাগরির লিফটের মূল্য ৪০ লাখ টাকা করে। পরে প্রতি তলা অনুযায়ী বাড়ানো হয় লিফটের দাম।
তবে একাডেমিক ভবনে যেখানে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে সেখানে মাত্র ৬ জন ধারণা ক্ষমতা সম্পন্ন সি ক্যাটাগরির নিম্নমানের লিফট স্থাপন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী উঠলে অভারলোড সিগনাল ব্যতীত ভেতর থেকে লিফট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। এতে আটকে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত লিফটে অটোমেটিক রেসকিউ সিস্টেম থাকার কথা থাকলেও নিম্নমানের এই লিফটগুলোতে সেরকম কোনো ব্যবস্থা নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রবিন হোসেন বলেন, ‘ভবনের একদম ষষ্ঠ তলায় আমাদের ক্লাসরুম। প্রতিনিয়ত সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামা আমাদের জন্য কষ্ট হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ নিম্নমানের লিফট ক্রয় করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই মাস আগে আমি প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি দিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছিল খুব শিগগিরই লোকবল নিয়োগ করে লিফট চালু করা হবে। কিন্তু লিফট চালু করার বিষয়ে প্রশাসন এখনোও কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’
এ বিষয়ে প্রকৌশল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, ‘লিফট চালু করার অন্যতম বাধা জনবল সংকট। লিফট পরিচালনার জন্য ন্যূনতম দুজন লোক চেয়ে প্রশাসন বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। প্রশাসন এ ব্যাপারে এখনো আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘লিফট সংস্কারের ব্যাপারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদত হোসেন আজাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো জরুরি ফাইল তাই ফাইলগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসলে দ্রুত কাজ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা আনেনি, এই কারণে আটকে আছে। যদি এটা নিয়ে কোনো আন্দোলন হতো, তাহলে কিন্তু তাঁরা নিজ দায়িত্বে ফাইল নিয়ে আসত।’
বাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
৭ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
২৫ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে