যশোর-৫: স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা অফিসে হামলা, গ্রেপ্তার ৩ 

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০: ২৪
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ৪১

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলীর ইগল প্রতীকের প্রচারণা অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা দক্ষিণপাড়া মহিলা মাদ্রাসা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকা সমর্থকেরা।

এদিকে রাতেই এ ঘটনায় মনিরামপুর থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

হামলার ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাত ১০টার দিকে ঝাঁপা ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে ইগল প্রতীকের বহুসংখ্যক কর্ম-সমর্থক রাজগঞ্জ বাজারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে বিজিবি নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন। 

ইগল প্রতীকের সমর্থক রওশন জামাল টুটুল বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে আমরা ২০-২৫ জন ঝাঁপা দক্ষিণপাড়ায় ইগলের অফিসে বসে আলোচনা করছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ ঝাঁপা এলাকার কলেজশিক্ষক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা, সিরাজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শিমুল হোসেন, বাবলাসহ ৪০-৫০ জনের একটি দল আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। হামলাকারীরা অফিস ভাঙচুরসহ পিটিয়ে আমাদের পাঁচ থেকে সাতজনকে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে তরিকুল ইসলামের মাথা কেটে যাওয়ায় এবং আতিয়ার রহমানের হাত ভেঙে যাওয়ায় রাতেই তাঁদের দুজনকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

টুটুল বলেন, ‘হামলাকারীরা ছাড়া ঝাঁপা ইউনিয়নে নৌকার কোনো সমর্থক নেই। বিএনপির স্থানীয় সমর্থকেরা ইগলে সমর্থন দিয়ে আমাদের সঙ্গে আছেন। এ জন্য ভোটের মাঠে গেলে পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁরা আতঙ্ক ছড়াতে আমাদের ওপর হামলা করেছে।’

নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও কলেজশিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাত ৮টার পর টুটুলসহ ইগলের লোকজন রাজগঞ্জ বাজার থেকে ঝাঁপা মাদ্রাসা মোড়ে এলে স্থানীয় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ঘটনার সময় আমি সেখান থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে ভোট চাচ্ছিলাম।’ 

মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘মূলত ওরা (ইগল সমর্থকেরা) রাজগঞ্জ থেকে এসে উসকানিমূলকভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই রাতে ওরা না এলে কিছুই হতো না। তার পরও যা হয়েছে এটাতে আমরা সমর্থন করি না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। তদন্তে যাঁদের নাম বেরিয়ে আসবে তাঁদের শাস্তি হোক।’

মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মারামারির ঘটনায় আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় আহত তরিকুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় আটজন আসামির মধ্যে আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি।’ এদের মধ্যে একজনের নাম বাবলা বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, রাতেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করেছি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত