যশোরে পেট্রলবোমায় নিহত বাবা-মেয়ের বাড়িতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২০: ০৭
Thumbnail image

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘যখনই নির্বাচন আসে, তখনই একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসরা ষড়যন্ত্রের জাল বোনে। নির্বাচনে ভরাডুবি নিশ্চিত জেনেই সারা দেশে আগুন-সন্ত্রাসে নামে। দেশে অস্থিরতা তৈরি করে। যাতে রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে, সেই দিকে আওয়ামী লীগ সরকার সজাগ রয়েছে।’ 

আজ বুধবার বিকেলে যশোর শহরের ঘোপ এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের হরতালে নিহত যশোরের ঠিকাদার জাসদ নেতা নুরুজ্জামান পাপলু ও তাঁর মেয়ে মাইশা তাসনিমের পরিবারের খোঁজ নেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করলে আট যাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে ছিলেন যশোর শহরের ঘোপ এলাকার ঠিকাদার পপলু ও তাঁর মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী মাইশা। কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে তাঁদের সঙ্গে পপলুর স্ত্রী মাফরুহা বেগম ও ছোট ছেলে আসিফ মো. ইমতিয়াজ জামান থাকলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। 

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের কেশবপুরে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রতিমন্ত্রী যশোরে আসেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে এদিন বিকেলে পপলুর স্বজনের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। এ সময় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পপলু ও মাইশার কাটানো বিভিন্ন ছবি দেখেন। একই সঙ্গে পরিবারে সহায়তার জন্য তিন লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন মন্ত্রী। 
 
এদিকে চোখের সামনে স্বামী-সন্তানের মৃত্যুর আট বছরেরও সেই দৃশ্য ভুলতে পারেননি পপলুর স্ত্রী। সন্তান আর সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী স্বামীকে হারিয়ে ছেলেকে নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তিনি।

সপরিবারে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ঘুরতে গিয়ে তাঁর জীবনে আঁধার নেমে এসেছিল। সেই সমুদ্রসৈকত বিভিন্ন ছবি দেখান এই প্রতিবেদককে। একই সঙ্গে প্রতিটি ছবি দৃশ্য ধারণের আগে স্বামী পপলু আর মেয়ে মাইশার স্মৃতিচারণা করছিলেন, আর বারবার চোখ মুছছিলেন। 

তিনি আজকের পত্রিকা বলেন, ‘স্বামী-সন্তান হারিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়েছিল। ঘটনার পরে সরকার দুই দফায় ১২ লাখ টাকা দিয়েছে। আর ঘর ভাড়ার টাকার দিয়েই আমাদের এখন সংসার চলে। ছেলের লেখাপড়া শেষ হয়েছে কয়েক মাস ধরে। সে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করছে। বেঁচে যাওয়া একমাত্র সন্তান ইমতিয়াজকেই নিয়েই এখন বাঁচার ইচ্ছা।’ 

একই সঙ্গে তাঁর মতো আর অন্য কোনো পরিবারে পেট্রলবোমার হামলার শিকারে সাজানো সংসার ভেঙে চুরমার না হয়, এমনটি কামনা করেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত