নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ৫১

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় রাতে ঘরের বাইরে বের হলে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে তারেক মিয়া (২৫) নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তারেককে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। 

আজ শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারেক মিয়ার বাড়ি উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের মুন্সীপুর গ্রামে। তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। আর ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা ও মা জানান, তাদের ১৬ বছর বয়সী বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে বিদ্যালয়ের আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত তারেক। গত ২৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে প্রকৃতি ডাকে ওই কিশোরী ঘরের বাইরে বের হয়। ঘরে আসতে দেরি দেখে তার মাসহ বাড়ির লোকজন সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেন। বুধবার সকাল পর্যন্ত সন্ধান না পেয়ে যখন থানা-পুলিশের কাছে যাবেন সেই মুহূর্তে ওই কিশোরীকে স্থানীয় দুই মহিলা তাদের বাড়িতে দিয়ে যান। পরে কিশোরী তার মাসহ পরিবারের লোকজনের নিকট ইশারায় ঘটনাটি খুলে বলে। পরে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন যে, গত মঙ্গলবার রাতে অপহরণ করে কিশোরীকে মুন্সীপুর গ্রামের তারেক মিয়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। তারেক তাদের বাড়িতে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তার ঘরে নিয়ে সারা রাত আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা থানায় গিয়ে তারেক মিয়াকে প্রধান অভিযুক্ত ও আলমগীর নামে একজনকে সহযোগী আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি তারেককে গ্রেপ্তার করে। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর চাচা বলেন, আমার ভাতিজী যদিও বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। দেখতে খুব সুন্দর। বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। প্রায় দুই বছর আগে আমার ভাতিজিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তারেক ও তার পরিবারের লোকজন। বয়স কম হওয়ায় আমরা বিয়ে দিতে রাজি হইনি। আর তারেকের স্বভাব চরিত্র ভালো না। সে বখাটে ছেলে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারেক আমার ভাতিজীকে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপির সাবেক সদস্য মো. জামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তারেক নামে ছেলেটি এলাকায় চিহ্নিত বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার স্বভাবচরিত্র ভালো না, এলাকাবাসী তা জানেন। 

এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, গত বৃহস্পতিবার প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করে কিশোরীর বাবা। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তারেক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত তারেক মিয়াকে নেত্রকোনা জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পলাতক সহযোগী আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত