ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহ অংশের অনেক জায়গায় খানাখন্দের কারণে ঈদযাত্রায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বরাবরের ন্যায় এবারও মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেনের মহাসড়কের উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ এ মহাসড়ক দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছে। মাঝেমধ্যে মহাসড়কে খানাখন্দ হলেও তা নিয়মিত মেরামত করায় মানুষের ভোগান্তি তেমন হয়নি। সম্প্রতি ঈদকে ঘিরে এ মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা করছে মানুষ। কারণ, মহাসড়কে সিডস্টোর, ভালুকা, ত্রিশাল, বইলর এবং শিকারীকান্দা বাইপাস মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ হলেও তা মেরামত না করায় যানজটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, বাইপাসে এমন যানজট হয় যে দুই মিনিটের রাস্তা যেতে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। আগে থেকেই রাস্তাঘাট ঠিক না করলে মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়ে যাবে।
সালাউদ্দিন নামে ভালুকার আরেক বাসিন্দা বলেন, ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ইউ টার্নে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দেবে যাওয়ায় ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিন যানজট হচ্ছে। মনে হয় না ঈদের আগে কাজ শেষ হবে। আর কাজ শেষ না হলে ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে।
ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের চালক আবদুস সাত্তার বলেন, ‘রাস্তা ভাঙার কারণে মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়ি নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উঠতেই তীব্র যানজটের মধ্যে পড়তে হয়। শুধু শিকারীকান্দা মোড় নয়, বইলর, ত্রিশাল, ভালুকা এবং সিড স্টোরসহ গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত তো যানজট আছেই। ঈদের আগে রাস্তা মেরামত না করলে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। সঙ্গে যাত্রীরাও কষ্টে পড়বে। দ্রুত রাস্তাটা মেরামত করা হলে সবার জন্য ভালো হবে।’
প্রাইভেট কারের চালক মশিউর রহমান রাসেল বলেন, ‘এ বছর ১৫ রোজা থেকেই বোঝা গেছে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হবে। কিন্তু ভাঙা রাস্তা মেরামতের জন্য আমরা কোনো উদ্যোগ দেখতে পারছি না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতির কারণে মহাসড়ক খানাখন্দে ভরে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগকেও বেগ পোহাতে হবে।’
ময়মনসিংহ ট্রাফিক পুলিশের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘শিকারীকান্দা বাইপাস মোড়ে মূলত যানজটের কারণ হচ্ছে রাস্তা ভাঙা। ঢাকাগামী ময়মনসিংহের সমস্ত গাড়ি বাইপাস দিয়ে যেতে হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। আমরাও চেষ্টা করি যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু ভাঙা রাস্তার কারণে গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।’
জেলা জন-উদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘ঈদ এলে রাস্তাঘাট মানুষের জন্য বিষফোড়া হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল রাস্তাঘাট আরও আগে মেরামত করা। সময়ের কাজ সময়ে না করলে অসময়ে গিয়ে কিছু হয় না। তবে এখনো যে সময় আছে এই সময়ের মধ্যে আমরা আশা করব যেন সমস্ত রাস্তা মেরামত শেষ করা হয়।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘বালুবাহী ও মাছভর্তি ওভারলোড ট্রাকের কারণে মহাসড়কের প্রায় অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা নিয়মিত মেরামত করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এরই মধ্যে মহাসড়ক মেরামতে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ হবে।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহ অংশের অনেক জায়গায় খানাখন্দের কারণে ঈদযাত্রায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বরাবরের ন্যায় এবারও মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেনের মহাসড়কের উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ এ মহাসড়ক দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছে। মাঝেমধ্যে মহাসড়কে খানাখন্দ হলেও তা নিয়মিত মেরামত করায় মানুষের ভোগান্তি তেমন হয়নি। সম্প্রতি ঈদকে ঘিরে এ মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা করছে মানুষ। কারণ, মহাসড়কে সিডস্টোর, ভালুকা, ত্রিশাল, বইলর এবং শিকারীকান্দা বাইপাস মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ হলেও তা মেরামত না করায় যানজটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, বাইপাসে এমন যানজট হয় যে দুই মিনিটের রাস্তা যেতে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। আগে থেকেই রাস্তাঘাট ঠিক না করলে মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়ে যাবে।
সালাউদ্দিন নামে ভালুকার আরেক বাসিন্দা বলেন, ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ইউ টার্নে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দেবে যাওয়ায় ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিন যানজট হচ্ছে। মনে হয় না ঈদের আগে কাজ শেষ হবে। আর কাজ শেষ না হলে ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে।
ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের চালক আবদুস সাত্তার বলেন, ‘রাস্তা ভাঙার কারণে মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়ি নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উঠতেই তীব্র যানজটের মধ্যে পড়তে হয়। শুধু শিকারীকান্দা মোড় নয়, বইলর, ত্রিশাল, ভালুকা এবং সিড স্টোরসহ গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত তো যানজট আছেই। ঈদের আগে রাস্তা মেরামত না করলে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। সঙ্গে যাত্রীরাও কষ্টে পড়বে। দ্রুত রাস্তাটা মেরামত করা হলে সবার জন্য ভালো হবে।’
প্রাইভেট কারের চালক মশিউর রহমান রাসেল বলেন, ‘এ বছর ১৫ রোজা থেকেই বোঝা গেছে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হবে। কিন্তু ভাঙা রাস্তা মেরামতের জন্য আমরা কোনো উদ্যোগ দেখতে পারছি না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতির কারণে মহাসড়ক খানাখন্দে ভরে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগকেও বেগ পোহাতে হবে।’
ময়মনসিংহ ট্রাফিক পুলিশের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘শিকারীকান্দা বাইপাস মোড়ে মূলত যানজটের কারণ হচ্ছে রাস্তা ভাঙা। ঢাকাগামী ময়মনসিংহের সমস্ত গাড়ি বাইপাস দিয়ে যেতে হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। আমরাও চেষ্টা করি যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু ভাঙা রাস্তার কারণে গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।’
জেলা জন-উদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘ঈদ এলে রাস্তাঘাট মানুষের জন্য বিষফোড়া হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল রাস্তাঘাট আরও আগে মেরামত করা। সময়ের কাজ সময়ে না করলে অসময়ে গিয়ে কিছু হয় না। তবে এখনো যে সময় আছে এই সময়ের মধ্যে আমরা আশা করব যেন সমস্ত রাস্তা মেরামত শেষ করা হয়।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘বালুবাহী ও মাছভর্তি ওভারলোড ট্রাকের কারণে মহাসড়কের প্রায় অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা নিয়মিত মেরামত করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এরই মধ্যে মহাসড়ক মেরামতে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ হবে।’
আদালতে শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তাঁর অনুসারীদের বাধার কারণে প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান আটকে রাখার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার
৫ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের তুলশীখালী ও চিত্রকোট এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) এই পার্ক পরিদর্শন করেন তিনি।
১৯ মিনিট আগেসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ, কোনো প্রকার আঘাত এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতি দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২৪ মিনিট আগেবঙ্গবন্ধু রেলসেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের শেষের দিকে রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।
৩২ মিনিট আগে