শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুর জেলায় গত দুদিন ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ। এদিকে গতকাল সোমবার নকলায় রাহিম (৫) ও নালিতাবাড়ীতে জিমি আক্তার (৮) নামে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় গত ৫ দিনে বন্যার পানিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১১ জনে।
বন্যায় কৃষি খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা। মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলার ৪৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার হেক্টর জমির সবজি আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ৬ হাজার ৭১টি। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারি হিসেবে প্রায় ৭১ কোটি টাকা হলেও তা শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। জেলার অন্তত পৌনে দুই লাখ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত অধিকাংশ এলাকার ঘর-বাড়ির বিধ্বস্ত রূপ ভেসে উঠছে। পানি কমলেও বন্যাদুর্গত এলাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকাগুলোর বেশির ভাগ সড়ক ভেঙে গেছে। দুর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট। গৃহপালিত গরু-মহিষসহ গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ।
সবজি খেতসহ মাঠ ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে ঘাসের অভাব। এ ছাড়া বাড়িঘরে পানি ওঠায় নষ্ট হয়ে গেছে খড়ের গাদা। ফলে একদিকে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে মাথার ওপর চাল না থাকায় বহু মানুষ চরম কষ্টে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত দুদিনে পাহাড়ি নদী ভোগাই, চেল্লাখালি, মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার বন্যার পানি অনেকটাই নেমে গেছে। নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলাসহ সদর উপজেলার প্লাবিত এলাকা থেকেও পানি ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে। এতে দু’একদিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারে।
জেলা খামারবাড়ির উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চলতি মৌসুমে সাড়ে ৯৩ হাজার হেক্টর আমনের জমিতে ৪৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবজি আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার হেক্টর। সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ সম্ভব হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের সার-বীজ দেওয়া হবে। এ ছাড়া কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।
এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলায় বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আর তাদের মাঝে বিতরণের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে টিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সেগুলো বিতরণ করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মরিচপুরান এলাকার সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর ১৩ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান হাফিজুল হক, শেরপুর জেলা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর তাউসিফ বিন হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, মোমবাতি, দিয়াশলাই, নারীদের জন্য স্যানিটারি প্যাড ইত্যাদি। বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবারও বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছে বিজিবি, র্যাবসহ জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শেরপুর জেলায় গত দুদিন ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ। এদিকে গতকাল সোমবার নকলায় রাহিম (৫) ও নালিতাবাড়ীতে জিমি আক্তার (৮) নামে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় গত ৫ দিনে বন্যার পানিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১১ জনে।
বন্যায় কৃষি খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা। মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলার ৪৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার হেক্টর জমির সবজি আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ৬ হাজার ৭১টি। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারি হিসেবে প্রায় ৭১ কোটি টাকা হলেও তা শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। জেলার অন্তত পৌনে দুই লাখ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত অধিকাংশ এলাকার ঘর-বাড়ির বিধ্বস্ত রূপ ভেসে উঠছে। পানি কমলেও বন্যাদুর্গত এলাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকাগুলোর বেশির ভাগ সড়ক ভেঙে গেছে। দুর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট। গৃহপালিত গরু-মহিষসহ গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ।
সবজি খেতসহ মাঠ ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে ঘাসের অভাব। এ ছাড়া বাড়িঘরে পানি ওঠায় নষ্ট হয়ে গেছে খড়ের গাদা। ফলে একদিকে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে মাথার ওপর চাল না থাকায় বহু মানুষ চরম কষ্টে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত দুদিনে পাহাড়ি নদী ভোগাই, চেল্লাখালি, মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার বন্যার পানি অনেকটাই নেমে গেছে। নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলাসহ সদর উপজেলার প্লাবিত এলাকা থেকেও পানি ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে। এতে দু’একদিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারে।
জেলা খামারবাড়ির উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চলতি মৌসুমে সাড়ে ৯৩ হাজার হেক্টর আমনের জমিতে ৪৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবজি আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার হেক্টর। সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ সম্ভব হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের সার-বীজ দেওয়া হবে। এ ছাড়া কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।
এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলায় বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আর তাদের মাঝে বিতরণের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে টিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সেগুলো বিতরণ করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মরিচপুরান এলাকার সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর ১৩ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান হাফিজুল হক, শেরপুর জেলা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর তাউসিফ বিন হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, মোমবাতি, দিয়াশলাই, নারীদের জন্য স্যানিটারি প্যাড ইত্যাদি। বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবারও বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছে বিজিবি, র্যাবসহ জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন এক নারী। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা এলাকার গোলাম মোস্তফার স্ত্রী ইসরাত জাহান (৪০) শেরপুর থানায় এ লিখিত অভিযোগ করেন।
১ few সেকেন্ড আগেনিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে ১৭ দিন অভিযান চালিয়ে ৫১৭ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৪ লাখ এক হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরা থেকে আটকের সময় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের বাসা থেকে বিদেশি মুদ্রাসহ ৩ কোটির বেশি টাকা ও প্রায় ৮৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছে। ডিএমপির উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সাদ্দাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে আজ বুধবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১২ মিনিট আগেআরএমপি কমিশনার দুই জেলার শ্রমিক নেতাদের নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে বসেছিলেন। তিনি সবাইকে কোলাকুলি করিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর বিকেল ৪টা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে