ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
‘রেজাল্টটা প্রথমে আমি তুলেছি। পরে দৌড়ে গেছি আমার ভাইয়ের কবরের পাশে। গিয়ে বলছি, উঠ ভাই। দেখ তোর রেজাল্ট বের হইছে। তুই কত ভালো রেজাল্ট করছস। সবাইকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে না? উঠ ভাই, উঠ। কিন্তু আমার ভাই উঠল না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে শাহরিয়ারের মামাতো ভাই সোহানুর রহমান রিয়াদ কথাগুলো বলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শেখ শাহরিয়ার বিন মতিনের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল বক্সার হওয়ার। ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজেকে একটু একটু তৈরিও করছিলেন সে পথে। কিন্তু কে জানত, আন্দোলনের গুলিতেই শেষ হবে শাহরিয়ারের বক্সার হওয়ার স্বপ্ন। আজ এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি জিপিএ ৪.৮৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
নিহত শাহরিয়ারের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কুমড়া শাসন উত্তরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মোহাম্মদ আবদুল মতিনের ছেলে।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার আইডিয়াল কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন শাহরিয়ার। আজ মঙ্গলবার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। খবর পেয়ে আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদক শাহরিয়ারে গ্রামের বাড়ি যান। জানতে পারেন, শাহরিয়ারের বাবা-মা দুজনই ওমরা পালন করতে গেছেন। তবে বাড়িতে থাকা মামাতো ভাই সোহানুর রহমান রিয়াদ বলেন, শাহরিয়ার জিপিএ ৪.৮৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছেলের ফলাফলের খবরটি মোবাইল ফোনে তাঁর বাবা-মাকে জানানো হলে তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এদিকে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শাহরিয়ারের পরীক্ষার ফলাফলের খবর পেয়ে পাড়া-প্রতিবেশীরাও এসে জড়ো হচ্ছেন বাড়িতে। নাতির কথা স্মরণ করে বারান্দায় বসে বিলাপ করছেন শাহরিয়ারে অশীতিপর দাদি। প্রতিবেশীরা অনেকেই সান্ত্বনা দিচ্ছেন ওই বৃদ্ধাকে। এ ছাড়াও দেখা যায়, শাহরিয়ার যে কক্ষে ঘুমাতেন, চেয়ার-টেবিলে বসে পড়াশোনা করতেন সবকিছু অগোছালো অবস্থায় পড়ে আছে। টেবিলের এক কোনায় কলেজের ব্যাগগুলোতে ধুলো জমে আছে। মাথায় যে টুপিটা পরতেন, সেটিও টেবিলের ওপর পড়ে আছে।
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মতিনের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শাহরিয়ার বড়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত হয়। ওই অবস্থায় পাঁচটি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০ জুলাই ঢাকায় খালার বাসায় বেড়াতে যান শাহরিয়ার। সেখানে খালাতো ভাই বাদলের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। ১৯ জুলাই বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের কাছে গুলিবিদ্ধ হন শাহরিয়ার। ডান চোখের পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে মস্তিষ্ক ভেদ করে তাঁর। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জুলাই মারা যান। ছেলে হত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মোহাম্মদ আবদুল মতিন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহরিয়ার পড়াশোনায় যেমন মেধাবী ছিল, তেমনি আচার-আচরণেও অসম্ভব বিনয়ী ও ভদ্র ছিল। একটা রত্নকে হারিয়েছি আমরা। আল্লাহ তাঁকে সর্বোত্তম বেহেশত নসিব করুন।’
‘রেজাল্টটা প্রথমে আমি তুলেছি। পরে দৌড়ে গেছি আমার ভাইয়ের কবরের পাশে। গিয়ে বলছি, উঠ ভাই। দেখ তোর রেজাল্ট বের হইছে। তুই কত ভালো রেজাল্ট করছস। সবাইকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে না? উঠ ভাই, উঠ। কিন্তু আমার ভাই উঠল না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে শাহরিয়ারের মামাতো ভাই সোহানুর রহমান রিয়াদ কথাগুলো বলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শেখ শাহরিয়ার বিন মতিনের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল বক্সার হওয়ার। ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজেকে একটু একটু তৈরিও করছিলেন সে পথে। কিন্তু কে জানত, আন্দোলনের গুলিতেই শেষ হবে শাহরিয়ারের বক্সার হওয়ার স্বপ্ন। আজ এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি জিপিএ ৪.৮৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
নিহত শাহরিয়ারের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কুমড়া শাসন উত্তরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মোহাম্মদ আবদুল মতিনের ছেলে।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার আইডিয়াল কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন শাহরিয়ার। আজ মঙ্গলবার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। খবর পেয়ে আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদক শাহরিয়ারে গ্রামের বাড়ি যান। জানতে পারেন, শাহরিয়ারের বাবা-মা দুজনই ওমরা পালন করতে গেছেন। তবে বাড়িতে থাকা মামাতো ভাই সোহানুর রহমান রিয়াদ বলেন, শাহরিয়ার জিপিএ ৪.৮৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছেলের ফলাফলের খবরটি মোবাইল ফোনে তাঁর বাবা-মাকে জানানো হলে তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এদিকে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শাহরিয়ারের পরীক্ষার ফলাফলের খবর পেয়ে পাড়া-প্রতিবেশীরাও এসে জড়ো হচ্ছেন বাড়িতে। নাতির কথা স্মরণ করে বারান্দায় বসে বিলাপ করছেন শাহরিয়ারে অশীতিপর দাদি। প্রতিবেশীরা অনেকেই সান্ত্বনা দিচ্ছেন ওই বৃদ্ধাকে। এ ছাড়াও দেখা যায়, শাহরিয়ার যে কক্ষে ঘুমাতেন, চেয়ার-টেবিলে বসে পড়াশোনা করতেন সবকিছু অগোছালো অবস্থায় পড়ে আছে। টেবিলের এক কোনায় কলেজের ব্যাগগুলোতে ধুলো জমে আছে। মাথায় যে টুপিটা পরতেন, সেটিও টেবিলের ওপর পড়ে আছে।
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মতিনের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শাহরিয়ার বড়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত হয়। ওই অবস্থায় পাঁচটি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০ জুলাই ঢাকায় খালার বাসায় বেড়াতে যান শাহরিয়ার। সেখানে খালাতো ভাই বাদলের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। ১৯ জুলাই বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের কাছে গুলিবিদ্ধ হন শাহরিয়ার। ডান চোখের পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে মস্তিষ্ক ভেদ করে তাঁর। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জুলাই মারা যান। ছেলে হত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মোহাম্মদ আবদুল মতিন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহরিয়ার পড়াশোনায় যেমন মেধাবী ছিল, তেমনি আচার-আচরণেও অসম্ভব বিনয়ী ও ভদ্র ছিল। একটা রত্নকে হারিয়েছি আমরা। আল্লাহ তাঁকে সর্বোত্তম বেহেশত নসিব করুন।’
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে যত রকম আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা যায়, তা-ই করছে সরকার।
৮ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদরের বাতপুকুরিয়া গ্রামে পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে রফিকুল ইসলাম রুবেল (৩৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
১৩ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাতের আঁধারে খননযন্ত্র দিয়ে নদীতীরের মাটি কেটে নেওয়ার অপরাধে চার ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা সদরের বংশাই নদীর ত্রিমোহন ও লৌহজং নদীর পাকুল্যা ঋষিপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন উপজ
২৩ মিনিট আগেমিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনা থেকে পণ্যবাহী তিনটি কার্গো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে তল্লাশির কথা বলে কার্গোগুলো আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত জাহাজগুলো ছাড়েনি তারা।
২৬ মিনিট আগে