মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মিজবাহ উল হক। জাল সনদে আট বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কম্পিউটার শিক্ষা ও শিক্ষক নিবন্ধন এ দুটো সনদ জালের অভিযোগ থাকার পরও এমপিওভুক্ত হয়েছেন তিনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শনকালে জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়ে। শিক্ষা পরিদর্শক মো. আব্দুস সালাম আজাদ ও সহাকারী শিক্ষা পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই পরিদর্শন রিপোর্ট প্রকাশ হয় ২০১৮ সালের মে মাসে।
ওই রিপোর্টে আইসিটি শিক্ষক মিজবাহ উল হকের কম্পিউটার ও নিবন্ধন সনদ দুটি জাল বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁর নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
পরিদর্শন চলাকালীন এমপিওভুক্ত হননি মিজবাহ। ফলে সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভবিষ্যতে তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারবেন না বলে তাঁরা রিপোর্টে লেখেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই রিপোর্ট প্রকাশের কয়েক দিন পরই এমপিওভুক্ত হন শিক্ষক মিজবাহ উল হক।
বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানান, অডিট রিপোর্টে জালের বিষয়টি ধরা পড়ার পর ম্যানেজ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত যোগাযোগ আছে এমন একজন দালালের শরণাপন্ন হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টাকা খরচ করে ওই দালালের মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে আইসিটি শিক্ষক হিসেবে মোহনগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান মোহাম্মদ মিজবাহ উল হক। ২০১৮ সালে এমপিওভুক্ত হন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক মোহাম্মদ মিজবাহ উল হক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র পাঠিয়ে সঠিক প্রমাণিত হয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য পাঠিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছি।
পরিদর্শনের রিপোর্ট বিষয়ে তিনি বলেন, সবারই এটা জানা যে, পরিদর্শনের জন্য টাকা পয়সা দিতে হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো টাকা পয়সা দেওয়া হয়নি বলেই ওইরকম রিপোর্টে লেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ জাহান বলেন, অডিট আপত্তির জবাব জেলা শিক্ষা অফিস হয়ে ডিজি অফিসে গেছে। যথাযথ জবাব দেওয়ার ফলেই তিনি এমপিও হতে পেরেছেন।
প্রধান শিক্ষক বলেন, কম্পিউটার সনদ জালের বিষয়টি শুধু আমাদের এখানেই নয়, ওই সময় দেশের প্রায় বিদ্যালয়েই এমন জাল সনদ বের হয়েছে। এমপিও তো আমরা করি না। যারা করেছে তাঁরা সেটা ভালো বলতে পারবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী বলেন, এমন একটা বিষয় কানে এসেছে। কিন্তু কোনো ডকুমেন্ট পাইনি। পরিদর্শন দল এসেছিল সেটা জানি। যদি পরিদর্শন রিপোর্টে এমন অসংগতি ধরা পড়ে তবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের মাধ্যমে এর জবাব দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপজেলা মাধ্যমিক কার্যালয়ে রিপোর্টের কোনো কপি আসে না। কীভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছে সেটা জেলা কর্মকর্তা হয়তো বলতে পারবেন। তবে এ বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর বলেন, ওই পরিদর্শন রিপোর্টের কপি আমার কাছে এখনো আসেনি। যদিও পরিদর্শন রিপোর্ট জেলা কার্যালয় হয়েই বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এমনটি ঘটেনি। এমনকি আমার মাধ্যমে কোনো অডিট আপত্তির জবাবও দেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখানে কোনো ঝামেলা আছে বলে মনে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, এ ঘটনাটি খুঁজে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মিজবাহ উল হক। জাল সনদে আট বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কম্পিউটার শিক্ষা ও শিক্ষক নিবন্ধন এ দুটো সনদ জালের অভিযোগ থাকার পরও এমপিওভুক্ত হয়েছেন তিনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শনকালে জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়ে। শিক্ষা পরিদর্শক মো. আব্দুস সালাম আজাদ ও সহাকারী শিক্ষা পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই পরিদর্শন রিপোর্ট প্রকাশ হয় ২০১৮ সালের মে মাসে।
ওই রিপোর্টে আইসিটি শিক্ষক মিজবাহ উল হকের কম্পিউটার ও নিবন্ধন সনদ দুটি জাল বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁর নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
পরিদর্শন চলাকালীন এমপিওভুক্ত হননি মিজবাহ। ফলে সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভবিষ্যতে তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারবেন না বলে তাঁরা রিপোর্টে লেখেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই রিপোর্ট প্রকাশের কয়েক দিন পরই এমপিওভুক্ত হন শিক্ষক মিজবাহ উল হক।
বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানান, অডিট রিপোর্টে জালের বিষয়টি ধরা পড়ার পর ম্যানেজ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত যোগাযোগ আছে এমন একজন দালালের শরণাপন্ন হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টাকা খরচ করে ওই দালালের মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে আইসিটি শিক্ষক হিসেবে মোহনগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান মোহাম্মদ মিজবাহ উল হক। ২০১৮ সালে এমপিওভুক্ত হন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক মোহাম্মদ মিজবাহ উল হক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র পাঠিয়ে সঠিক প্রমাণিত হয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য পাঠিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছি।
পরিদর্শনের রিপোর্ট বিষয়ে তিনি বলেন, সবারই এটা জানা যে, পরিদর্শনের জন্য টাকা পয়সা দিতে হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো টাকা পয়সা দেওয়া হয়নি বলেই ওইরকম রিপোর্টে লেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ জাহান বলেন, অডিট আপত্তির জবাব জেলা শিক্ষা অফিস হয়ে ডিজি অফিসে গেছে। যথাযথ জবাব দেওয়ার ফলেই তিনি এমপিও হতে পেরেছেন।
প্রধান শিক্ষক বলেন, কম্পিউটার সনদ জালের বিষয়টি শুধু আমাদের এখানেই নয়, ওই সময় দেশের প্রায় বিদ্যালয়েই এমন জাল সনদ বের হয়েছে। এমপিও তো আমরা করি না। যারা করেছে তাঁরা সেটা ভালো বলতে পারবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী বলেন, এমন একটা বিষয় কানে এসেছে। কিন্তু কোনো ডকুমেন্ট পাইনি। পরিদর্শন দল এসেছিল সেটা জানি। যদি পরিদর্শন রিপোর্টে এমন অসংগতি ধরা পড়ে তবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের মাধ্যমে এর জবাব দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপজেলা মাধ্যমিক কার্যালয়ে রিপোর্টের কোনো কপি আসে না। কীভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছে সেটা জেলা কর্মকর্তা হয়তো বলতে পারবেন। তবে এ বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর বলেন, ওই পরিদর্শন রিপোর্টের কপি আমার কাছে এখনো আসেনি। যদিও পরিদর্শন রিপোর্ট জেলা কার্যালয় হয়েই বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এমনটি ঘটেনি। এমনকি আমার মাধ্যমে কোনো অডিট আপত্তির জবাবও দেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখানে কোনো ঝামেলা আছে বলে মনে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, এ ঘটনাটি খুঁজে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-খুলনা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেনের ট্রায়েল শেষ হয়েছে। আজ রোববার ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে খুলনা পৌঁছায় বেলা ১টা ১০ মিনিটে। পরীক্ষামূলক ট্রেনটির এটি তৃতীয় ট্রায়েল।
৬ মিনিট আগেবগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপন ফকিরের মরদেহ আদালতের নির্দেশে তিন মাস ২০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত শেষে মরদেহ পুনরায় দাফন করা হবে।
১৪ মিনিট আগে১৭ দিন কারা ভোগের পর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৭.৬৫ এমএম পিস্তল–গুলিসহ গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হাসান এই জামিন মঞ্জুর করেন।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত নতুন প্রজন্মের স্বাধীনতার পর এবার ভিন্ন আলোকে উদ্যাপন হবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের গতিশীল নেতৃত্বে ৫ আগস্ট পরবর্তী সংকটময় মুহূর্তেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
১ ঘণ্টা আগে