Ajker Patrika

ভোট টেম্পারিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা, প্রধানমন্ত্রী আর এটি চান না: এমপি নূর মোহাম্মদ

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭: ৪৩
ভোট টেম্পারিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা, প্রধানমন্ত্রী আর এটি চান না: এমপি নূর মোহাম্মদ

নির্বাচনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আর এটি চান না। আগামী নির্বাচন আরও কঠিন হবে।

অতীতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে এমন কথা বলেছেন জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নূর মোহাম্মদ।

সংসদ সদস্য বলেছেন, ‘ভোট টেম্পারিংয়ের কারণে দেশের নির্বাচনব্যবস্থাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রী এখন আর চায় না। বরং আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নেক্সট পার্লামেন্ট নির্বাচন দেখবেন যে আরও কঠিন হবে এবং এটিই হওয়া উচিত। জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নেতা হোক। যাই-তাই নির্বাচনে দাঁড়াব, জোড়াতালি দিয়ে পাস করে যাবে, পরবর্তী পর্যায়ে এগুলো হয় না।’ 

গতকাল শনিবার বিকেলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি। 

আসন্ন বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী চূড়ান্তের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘যাই ভোটে নির্বাচিত হবে, তাঁকে দুটো কথা কয়ে আরাম পাবেন। উনিও কথা শুনে আরাম পাবে। আপনি দুটো গাল পারবেন যে আপনাকে ভোট দিয়েছি। আর এখন যদি কিছু কন, তবে তাঁরা বলবে, আপনার ভোটে তো আমি এমপি হইনি, চেয়ারম্যান হইনি। অনেক চেয়ারম্যান কথা শুনে না। কী জন্য কথা শুনে না। ভোট লাগে না।’ 

উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি আমার দলের প্রার্থীকে জিতানির জন্য দুই নম্বরি চিন্তাভাবনা করব, ওটাও কিন্তু আমি করব না। আপনাদের সবার সামনে বললাম। ফেয়ার ভোটে জিতা লাগবে। ফেয়ার ভোটে জিততে হবে। যদি আপনারা সিঙ্গেল (একক প্রার্থী) হন, তারপরেও কিন্তু আমি আমার প্রার্থীকে জিতানির জন্য আমি আমার ভোট চামু।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মাঠে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘যেহেতু এখানে আমার আসার নিয়ম নাই। আমি যেখানে থাকি, জামালপুর থাকি, ঢাকায় থাকি, ইন্ডিয়া যাইয়ে থাকি। সব জায়গায় তো ফোনের যোগাযোগ আছে। সবার কাছেই ফোন আছে। ফোনে আমার প্রার্থীকে জিতানোর চেষ্টা করব। যেহেতু এখানে এসে ওপেনলি নির্বাচন করতে পারব না। আমি যেই জায়গায় থাকি, ওই জায়গা থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জিতানোর জন্য চেষ্টা করব।’ 

পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘ধর্মমন্ত্রী ও জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল ইসলামপুরে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। এ ছাড়া মেলান্দহেও দলের একক প্রার্থী করা হয়েছে। আপনারা মন খোলে আমাকে বললে এখানেও একক প্রার্থী করা সম্ভব।’ 

সংসদ সদস্য বলেন, ‘এখানে চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রৌফ তালুকদার। তিনি অবশ্যই শক্তিশালী প্রার্থী। আমিও একসময় তাঁকে সমর্থন দিয়েছি। তাঁকে এখানকার মানুষ বটগাছ আখ্যা দিয়ে বক্তব্য দেন। কাজেই তাঁকে পরাস্ত করতে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকতে হবে। আপনারা যদি একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আমি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রৌফ তালুকদারকে নির্বাচন থেকে বসিয়ে দেব। তাঁকে বসানোর শক্তি আল্লাহ তায়ালা আমাকে দিয়েছে।’ 

মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতা-কর্মীরামতবিনিময় সভায় দলের সাতজন নেতা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেন। তাঁরা হলেন সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নীলাখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এমদাদুল হক, সভাপতি শাহীনা বেগম, সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ফড়িং, সাবেক সহসভাপতি আবু জাফর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার সঞ্চালনা করেন। 

বক্তারা বলেন, বিএনপি ছাড়া দীর্ঘ ৩৫ বছরেও আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয় হতে পারেনি। তাই এবার সব ভেদাভেদ ভুলে জনপ্রিয় নেতাকে একক প্রার্থী করতে চান তাঁরা। তা না হলে, দলীয় নেতা প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারবে না।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৯ সালে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। টানা চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিএনপি-সমর্থিত আব্দুর রৌফ তালুকদার। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুবশক্তির তিন নেতাকে হত্যার হুমকি, সোনারগাঁ থানায় জিডি

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।

জিডিতে জাহিদুল হক উল্লেখ করেন, গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে

তাঁর উদ্দেশে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে তাঁর সঙ্গে জাতীয় যুবশক্তি নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক খাঁন সিয়ামের ছবি ব্যবহার করে গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল—‘লিস্টে রাখলাম হঠাৎ করেই সোনারগাঁবাসী দেখবে লাশ’।

মো. জাহিদুল হক জানান, পোস্টটিতে তাঁকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং জীবন নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সাবেক মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, ‘এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জিডি করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত রয়েছি।’

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিববুল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় জিডি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক আইডিটি শনাক্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মুন্দখৈর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাহাবুল ইসলাম মুন্দখৈর এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একই এলাকার সালামের দুটি ছাগল সাহাবুল ইসলামের গমের খেতে ঢুকে চারা নষ্ট করে। এ নিয়ে সাহাবুল ছাগল দুটিকে খোঁয়াড়ে দিলে সালামসহ কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে বিষয়টি নিয়ে সাহাবুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয় এবং বিষয়টি থানায় বসে মীমাংসার কথা বলে। তবে পুলিশ চলে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে সালামসহ অন্যরা হাঁসুয়া, চাকু, রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সাহাবুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহাবুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পারুল আক্তার ও তাঁদের ছেলেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত সালাম ও তাঁর ছেলে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর

নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত