পাবনা ও সাঁথিয়া প্রতিনিধি
পাবনা-১ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইয়িদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বোয়াইলমারী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাইয়িদ এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করলেও তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আবু সাইয়িদ জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সাঁথিয়া উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে কয়েকটি গাড়ি নিয়ে বের হন। পথিমধ্যে বোয়াইলমারী বাজার এলাকায় জনসংযোগ চলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে সাইয়িদ বিরোধী শ্লোগান দিতে শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এ সময় সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন ও বেড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাহ মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রচারণায় বাধা দিয়ে তাঁকে চলে যাওয়ার জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উভয় গ্রুপকে ঘিরে রাখে। দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে সাঁথিয়া উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আল্পনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়দলকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ সময় অধ্যাপক আবু সাঈদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন বলেন, ‘সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিরপেক্ষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা আজকে দেখলেন কীভাবে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা কি নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ বা নিরপেক্ষ পরিবেশ বলে?’
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আজকে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর নির্বাচনী প্রোগ্রাম ছিল। সেই প্রোগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করতেই অধ্যাপক আবু সাঈদ আজকে এই এলাকায় এসেছিলেন। তাঁরাই আমাদের মিছিলের সামনে গাড়ি রেখে বাধাগ্রস্ত করেছিলেন।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ সদস্যরা অপ্রীতিকার ঘটনার এড়াতে ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থান নেয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আল্পনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবু সাইয়িদ। সেবার তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি গণফোরামে যোগ দেন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে বিএনপির সঙ্গে জোটে গণফোরাম থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
পাবনা-১ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইয়িদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বোয়াইলমারী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাইয়িদ এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করলেও তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আবু সাইয়িদ জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সাঁথিয়া উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে কয়েকটি গাড়ি নিয়ে বের হন। পথিমধ্যে বোয়াইলমারী বাজার এলাকায় জনসংযোগ চলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে সাইয়িদ বিরোধী শ্লোগান দিতে শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এ সময় সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন ও বেড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাহ মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রচারণায় বাধা দিয়ে তাঁকে চলে যাওয়ার জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও ডিবি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উভয় গ্রুপকে ঘিরে রাখে। দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে সাঁথিয়া উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আল্পনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়দলকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ সময় অধ্যাপক আবু সাঈদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন বলেন, ‘সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিরপেক্ষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা আজকে দেখলেন কীভাবে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা কি নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ বা নিরপেক্ষ পরিবেশ বলে?’
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আজকে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর নির্বাচনী প্রোগ্রাম ছিল। সেই প্রোগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করতেই অধ্যাপক আবু সাঈদ আজকে এই এলাকায় এসেছিলেন। তাঁরাই আমাদের মিছিলের সামনে গাড়ি রেখে বাধাগ্রস্ত করেছিলেন।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ সদস্যরা অপ্রীতিকার ঘটনার এড়াতে ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থান নেয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আল্পনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবু সাইয়িদ। সেবার তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি গণফোরামে যোগ দেন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে বিএনপির সঙ্গে জোটে গণফোরাম থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
রাজধানীর জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বেলা পৌনে ১২টা থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে চালকেরা অবরোধ তুলে নিলে ৩ ঘণ্টা পর বেলা ৩টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৯ মিনিট আগেপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সংস্কৃতির নতুন রূপ হচ্ছে সিনেমা, যা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছে। সিনেমার মাধ্যমে একটি জাতিকে উজ্জীবিত করা যায়। তাই ভালো সিনেমা বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
২১ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহ আমানত সেতুর টোলবক্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
৪১ মিনিট আগেআহত শিক্ষার্থী সোহেলুল হক বলেন, “আমরা গিয়ে বলেছিলাম স্যার আমাদের জীবনটা বাঁচান স্যার। তিন বছরেও আপনি কিছু করতে পারেননি। আমরা এনওসি এনেছি। আপনি সাইন করে দেন। এনওসিতে লেখা ছিল, ‘আমরা যেহেতু ওদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে পারছি না। অন্য কোথাও পড়াশোনা করলে আমাদের আপত্তি নেই।’ এই এনওসিতে তিনি...
১ ঘণ্টা আগে