রাজশাহীতে রাতে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫: ১৯

রাজশাহীতে গভীর রাতে এক মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে তানোর উপজেলার সাতপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ধর্ষণের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা এই শিক্ষককে তুলে নিয়ে গেছে তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। 

এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসাশিক্ষকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম তানোরের মুণ্ডু মালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। 

নিখোঁজ শিক্ষকের নাম মাওলানা কারি তারেক আহমেদ (৩৩)। তিনি গোদাগাড়ী উপজেলার চাঁদলাই গ্রামের আফজাল হোসেন দারুস সুন্নাহ একাডেমির (নূরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানা) প্রধান শিক্ষক। 

আফজাল হোসেন দারুস সুন্নাহ একাডেমির শিক্ষক হাবিবুর রহমান নিখোঁজ শিক্ষকের স্ত্রীর বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘‘বুধবার রাতে তারাবির নামাজে ইমামতি শেষে বাসায় ফেরেন মাওলানা তারেক আহমেদ। এরপর খাওয়া দাওয়া শেষে ‘আসছি’ বলে বাসার বাইরে যান। কিন্তু তারপর আর ফেরেননি। ” 

হাবিবুর রহমান বলেন, “তবে রাত ১১টার দিকে তারেক আমাকে ফোন করে বলেন, ‘আমি খুব বিপদে আছি। সাদা পোশাকধারী কয়েকজন লোক আমাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছে তা বুঝতে পারছি না।’ এরপর মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকে তারেকের ফোন বন্ধ। ” 

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, “বুধবার ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নিতে আসে তাঁর বাড়ির লোকজন। এ সময় প্রধান শিক্ষক তারেক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন না। তবে অন্য শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতি ছাড়া শিক্ষার্থীকে বাড়ি না নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষক তারেকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শুক্রবার জুমার নামাজ পড়াতে গেলেই টের পাবে কী কারণে বাচ্চাটাকে আমরা মাদ্রাসায় পড়াতে চাই না। উনি জানে, কী করেছে।’ এরপর ওই শিক্ষার্থীকে তাঁরা নিয়ে চলে যায়। ওই শিক্ষার্থীর গ্রামের মসজিদে জুমার নামাজ পড়ান মাওলানা তারেক। এ ঘটনার পর রাতে নিখোঁজ হন তারেক। ” 

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাওলানা তারেক আহমেদ মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্রকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর পরিবার বিষয়টি জানার পর তাঁকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে চলে যায়। তাঁরা পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। পুলিশের কাছে জিডি হওয়ার পরে খোঁজ নিতে গিয়ে এসব জানা গেছে। তবে তারেককে কে বা কারা তুলে নিয়ে গেছে তা জানি না।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত