গণেশ দাস, বগুড়া

গমের সংকটের কারণে বগুড়ায় ১০টি আটা-ময়দার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে বাকি মিলগুলো চালু রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা ও পাইকারি আটা-ময়দা ও ভুসির বাজারে। সাত দিনের ব্যবধানে ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা এবং আটার দাম ৭ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহর এবং শহরতলি, শেরপুর, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, দুপচাঁচিয়া, তালোড়া, সান্তাহার, কাহালুসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি আটা-ময়দার মিল রয়েছে। এসব মিলে গড়ে প্রতিদিন গমের চাহিদা ৩ হাজার টন। কিন্তু বর্তমানে ১ হাজার টন গমও জোগাড় করতে পারছেন না মিলের মালিকেরা। এসব মিল থেকে উৎপাদিত আটা ও ময়দা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া আটা-ময়দা উৎপাদনের উপজাত হিসেবে যে ২২ শতাংশ ভুসি পাওয়া যায়, সেটি স্থানীয় গোখাদ্যের চাহিদা মেটায়।
মিলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু রেখেছেন।
এদিকে গমের আমদানি বন্ধ থাকলেও ভারত থেকে গমের ভুসি আমদানি চলছে। এতে মিলাররা আরও বিপাকে পড়েছেন। বগুড়ার মিলগুলোতে আগে ৩৭ কেজির এক বস্তা ভুসি বিক্রি হতো ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এখন ভারত থেকে আমদানি করা ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। তাই স্থানীয় মিলের ভুসি কেউ কিনছেন না।
বগুড়া শহরের সোনালী ফ্লাওয়ার মিলের মালিক বিজয় বিহানী বলেন, ‘আমার মিলে প্রতি মাসে ২ হাজার ৪০০ টন গম দরকার। কোথাও গম পাওয়া যাচ্ছে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা ভারতের গম। গত সপ্তাহে ভারত থেকে ১০০ টন গম আমদানি করেছি। কিন্তু গমে পচন ধরায় ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি। গম না থাকায় ১০ দিন হলো মিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। মিল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে।’
বগুড়ার রাহুল গ্রুপের চেয়ারম্যান রণজিৎ পালিত বলেন, ‘রাহুল গ্রুপের আটা-ময়দা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করে। আগে আমাদের মিলে দৈনিক গমের চাহিদা ছিল ২০০ টন। এখন মাসে ২০০ টন গম থেকে আটা-ময়দা তৈরি করতে হচ্ছে। বাজার এবং কর্মী ধরে রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়ে এখন মিল চালু রাখতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মিল বন্ধ করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
একই অবস্থা বগুড়া ফ্লাওয়ার মিলেরও। মিলটির মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার মিলে প্রতিদিন গমের চাহিদা রয়েছে ১৬০ টন। সেখানে গম ভাঙানো হচ্ছে মাসে ১০০ থেকে ২০০ টন। ভারত থেকে গম আমদানি করা গেলেও দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি গম ৫০ টাকায় কেনা পড়ে। এরপর অন্যান্য খরচ আছে। গমের সংকটের কারণে বগুড়ার ছোট-বড় বেশ কয়েকটি মিল আটা-ময়দা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।’
এদিকে বগুড়া শহর এবং শহরের আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিপ্রতি আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। প্যাকেটে প্রতি কেজি লাল আটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, খোলা লাল আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। প্যাকেটে সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় এবং খোলা সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। প্রতি কেজি ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্যাকেট ৭০ টাকায় এবং খোলা ময়দা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন দেশে গমের সংকট রয়েছে। বগুড়ায় যে মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। গমের সংকটের কারণেই হয়তো তাঁরা উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। তবে সরকারিভাবে খোলাবাজারে আটা বিক্রি অব্যাহত আছে। এ জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে বগুড়ার ছয়টি মিল চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। সেই মিলগুলো থেকে প্রতি মাসে ৬০০ টন গম থেকে আটা তৈরি করে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।’

গমের সংকটের কারণে বগুড়ায় ১০টি আটা-ময়দার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে বাকি মিলগুলো চালু রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা ও পাইকারি আটা-ময়দা ও ভুসির বাজারে। সাত দিনের ব্যবধানে ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা এবং আটার দাম ৭ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহর এবং শহরতলি, শেরপুর, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, দুপচাঁচিয়া, তালোড়া, সান্তাহার, কাহালুসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি আটা-ময়দার মিল রয়েছে। এসব মিলে গড়ে প্রতিদিন গমের চাহিদা ৩ হাজার টন। কিন্তু বর্তমানে ১ হাজার টন গমও জোগাড় করতে পারছেন না মিলের মালিকেরা। এসব মিল থেকে উৎপাদিত আটা ও ময়দা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া আটা-ময়দা উৎপাদনের উপজাত হিসেবে যে ২২ শতাংশ ভুসি পাওয়া যায়, সেটি স্থানীয় গোখাদ্যের চাহিদা মেটায়।
মিলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু রেখেছেন।
এদিকে গমের আমদানি বন্ধ থাকলেও ভারত থেকে গমের ভুসি আমদানি চলছে। এতে মিলাররা আরও বিপাকে পড়েছেন। বগুড়ার মিলগুলোতে আগে ৩৭ কেজির এক বস্তা ভুসি বিক্রি হতো ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এখন ভারত থেকে আমদানি করা ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। তাই স্থানীয় মিলের ভুসি কেউ কিনছেন না।
বগুড়া শহরের সোনালী ফ্লাওয়ার মিলের মালিক বিজয় বিহানী বলেন, ‘আমার মিলে প্রতি মাসে ২ হাজার ৪০০ টন গম দরকার। কোথাও গম পাওয়া যাচ্ছে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা ভারতের গম। গত সপ্তাহে ভারত থেকে ১০০ টন গম আমদানি করেছি। কিন্তু গমে পচন ধরায় ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি। গম না থাকায় ১০ দিন হলো মিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। মিল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে।’
বগুড়ার রাহুল গ্রুপের চেয়ারম্যান রণজিৎ পালিত বলেন, ‘রাহুল গ্রুপের আটা-ময়দা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করে। আগে আমাদের মিলে দৈনিক গমের চাহিদা ছিল ২০০ টন। এখন মাসে ২০০ টন গম থেকে আটা-ময়দা তৈরি করতে হচ্ছে। বাজার এবং কর্মী ধরে রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়ে এখন মিল চালু রাখতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মিল বন্ধ করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
একই অবস্থা বগুড়া ফ্লাওয়ার মিলেরও। মিলটির মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার মিলে প্রতিদিন গমের চাহিদা রয়েছে ১৬০ টন। সেখানে গম ভাঙানো হচ্ছে মাসে ১০০ থেকে ২০০ টন। ভারত থেকে গম আমদানি করা গেলেও দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি গম ৫০ টাকায় কেনা পড়ে। এরপর অন্যান্য খরচ আছে। গমের সংকটের কারণে বগুড়ার ছোট-বড় বেশ কয়েকটি মিল আটা-ময়দা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।’
এদিকে বগুড়া শহর এবং শহরের আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিপ্রতি আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। প্যাকেটে প্রতি কেজি লাল আটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, খোলা লাল আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। প্যাকেটে সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় এবং খোলা সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। প্রতি কেজি ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্যাকেট ৭০ টাকায় এবং খোলা ময়দা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন দেশে গমের সংকট রয়েছে। বগুড়ায় যে মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। গমের সংকটের কারণেই হয়তো তাঁরা উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। তবে সরকারিভাবে খোলাবাজারে আটা বিক্রি অব্যাহত আছে। এ জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে বগুড়ার ছয়টি মিল চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। সেই মিলগুলো থেকে প্রতি মাসে ৬০০ টন গম থেকে আটা তৈরি করে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।’
গণেশ দাস, বগুড়া

গমের সংকটের কারণে বগুড়ায় ১০টি আটা-ময়দার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে বাকি মিলগুলো চালু রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা ও পাইকারি আটা-ময়দা ও ভুসির বাজারে। সাত দিনের ব্যবধানে ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা এবং আটার দাম ৭ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহর এবং শহরতলি, শেরপুর, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, দুপচাঁচিয়া, তালোড়া, সান্তাহার, কাহালুসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি আটা-ময়দার মিল রয়েছে। এসব মিলে গড়ে প্রতিদিন গমের চাহিদা ৩ হাজার টন। কিন্তু বর্তমানে ১ হাজার টন গমও জোগাড় করতে পারছেন না মিলের মালিকেরা। এসব মিল থেকে উৎপাদিত আটা ও ময়দা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া আটা-ময়দা উৎপাদনের উপজাত হিসেবে যে ২২ শতাংশ ভুসি পাওয়া যায়, সেটি স্থানীয় গোখাদ্যের চাহিদা মেটায়।
মিলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু রেখেছেন।
এদিকে গমের আমদানি বন্ধ থাকলেও ভারত থেকে গমের ভুসি আমদানি চলছে। এতে মিলাররা আরও বিপাকে পড়েছেন। বগুড়ার মিলগুলোতে আগে ৩৭ কেজির এক বস্তা ভুসি বিক্রি হতো ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এখন ভারত থেকে আমদানি করা ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। তাই স্থানীয় মিলের ভুসি কেউ কিনছেন না।
বগুড়া শহরের সোনালী ফ্লাওয়ার মিলের মালিক বিজয় বিহানী বলেন, ‘আমার মিলে প্রতি মাসে ২ হাজার ৪০০ টন গম দরকার। কোথাও গম পাওয়া যাচ্ছে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা ভারতের গম। গত সপ্তাহে ভারত থেকে ১০০ টন গম আমদানি করেছি। কিন্তু গমে পচন ধরায় ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি। গম না থাকায় ১০ দিন হলো মিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। মিল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে।’
বগুড়ার রাহুল গ্রুপের চেয়ারম্যান রণজিৎ পালিত বলেন, ‘রাহুল গ্রুপের আটা-ময়দা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করে। আগে আমাদের মিলে দৈনিক গমের চাহিদা ছিল ২০০ টন। এখন মাসে ২০০ টন গম থেকে আটা-ময়দা তৈরি করতে হচ্ছে। বাজার এবং কর্মী ধরে রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়ে এখন মিল চালু রাখতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মিল বন্ধ করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
একই অবস্থা বগুড়া ফ্লাওয়ার মিলেরও। মিলটির মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার মিলে প্রতিদিন গমের চাহিদা রয়েছে ১৬০ টন। সেখানে গম ভাঙানো হচ্ছে মাসে ১০০ থেকে ২০০ টন। ভারত থেকে গম আমদানি করা গেলেও দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি গম ৫০ টাকায় কেনা পড়ে। এরপর অন্যান্য খরচ আছে। গমের সংকটের কারণে বগুড়ার ছোট-বড় বেশ কয়েকটি মিল আটা-ময়দা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।’
এদিকে বগুড়া শহর এবং শহরের আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিপ্রতি আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। প্যাকেটে প্রতি কেজি লাল আটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, খোলা লাল আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। প্যাকেটে সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় এবং খোলা সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। প্রতি কেজি ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্যাকেট ৭০ টাকায় এবং খোলা ময়দা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন দেশে গমের সংকট রয়েছে। বগুড়ায় যে মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। গমের সংকটের কারণেই হয়তো তাঁরা উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। তবে সরকারিভাবে খোলাবাজারে আটা বিক্রি অব্যাহত আছে। এ জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে বগুড়ার ছয়টি মিল চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। সেই মিলগুলো থেকে প্রতি মাসে ৬০০ টন গম থেকে আটা তৈরি করে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।’

গমের সংকটের কারণে বগুড়ায় ১০টি আটা-ময়দার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে বাকি মিলগুলো চালু রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা ও পাইকারি আটা-ময়দা ও ভুসির বাজারে। সাত দিনের ব্যবধানে ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা এবং আটার দাম ৭ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহর এবং শহরতলি, শেরপুর, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, দুপচাঁচিয়া, তালোড়া, সান্তাহার, কাহালুসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি আটা-ময়দার মিল রয়েছে। এসব মিলে গড়ে প্রতিদিন গমের চাহিদা ৩ হাজার টন। কিন্তু বর্তমানে ১ হাজার টন গমও জোগাড় করতে পারছেন না মিলের মালিকেরা। এসব মিল থেকে উৎপাদিত আটা ও ময়দা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া আটা-ময়দা উৎপাদনের উপজাত হিসেবে যে ২২ শতাংশ ভুসি পাওয়া যায়, সেটি স্থানীয় গোখাদ্যের চাহিদা মেটায়।
মিলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু রেখেছেন।
এদিকে গমের আমদানি বন্ধ থাকলেও ভারত থেকে গমের ভুসি আমদানি চলছে। এতে মিলাররা আরও বিপাকে পড়েছেন। বগুড়ার মিলগুলোতে আগে ৩৭ কেজির এক বস্তা ভুসি বিক্রি হতো ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এখন ভারত থেকে আমদানি করা ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। তাই স্থানীয় মিলের ভুসি কেউ কিনছেন না।
বগুড়া শহরের সোনালী ফ্লাওয়ার মিলের মালিক বিজয় বিহানী বলেন, ‘আমার মিলে প্রতি মাসে ২ হাজার ৪০০ টন গম দরকার। কোথাও গম পাওয়া যাচ্ছে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা ভারতের গম। গত সপ্তাহে ভারত থেকে ১০০ টন গম আমদানি করেছি। কিন্তু গমে পচন ধরায় ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি। গম না থাকায় ১০ দিন হলো মিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। মিল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে।’
বগুড়ার রাহুল গ্রুপের চেয়ারম্যান রণজিৎ পালিত বলেন, ‘রাহুল গ্রুপের আটা-ময়দা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করে। আগে আমাদের মিলে দৈনিক গমের চাহিদা ছিল ২০০ টন। এখন মাসে ২০০ টন গম থেকে আটা-ময়দা তৈরি করতে হচ্ছে। বাজার এবং কর্মী ধরে রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়ে এখন মিল চালু রাখতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মিল বন্ধ করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
একই অবস্থা বগুড়া ফ্লাওয়ার মিলেরও। মিলটির মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার মিলে প্রতিদিন গমের চাহিদা রয়েছে ১৬০ টন। সেখানে গম ভাঙানো হচ্ছে মাসে ১০০ থেকে ২০০ টন। ভারত থেকে গম আমদানি করা গেলেও দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি গম ৫০ টাকায় কেনা পড়ে। এরপর অন্যান্য খরচ আছে। গমের সংকটের কারণে বগুড়ার ছোট-বড় বেশ কয়েকটি মিল আটা-ময়দা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।’
এদিকে বগুড়া শহর এবং শহরের আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিপ্রতি আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। প্যাকেটে প্রতি কেজি লাল আটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, খোলা লাল আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। প্যাকেটে সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় এবং খোলা সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। প্রতি কেজি ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্যাকেট ৭০ টাকায় এবং খোলা ময়দা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন দেশে গমের সংকট রয়েছে। বগুড়ায় যে মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। গমের সংকটের কারণেই হয়তো তাঁরা উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। তবে সরকারিভাবে খোলাবাজারে আটা বিক্রি অব্যাহত আছে। এ জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে বগুড়ার ছয়টি মিল চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। সেই মিলগুলো থেকে প্রতি মাসে ৬০০ টন গম থেকে আটা তৈরি করে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।’

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪০ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু
২৮ অক্টোবর ২০২২
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪০ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু
২৮ অক্টোবর ২০২২
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু
২৮ অক্টোবর ২০২২
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪০ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু
২৮ অক্টোবর ২০২২
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪০ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে