ফলাফল প্রকাশের দাবিতে রাবির সাংবাদিকতা বিভাগে ৩ শিক্ষার্থীর তালা

রাবি প্রতিনিধি  
Thumbnail image
রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অফিস কক্ষে তালা দিয়ে অবস্থান নেওয়া তিন শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিভাগের সভাপতির কক্ষ ও অফিস কক্ষে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মাস্টার্সের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তিনজন শিক্ষার্থী।

অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীরা হলেন মাস্টার্সের ফলফল প্রত্যাশী আয়েশা মালিহা, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মো. সোহাগ মিয়া। কর্মসূচিতে তাঁদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সংহতি জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরও ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। বারবার ফলাফল প্রকাশের দাবি জানালেও বিভাগ কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি। ১০ মাস আগে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করলেও আমাদের পরিচয় এখনো স্নাতক পাস। ফলে ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে এবং চাকরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে আবেদন করতে পারছেন না। এতে অনেকেই হতাশায় ভুগছেন।

অবস্থান কর্মসূচির সময় আয়েশা মালিহা মাহফুজ বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়। ১০ মাস ধরে আমাদের ফলাফল আটকে আছে। আমাদের ব্যাচের অনেক চাকরিপ্রত্যাশী, ফলাফলের জন্য কোথাও আবেদন করতে পারছেন না। যারা পরিবারের একমাত্র ভরসা তাঁরা হতাশায় ভুগছেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একজন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর কাছে সব ধরনের নথিপত্র আছে। কিন্তু ওই শিক্ষক বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করছেন না। ফলাফল আটকে থাকার পেছনে বিভাগ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। এখানে ব্যক্তি শিক্ষক বড় হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত এগোচ্ছে না। এ জন্য ফলাফলের কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। কোনো উপায় না পেয়ে আজ আমরা বিভাগে তালা দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, একজন শিক্ষককে বারবার নম্বরপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হলেও তিনি নম্বরপত্র জমা দেননি। এ জন্য ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে। তবে তিনি গতকাল নম্বরপত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু সেটি পূর্ণাঙ্গ নয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা বিভাগের শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে এসেছি। উপাচার্য বাইরে আছেন। তিনি এলে কথা বলব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত