প্রতিনিধি, বগুড়া
অবৈধভাবে একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের অপচেষ্টার অভিযোগ তুলে বগুড়ায় মানববন্ধন করা হয়েছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ‘ইমাম হাসান হোসাইন (রা.) বহুমুখী দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা’। এটি শহরের কৈগাড়ী এলাকায় সিও অফিসের একটি সরকারি ভবনে অবস্থিত।
এ দিকে সরকারি ভবন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়ার কোনো বিধান নেই বলেছেন সদর উপজেলার বিআরডিবি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। তবে কীভাবে ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ভবনটি ভাড়া পেল এটা তৎকালীন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
মাদ্রাসা উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে শহরের সাতমাথা এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তাঁরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। এর আগে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন সামনে শহরের গোহাইল সড়কের কৈগাড়ি এলাকায় মানববন্ধন সমাবেশ করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা গোলাম আজম, রাজ সিদ্দিকী, রনি, আহম্মেদ আলী, সাব্বির, মনির, রেজাউল, অভিভাবক আমিনুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, মীর আলম, পলাশসহ আরও অনেকে।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বলছেন, বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়র বোর্ডের (বিআরডিবি) কাছ থেকে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি বগুড়া কৈগাড়ী সিও অফিসের একটি ভবন ভাড়া নিয়ে একাডেমিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন তারা। চুক্তিপত্রের মাধ্যমে তারা এই ভবনটি ভাড়া নেন। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ না হতেই বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ তাঁদের ভবনটি ছেড়ে যেতে বলছেন। এমনকি গত ২০ আগস্ট ভবনের দেয়ালে লেখা মাদ্রাসার নামসহ কোরআন হাদিসের বাণী মুছে ফেলেছে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন, তাঁরা যখন ভবনটি ভাড়া নেন, তাঁদেরকে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ বলে আপনারা কাগজে-কলমে সাত হাজার টাকা ভাড়া দেবেন। আর আমাদের দেবেন ১৫ হাজার টাকা। এতে শিক্ষকেরা রাজি না হয়ে সরাসরি ১৫ হাজার টাকাই ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি ভাড়া দিয়ে আসছেন। কিন্তু এরই মধ্যেই অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ।
মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ রাজ সিদ্দিকি আল-আমিন বলেন, ‘আমরা যখন ভবনটি ভাড়া নেই ওই সময় এটি ছিল পরিত্যক্ত। ভবনটি পাঠদানের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে আমাদের ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। ওই সময় বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ আমাদের বলে সরকার থেকে বরাদ্দ পেলে এই টাকা পরিশোধ করা হবে অথবা ভাড়া হিসেবে কেটে নিয়ে ধীরে ধীরে পরিশোধ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত ভাড়া দিয়ে এসেছি। শুধু করোনা পরিস্থিতিতে আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাময়িক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। কিন্তু বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে ঘুষ না পেয়ে এমন করছে।’
প্রতিষ্ঠানের আরেক শিক্ষক মাওলানা গোলাম আজম বলেন, ‘আমরা বিআরডিবি কর্তৃপক্ষের অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায়, আমাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। অথচ আমাদের চুক্তির মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। আগামী বছরে এপ্রিল মাসে আমাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।’
জানতে চাইলে বগুড়া সদর উপজেলার পল্লি উন্নয়ন (বিআরডিবি) কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সঙ্গে আমাদের চুক্তির মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু তাঁরা ১৬ মাস ধরে আমাদের ভাড়া দেয় না। বর্তমানে আমরা ভবনটি নিজস্ব প্রয়োজনে আমরা ব্যবহার করতে চাচ্ছি। এ কারণে তাঁদের এটা ছেড়ে চলে যাওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কোনো সংস্কার করেননি। এটার কোনো চুক্তি নেই।’
এ দিকে, প্রতিষ্ঠানের ও বিআরডিবির চুক্তিপত্রের ৭ নম্বর শর্তে লেখা রয়েছে, বর্তমানে ভবনটি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার না করাতে জানালা, দরজা, ভবনের রং-চুন ও বৈদ্যুতিক লাইনসহ অনেক কিছু নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। সুতরাং ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী করতে ২য় পক্ষ ও ১ম পক্ষের অনুমতি ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতি অল্প খরচে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবে এবং যেহেতু ভবনটি সরকারি সুতরাং পরবর্তীতে সরকারি বাজেট আসলে সেখান থেকে ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে ভবনটি মেরামতজনিত খরচ পরিশোধ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরডিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘বরাদ্দ পাওয়া গেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে খরচের টাকা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো অনৈতিক সুবিধা দাবি করিনি। নিজস্ব প্রয়োজনে তাঁদের ভবনটি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল মাসে। তাঁরা চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ভবনটি ভাড়া নিয়েছিল।’
এ দিকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বলছেন, ভবন সংস্কারের জন্য সরকারি বরাদ্দ এসেছিল, কিন্তু বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এখন তাঁদের ভবন থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংবিধানের অনুযায়ী সরকারি ভবন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া যায় কি'না জানতে চাইলে বিআরডিবি কর্মকর্তা মিজানুর বলেন, ‘এটা বলা চলে আমাদের গোঁড়াতেই গলদ ছিল। সংবিধান অনুযায়ী সরকারি ভবন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়ার বিধান নেই। কীভাবে এটা হলো, বিষয়টি তৎকালীন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরাই বলতে পারবেন।’
তৎকালীন সদর উপজেলার বিআরডিবি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে একজন ব্যক্তিকে ভবনটি ভাড়া দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ওই মাদ্রাসাকে এটি ভাড়া দেওয়া হয়। সরকারি ভবন কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। এ কারণে ভবনটি তাদেরকে ভাড়া দিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটা প্রজেক্টের জন্য এখন ওই ভবনটি দরকার। এই কারণে তাঁদেরকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। সরকার যখন ইচ্ছা, ভবনটি নিতে পারবে। চুক্তিপত্রেও এই কথা বলা রয়েছে।’
আব্দুর রাজ্জাক বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অবৈধভাবে একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের অপচেষ্টার অভিযোগ তুলে বগুড়ায় মানববন্ধন করা হয়েছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ‘ইমাম হাসান হোসাইন (রা.) বহুমুখী দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা’। এটি শহরের কৈগাড়ী এলাকায় সিও অফিসের একটি সরকারি ভবনে অবস্থিত।
এ দিকে সরকারি ভবন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়ার কোনো বিধান নেই বলেছেন সদর উপজেলার বিআরডিবি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। তবে কীভাবে ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ভবনটি ভাড়া পেল এটা তৎকালীন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
মাদ্রাসা উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে শহরের সাতমাথা এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তাঁরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। এর আগে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন সামনে শহরের গোহাইল সড়কের কৈগাড়ি এলাকায় মানববন্ধন সমাবেশ করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা গোলাম আজম, রাজ সিদ্দিকী, রনি, আহম্মেদ আলী, সাব্বির, মনির, রেজাউল, অভিভাবক আমিনুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, মীর আলম, পলাশসহ আরও অনেকে।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বলছেন, বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়র বোর্ডের (বিআরডিবি) কাছ থেকে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি বগুড়া কৈগাড়ী সিও অফিসের একটি ভবন ভাড়া নিয়ে একাডেমিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন তারা। চুক্তিপত্রের মাধ্যমে তারা এই ভবনটি ভাড়া নেন। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ না হতেই বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ তাঁদের ভবনটি ছেড়ে যেতে বলছেন। এমনকি গত ২০ আগস্ট ভবনের দেয়ালে লেখা মাদ্রাসার নামসহ কোরআন হাদিসের বাণী মুছে ফেলেছে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন, তাঁরা যখন ভবনটি ভাড়া নেন, তাঁদেরকে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ বলে আপনারা কাগজে-কলমে সাত হাজার টাকা ভাড়া দেবেন। আর আমাদের দেবেন ১৫ হাজার টাকা। এতে শিক্ষকেরা রাজি না হয়ে সরাসরি ১৫ হাজার টাকাই ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি ভাড়া দিয়ে আসছেন। কিন্তু এরই মধ্যেই অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ।
মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ রাজ সিদ্দিকি আল-আমিন বলেন, ‘আমরা যখন ভবনটি ভাড়া নেই ওই সময় এটি ছিল পরিত্যক্ত। ভবনটি পাঠদানের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে আমাদের ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। ওই সময় বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ আমাদের বলে সরকার থেকে বরাদ্দ পেলে এই টাকা পরিশোধ করা হবে অথবা ভাড়া হিসেবে কেটে নিয়ে ধীরে ধীরে পরিশোধ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত ভাড়া দিয়ে এসেছি। শুধু করোনা পরিস্থিতিতে আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাময়িক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। কিন্তু বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে ঘুষ না পেয়ে এমন করছে।’
প্রতিষ্ঠানের আরেক শিক্ষক মাওলানা গোলাম আজম বলেন, ‘আমরা বিআরডিবি কর্তৃপক্ষের অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায়, আমাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। অথচ আমাদের চুক্তির মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। আগামী বছরে এপ্রিল মাসে আমাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।’
জানতে চাইলে বগুড়া সদর উপজেলার পল্লি উন্নয়ন (বিআরডিবি) কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সঙ্গে আমাদের চুক্তির মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু তাঁরা ১৬ মাস ধরে আমাদের ভাড়া দেয় না। বর্তমানে আমরা ভবনটি নিজস্ব প্রয়োজনে আমরা ব্যবহার করতে চাচ্ছি। এ কারণে তাঁদের এটা ছেড়ে চলে যাওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কোনো সংস্কার করেননি। এটার কোনো চুক্তি নেই।’
এ দিকে, প্রতিষ্ঠানের ও বিআরডিবির চুক্তিপত্রের ৭ নম্বর শর্তে লেখা রয়েছে, বর্তমানে ভবনটি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার না করাতে জানালা, দরজা, ভবনের রং-চুন ও বৈদ্যুতিক লাইনসহ অনেক কিছু নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। সুতরাং ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী করতে ২য় পক্ষ ও ১ম পক্ষের অনুমতি ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতি অল্প খরচে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবে এবং যেহেতু ভবনটি সরকারি সুতরাং পরবর্তীতে সরকারি বাজেট আসলে সেখান থেকে ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে ভবনটি মেরামতজনিত খরচ পরিশোধ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরডিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘বরাদ্দ পাওয়া গেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে খরচের টাকা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো অনৈতিক সুবিধা দাবি করিনি। নিজস্ব প্রয়োজনে তাঁদের ভবনটি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল মাসে। তাঁরা চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ভবনটি ভাড়া নিয়েছিল।’
এ দিকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বলছেন, ভবন সংস্কারের জন্য সরকারি বরাদ্দ এসেছিল, কিন্তু বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এখন তাঁদের ভবন থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংবিধানের অনুযায়ী সরকারি ভবন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া যায় কি'না জানতে চাইলে বিআরডিবি কর্মকর্তা মিজানুর বলেন, ‘এটা বলা চলে আমাদের গোঁড়াতেই গলদ ছিল। সংবিধান অনুযায়ী সরকারি ভবন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়ার বিধান নেই। কীভাবে এটা হলো, বিষয়টি তৎকালীন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরাই বলতে পারবেন।’
তৎকালীন সদর উপজেলার বিআরডিবি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে একজন ব্যক্তিকে ভবনটি ভাড়া দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ওই মাদ্রাসাকে এটি ভাড়া দেওয়া হয়। সরকারি ভবন কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। এ কারণে ভবনটি তাদেরকে ভাড়া দিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটা প্রজেক্টের জন্য এখন ওই ভবনটি দরকার। এই কারণে তাঁদেরকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। সরকার যখন ইচ্ছা, ভবনটি নিতে পারবে। চুক্তিপত্রেও এই কথা বলা রয়েছে।’
আব্দুর রাজ্জাক বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভে আদালতের মুন্সি সমিতি (অ্যাডভোকেটস ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন) সহায়তা করেছে এমন দাবি তুলে কার্যালয় ভাঙচুর
৫ ঘণ্টা আগেশেরপুরের মুর্শিদপুর দরবার শরীফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত হাফেজ উদ্দিন (৩৯) নামে একজন মারা গেছেন। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচারের দাবিতে এবং সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি-উন্মাদনা-হামলা রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ বুধবার বিকেলে বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে নগরের আম্বরখানার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের একটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে একটি ট্রাক। ওই বহরে থাকা চট্টগ্রামের আরেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি অভিযোগ করেছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা।
৮ ঘণ্টা আগে